আমি, কথা কম -কাজ বেশীতে বিশ্বাসী......
রোযা ঈদে বাড়ীতে ছিলাম বেশ কয়েকদিন। হঠাৎ একিদন মামা এসে আমাকে খুজঁছে। মামা আবার একটু দরবেশ টাইপ। ইন্টার পাশ করার পর দীর্ঘদিন তিনি বন বাদাঁরে ঘুরে বেড়িয়েছেন । এজন্য আমরা একটু ভয় পাই।
তো আমি জিজ্ঞেস করলাম মামা কী জন্য আমাকে খুজেঁন । তখন তিনি এক ভয়ানক তথ্য দিলেন যাতে আমি প্রথমে ভয় পেয়ে গেলাম। যাক সে কথাই আমি খুলে বলি।
মামার ফকির দরবেশগিরি অনেক পুরানো। এবং গ্রামের অশিক্ষিত সামজ বেশ প্রভাবিত।
উঁনার অনেক ভক্ত রয়েছে যা আমি কিছুদিন আগে জানতে পারি। তার পাশের গ্রামের একজন ভক্ত একদিন উনাকে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে গেলেন। দিনের বেলা এই ভক্তের বাড়িতে পুলিশ এসেছিল গুপ্তধনের খোঁজে।
কী সেই গুপ্তধন।
ভক্তের বাড়িতে ২ বছর আগে বজ্র পড়েছিল পুকুর পাড়ের নারিকেল গাছে।
বেশ কিদন আগে নারিকেল গাছটি মারা যায়। মরা গাছটি কেটে চেলা বানিয়ে রোদে শুকাতে দেয়া বেশ কদিন হল। হঠাৎ একদিন রাতে বাড়িওয়ালি প্রকৃতির ডাকে বের হয়েছিলেন । বাড়ির উঠানে বিদ্যুতের ঝলক দেখে তিনি মূর্ছা যান । কিছুক্ষণ পরে তার জ্ঞান ফিরলে আর কিছু দেখতে পাননি।
ঘটনা তার স্বামীকে বলার পর এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঘবেষণা চলে। এবং এ বিষয়টা তাদের প্রিয় ব্যক্তিত্ব আমার মামা কবিরাজ হাকিম নেওয়াজ কে জানানোর সিদ্ধান্ত নেন । এর আশেপাশের মানুষ জানতে পেরে পুলিশে খবর দেয়। দিনের বেলা পুলিশ এসে সে রকম কিছু না পেয়ে চলে যায়।
কিন্তু বাড়িওয়ালা সাদেক মিয়ার মনে মনে গুপ্তধনের সাধ খোঁজে পায়।
তাদের এক দুর সম্পর্কের আত্নীয়ের মাধ্যমে জিনিস গুলি বিক্রি করেত শহরে পাঠিয়েছিল তারা পরীক্ষা করে বলেছে যে এটার গুনাগুণ নষ্ট হেয় গিয়েছে।
কিন্তু এর পরদিনই শহর থেকে দুইজন লোক এসেছিল এগুলি কিনে নিতে। দামও বলেছে এক লাখ টাকা । কিন্তু তারা এখন আর রাজী হচ্ছে না। জিনিস যদি ভালই না থাকে তবে একলাখ দিবে কেন? আমরা আগে জিনিসগুলি পরীক্ষা করি।
ভাল থাকলে নিশ্চই আরো বেশী দামে বিক্রি করা যাবে।
এ অবস্হায় আমার মামা কবিরাজ হাকিম নেওয়াজ কে নমুনা স্বরূপ কিছু টুকরা দেয়া হয়েছে । মামা তা আমাকে দেখিয়েছেন । আমি অভিভূত !নারিকেল গাছের একটা টুকরা বাকলার এত ক্ষমতা চোখে না দেখলে বিশ্বাস হবে না।
আসলেই এটাতে কোন ম্যগনেট শক্তি আছে কি না ?
এ বিষয়ে কারো কোনো অভিজ্ঞতা থাকলে প্লিজ শেয়ার করবেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।