আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গল্প: স্বপ্নভূমির নির্জন বাগানে

বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুন্য হউক, পুন্য হউক, পুন্য হউক, হে ভগবান। বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পুর্ন হউক, পূর্ন হউক, পূর্ন হ্‌উক, হে ভগবান। রবীন্দ্রনাথ

উপস্থাপিকা মেয়েটি দারুন স্মার্ট। অত্যন্ত চমৎকার করে বলল, ডা. হাসান। স্বপ্নভূমির কনসেপ্টটা যদি একবার দর্শকের কাছে পরিস্কার করতেন।

ড. সাইয়িদ হাসান-এর বয়স ষাটের কাছাকাছি। টিপিক্যাল কৃতি অধ্যাপকদের মতো চেহারা। মাথায় টাক, চোখে চশমা, খাড়া নাক। সামান্য কেশে নিয়ে জলদ গম্ভীর কন্ঠস্বরে ড. হাসান বললেন, এক কথায় স্বপ্নভূমির কনসেপ্ট হল: একজন মানুষ জন্মের পর থেকে যত স্বপ্ন দেখেছে স্বপ্নভূমি সে সব স্বপ্ন ধারাবাহিক ভাবে এক্সট্র্যাক্ট করে ধারণ করতে সক্ষম। কী ভাবে! উপস্থাপিকা মেয়েটির কন্ঠস্বর কাঁপছে।

ড. সাইয়িদ হাসান বললেন, কগনিটিভ সায়েন্সের জটিল টার্মসগুলি কি দর্শকেরা বুঝবেন? না...হয়তো। উপস্থাপিকার কন্ঠে দ্বিধা। তাহলে বরং সহজই করে বলি। আচ্ছা, তাইই বলুন না হয়। উপস্থাপিকা সপ্রতিভ হয়ে ওঠে।

ড. সাইয়িদ হাসান কাশলেন। তারপর বললেন, সোজা কথায় স্বপ্নভূমি হল একটা ডিভাইস, যা আমি ও আমার ড্রিমটিম আবিস্কার করেছেন। ডিভাইসটির পুরো নাম: Dream Extractor Device বা সংক্ষেপে DED; জন্মের পর থেকে মানুষ যে স্বপ্নগুলি দেখে থাকে, DED দিয়ে সে সব স্বপ্ন মানুষের অবচেতন মন থেকে ধারাবাহিকভাবে এক্সট্র্যাক্ট করে দশ কি বারো টেরাবাইট মাইক্রো-ডিস্কে ট্রান্সফার করা সম্ভব এবং যা কম্পিউটারে কিংবা যে কোনও নর্মাল মিডিয়া প্লেয়ারে দেখা সম্ভব। ড্রইংরুমের টিভির সামনে বসে থাকা ৫২ বছর বয়েসি শায়লা রহমান হিম হয়ে যান। টের পেলেন কপালে ঘাম জমতে শুরু করেছে।

সময়টা ২০২৯ সালের শরৎকাল। আজ সারাদিনই প্রায় ঝিরঝির করে বৃষ্টি পড়েছে;এখনও পড়ছে। জানালা বন্ধ। তারপরও এই বহুতলের হলোব্লকের দেওয়াল ভেদ করে অদৃশ্য শীতল জলকণা ঢুকে পড়ছে ঘরে। বাঁ দিকের সিরামিক ইটের দেয়ালে রবীন্দ্রনাথের অল্প বয়েসের মস্ত বড় একখানি ছবি টাঙানো।

তার ঠিক নীচেই একটা ইলেকট্রনিক ফায়ারপ্লেস। টিভির মনিটরের দিকে চোখ রেখেই অন্যমনস্কভাবে রিমোট তুলে নিলেন শায়লা রহমান। জ্বলে উঠল কমলা রঙের কাল্পনিক আগুন। ধীরে ধীরে তাপ ছড়িয়ে যায় ঘরে । শরীরে এখন হিমের বদলে তাত টের পেলেন।

গলার কাছে যদিও নোনা ঘামস্রোত মধ্যবয়েসী পেলব বুকে দিকে নেমে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। ড. সাইয়িদ হাসান যা বললেন তা কি সত্যি? সারা জীবন ধরে দেখা স্বপ্ন অবচেতন মন থেকে এক্সট্র্যাক্ট করে যে কোনও নর্মাল প্লেয়ারে দেখা সম্ভব? কথাটা কি সত্যি? সত্যি হওয়ারই কথা। গত বছর এম আইটি-র যে ড্রিমটিমটি কগনিটিভ সায়েন্সে নোবেল পুরস্কার পেল ড. সাইয়িদ হাসান তাদের অন্যতম। এত বড় বিজ্ঞানীর কথা মিথ্যে হয় কি করে। শায়লা রহমান ভিতরে ভিতরে চাপা উত্তেজনা টের পেলেন।

বহু বছর ধরে তিনি স্বপ্নের ভিতরে একটি মুখ দেখে আসছেন। সাদাকালো আবছা একটি মুখ। মুখটা যে কার? ঠিক বোঝা যায় না। কেবল মনে হয় ...কিশোরীবেলায় দেখা কোনও মুখ। যে মুখে পটভূমিতে রয়েছে মিনু নামের এক কিশোরীর মেয়েবেলার মফঃস্বল শহর, রেলের কলোনি, ফুটবল পোস্ট পোঁতা মাঠ, অনুচ্চ ভাঙা পাঁচিল, সবুজ নিবিড় কলাঝোপ এবং একটি একলা শিরীষ গাছ আর ধনুকের মতো বেঁকে যাওয়া রেললাইন আর উধাও দিগন্ত আর অসময়ে মেঘ করে আসা এবং একটি কিশোর-কিশোর মুখ।

যে মুখ তিনি স্বপ্নের ভিতরে একটি মুখ দেখে আসছেন দিনের পর দিন, বছরের পর বছর ...সেই মেয়েবেলার মফঃস্বল শহরের রেলের কলোনি ছেড়ে আসার পর থেকে। উপস্থাপিকা মেয়েটি বলল, ড. হাসান এখন সরাসরি দর্শকদের প্রশ্নের উত্তর দেবেন। নীচে দেখানো নম্বরে ফোন করুন। শায়লা রহমান কাঁপা- কাঁপা হাতে সোফার ওপর পড়ে থাকা এইচটিসি ডুয়ালটা তুলে নিলেন। সংযোগ পেতে সমস্যা হল না।

শায়লা রহমান কাঁপা- কাঁপা জিজ্ঞেস করলেন, কবে নাগাদ চালু হবে স্বপ্নভূমি? ড. হাসান হাসলেন। বললেন, এই নভেম্বরেই। কাজ প্রায় সব শেষ। আপনি যদি আগ্রহী হন তো ইন্টারনেটে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। স্ক্রিনের নীচে স্বপ্নভূমির ওয়েবসাইটের ঠিকানা দেখানোর কথা।

জ্বী। দেখাচ্ছে। ধন্যবাদ। ২ ড. সাইয়িদ হাসান-এর ‘স্বপ্নভূমি’ উত্তরায়। নিরিবিলি সাদা রঙের দেয়াল ঘেরা বাড়ি ।

ফ্লাইওভার থেকে নেমে হাতের বাঁয়ে দশ মিনিটের পথ। শায়লা রহমান এ্যাপয়েন্টমেন্ট করে এসেছিলেন। ড. সাইয়িদ হাসান অবশ্য দেশে নেই, কী এক কনফারেন্সে ম্যানিলা গেছেন। অবশ্য গতকালই ড. হাসানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা হয়েছে । ড্রিমটিমের অন্য একজন অধ্যাপক থাকবেন।

অসুবিধে হবে না বললেন। ছাই-ছাই রঙের গেটের সামনে নীল রঙের অডি দাঁড়াতেই গেটটা ধীরে ধীরে খুলে গেল। কে যেন পরিস্কার বাংলায় বলল:‘স্বপ্নভূমিতে স্বাগতম’ । গাড়ির কাচ তোলা থাকা সত্ত্বেও শুনলেন শায়লা রহমান। মুচকি হাসলেন।

ধীর গতিতে গাড়ি চলেছে। দু’পাশে দীর্ঘ দীর্ঘ ইউক্যালিপ্টাস গাছের সারি। মাঝখানে সিমেন্ট বাঁধানো পধ। অল্পখানি যেতেই চোখে পড়ল সবুজ লন। একপাশে টেনিস কোর্ট অন্যপাশে সুইমিং পুল।

তার নীলাভ জল। বাগান। যেন চিকিৎসালয় নয়, যেন সম্পন্ন কোনও পরিবারের নিজস্ব প্রাসাদ। বাঁ পাশে বেশ ছড়ানো গাড়ি ছাদ। কারুকাজ করা থাম।

কালো রঙের একটি পুরনো মডেলের কিয়া বোরেগো থেমে আছে। খুব একটা ভিড় নেই। শায়লা রহমান অবাক হলেন না। তিনি জানেন ...আজকাল মানুষ তার স্বপ্নজীবন সম্বন্ধে খুব একটা কৌতূহলী না । এর কি কারণ? একুশ শতকের মাঝামাঝি মানুষ আবেগশূন্য যন্ত্র হতে চলেছে কি? স্বপ্নের সঙ্গে আবেগের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ট।

একতলার রিসিপসন রুমটা বেশ বড়। এক পাশের দেওয়ালে মস্ত অ্যাকুয়ারিয়াম। বুদবুদ ওঠা স্বচ্ছ জলে কতগুলি চেনা-অচেনা রঙিন মাছ । অ্যালবিনো লায়ারটেইল মলি চিনতে পারলেন। মাছটা ভারি পছন্দ শায়লা রহমান-এর ।

অ্যালবিনো লায়ারটেইল মলির ল্যাজটা অনেকটা প্রাচীন গ্রিক বাদ্যযন্ত্র লায়ার এর মতো দেখতে। এই জন্যই ওই নাম। মলি দেখতে সাধারণত কালো রঙের হয় । অবশ্য অ্যালবিনো মলি লাল রঙেরও হতে পারে। উলটো দিকের দেয়ালে ইলেকট্রনিক ফায়ারপ্লেস।

ওপরে অনেকটা ঘন করে লেখা : I have had dreams and I have had nightmares, but I have conquered my nightmares because of my dreams. কার কথা। অদ্ভূত তো! কি যেন মনে পড়ে যায়। রিসিপসনে জাপানি পুতুলের মতন দেখতে রঙচঙা কিমোনো পরা একটি মেয়ে বসে রয়েছে। আসলে ওটা একটা রোবোট। আজকাল এ দেশে এসব ‘হোস্ট’ রোবোটের খুব চল হয়েছে।

দিন কয়েক আগে মি: রাব্বানীর সঙ্গে শায়লা রহমান ডিনারে গিয়েছিলেন পেশতো রেস্তোঁরায়, ওখানেও রিসিপসনিষ্ট মেয়েটি ছিল একটা হোস্ট রোবোট। রোবোটটি বলল, বসতে আজ্ঞা হোক, প্লিজ। শায়লা রহমান ফিক করে হেসে ফেললেন। ড. সাইয়িদ হাসান বেশ রসিক মানুষ তো! ড.হাসান-এর ব্লগ থেকে জেনেছেন পূর্বপুরুষ নাকি ওয়েস্ট বেঙ্গলের। ৪৭-এর পর বাংলাদেশে এসেছেন।

মুখোমুখি কয়েকটি সোফা। শায়লা রহমান বসলেন। তখনই উলটো দিকের সোফায় বসে থাকা লোকটার ওপর চোখ গেল। সঙ্গে সঙ্গে কেঁপে উঠলেন। ইংরেজি ‘বেঙল টুডে’ পত্রিকা পড়ছেন ভদ্রলোক।

এত পরিচিত লাগছে কেন? এঁকে কি আগে কোথাও দেখেছি। মাঝবয়েসী। পঞ্চাশের মতন বয়েস। মাথায় সবুজ রঙের ফেল্ট ক্যাপ, চওড়া কপাল। ফরসা মুখ।

ঘন ভুঁরু ...চশমা। ফ্রেঞ্চকাট দাড়ি,ঈষৎ বাদামী, তার মানে মানুষটি সৌখিন। দাড়িতে মেহেদী করেন । কালো টী-শার্ট পরে আছেন ভদ্রলোক। আপনি এখন এঁর সঙ্গে যাবেন, প্লিজ।

রিসিপসনিষ্ট রোবোটটি বলল। শায়লা রহমান চমকে মুখ তুলে তাকান। সাদা এ্যাপ্রন পরা শ্যামল মতন ভারি মিষ্টি চেহারার মাঝবয়েসি একজন মহিলা দাঁড়িয়ে আছে। মিষ্টি হেসে ইংরেজিতে বললেন, আমার সঙ্গে আসুন। কী চমৎকার কন্ঠস্বর! ভদ্রলোকের দিকে এক পলক চেয়ে উঠে দাঁড়ালেন শায়লা রহমান ।

টের পেলেন ঘামছেন। মাথাও খানিক টলছে। রিসিপসনের ওপাশে চওড়া বারান্দা। দু’পাশে বাগান। সূর্যের ছটায় উজ্জ্বল হয়ে রয়েছে।

ঘাসের ঘন গভীর ঘ্রান পেলেন শায়লা রহমান । আমার নাম ড. নীলিমা মাঞ্জেকার। মাঝবয়েসি মহিলা বললেন। ইংরেজিতে। শায়লা রহমান হাসি ফুটল।

মাঞ্জেকার ? তার মানে ইন্ডিয়ান। আবার নাও হতে পারে। অবশ্যি ড. সাইয়িদ হাসান এর ড্রিমটিমে এক জন ইন্ডিয়ান অধ্যাপকও রয়েছেন। অধ্যাপক রমেশ শ্রীবাস্তব। অন্যজন কানাডার নাগরিক ... ড. ডরোথি লিলিথ।

এরা প্রত্যেকেই নিজ নিজ দেশে Dream Extractor Device ইন্সটল করেছেন। ভাবতেই, শায়লা রহমান অদ্ভূত এক চিন্তায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন। বহু বছর ধরে স্বপ্নে দেখা মুখটি কি আবার দেখতে পাব? বিয়ের পর থেকে যে মুখটি আর কখনও দেখতে পাইনি। ড. মাঞ্জেকার একটি ঘরে ঢুকলেন। মৃদু নীলচে আলো ছড়ানো ছোট ঘর।

একপাশে মনিটর, প্যানেল বোর্ড। ওটাই সম্ভবত D E D। মৃদু জলতরঙ্গ বাজছে। ঘরজুড়ে ওল্ড স্পাইস শেভিং ক্রিমের গন্ধ। ওই ব্র্যান্ডটি শায়লা রহমান- এর প্রাক্তন স্বামী ব্যবহার করতেন।

বিয়ের পর যে মুখটি আর দেখতে পাননি। অথচ, কিশোরী আর তরুণি বয়সজুড়ে সেই আবছা সাদাকালো মুখটি দেখতেন। আবার সে মুখটি একবার দেখতে চান। এ পাশে কালো রঙের সোফা। অবিকল বিউটি পার্লারের মতো।

তবে মাথার কাছে বড় একটি হেলমেট। কালো রঙের সোফা দেখিয়ে ড. মাঞ্জেকার বললেন, ওখানে গিয়ে বসুন। শায়লা রহমান বসলেন। বুক ভীষণ কাঁপছে। হাতের তালু ঘেমে গেছে।

ড. মাঞ্জেকার Dream Extractor Device -এর সামনে বসে পড়েছেন। ঠিক সেই মুহূর্তেই রিসিপসন রুমের সেই ভদ্রলোকের মুখটি মনে পড়তেই উঠে দাঁড়ালেন শায়লা রহমান । না, থাক। স্বপ্নে দেখা সাদাকালো মুখটা তিনি আর দেখতে চান না। ড. মাঞ্জেকার মুখ ফিরিয়ে তাকালেন।

অবাক হয়েছেন মনে হল। কী ব্যাপার? শায়লা রহমান হাত তুলে বললেন, আজ না। অন্যদিন। ড. মাঞ্জেকার কাঁধ ঝাঁকিয়ে শ্রাগ করলেন। তারপর বললেন, ঠিক আছে।

আপনার যেমন ইচ্ছে। তারপর আপনমনে যেন বললেন, এমন অনেকেরই হয়। ঘর থেকে বেড়িয়ে এলেন শায়লা রহমান। চওড়া বারান্দা রোদে ভেসে যাচ্ছে। একতলায় ঘন বাগান।

কাকের ডাক শুনতে পেলেন। কী এক ঘোরে বাগানে নেমে এলেন শায়লা রহমান। যেন এ নির্জন বাগান তার মেয়েবেলাকে ফিরিয়ে দেবে। শেষ কার্তিকের ঘন নীল আকাশে রোদের হলুদ আলোয় চারিদিক উজ্জ্বল। একটা কাক ডাকছিল।

তাছাড়া কী নির্জন হয়ে আছে স্বপ্নভূমির বাগান। শিশির ভেজা ঘাসের ঘ্রান পেলেন। সেই ঘ্রানে ফিরে আসে মেয়েবেলার মফঃস্বল শহর, ছিমছাম নির্জন রেলের কলোনি ... মা বলতেন ... আমার মন খারাপ হয়ে যাচ্ছে রে মিনু...আর কি কখনও এখানে ফেরা হবে? কী সুন্দর মফঃস্বলের রেলকলোনিতে থাকতাম, এখন থেকে শহরে থাকতে হবে ...আমার মন খারাপ হয়ে যাচ্ছে রে মিনু। কিশোর সজলের কথা ভেবে চোখে জল আসে মিনুরও। তখন তো কিশোরী বয়েস ... যখন-তখন চোখে জল আসে।

সজল একটা বই উপহার দিয়েছিল। শাহরিয়ার কবির-এর ‘নুলিয়াছড়ির সোনার পাহাড়। ’ সে বই আজও যত্ন করে রাখা আছে। সেই বইয়ের দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় সজল নিজ হাতে লিখেছিল: ‘আমার স্বপ্ন ছিল, আবার দুঃস্বপ্নও ছিল। কিন্তু আমি আমার স্বপ্নের জন্য দুঃস্বপ্ন কে জয় করেছি।

’ পিছনে কে যেন এসে দাঁড়িয়েছে। দীর্ঘ ছায়া পড়েছে ঘাসের উপর। শায়লা রহমান চমকে ওঠেন। মিনু না? কত বছর পর! ... কেমন আছো? কে যেন বলল ...ভরাট মধুর কন্ঠস্বর। শায়লা রহমান ফিরে তাকালেন ... চোখে মেয়েবেলার মতন জল ...


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.