আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হাজারীবাগের ট্যানারি শিল্প স্থানান্তরে জটিলতা

হাজারীবাগের সব ট্যানারি সাভারের চামড়া শিল্প নগরীতে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া নিয়ে জটিলতা বাড়ছে। নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করা নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা জটিলতা। প্রকল্পের জন্য পাঁচ বছর আগে সাভারের হরিণধারা এলাকায় ২০০ একর জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৫৪৬ কোটি টাকা। সরেজমিনে দেখা গেছে, নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষ হচ্ছে না।

কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার নির্মাণ কাজ ও ক্ষতিপূরণ নিয়ে চলছে দীর্ঘসূত্রতা। বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি হাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, সাভারে ট্যানারি শিল্প প্রতিষ্ঠান এখনো স্থানান্তর করার মতো পরিবেশ তৈরি হয়নি। অবকাঠামো ছাড়াও সেবা সার্ভিসের সবকিছু নিশ্চিত হলে ট্যানারিগুলো পর্যায়ক্রমে স্থানান্তর করা হবে।

গত বছর ৪ অক্টোবর পরিবেশ অধিদফতর থেকে হাজারীবাগের ট্যানারি সরিয়ে নেওয়ার জন্য ১৫ দিনের সময় বেঁধে দিয়ে চিঠি দেওয়া হয়। অন্যথায় পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেয়।

এ ছাড়া ২০১২ সালের ১১ মার্চ সাভারে ট্যানারির কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার-(সিইটিপি) নির্মাণের কার্যাদেশ দেওয়া হয়। এ নির্মাণ কাজ শেষ হবার কথা চলতি বছরের ৩০ জুলাই। এ ব্যাপারে শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ২০১৪ সালের ৩০ জুনের মধ্যে সাভারের চামড়া শিল্প নগরীতে হাজারীবাগের চামড়া শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো স্থানান্তর না হলে ইউরোপীয় কমিশন চামড়া বা চামড়াজাত পণ্য কিনবে না। সরকার চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে হাজারীবাগের ট্যানারি সাভারের স্থানান্তরে বদ্ধপরিকর। এ জন্য ট্যানারি মালিকদের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।

তবে বাংলাদেশ ট্যানারি শিল্প মালিকরা এ বিষয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সীমাবদ্ধতাকে দায়ী করেছেন। সংগঠনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, ট্যানারি শিল্প এখন হুমকির মুখে। বছরপাঁচেক আগে ট্যানারি মালিকদের শিল্পনগরে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হলেও কারখানা স্থানান্তরে সরকারের তেমন কোনো আগ্রহ নেই। চামড়া শিল্প নগর প্রকল্পের বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প সংস্থা-বিসিক। শিল্প মন্ত্রণালয়ের অভিযোগ, চামড়া ব্যবসায়ীরা সাভারে যেতে চান না।

আর ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার (সিইটিপি) নির্মাণ কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ হবে না। সিইটিপি ছাড়া গিয়ে কোনো লাভ নেই। এ ছাড়া ব্যাংক ঋণ নিয়ে অনেকে কারখানা নির্মাণ ও ট্যানারির মেশিন স্থাপন করেছেন। এখন ক্ষতিপূরণ না পাওয়া পর্যন্ত সাভারে যেতে রাজি নন ব্যবসায়ীরা। বিসিক বলছে, সিইটিপি নির্মাণ কাজ অনেকদূর এগিয়েছে।

কাজেই এখনই ট্যানারি স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। তা না হলে সিইটিপি নির্মাণ হওয়ার পর ট্যানারি করতে বেশ সময় লেগে যাবে।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/     দেখা হয়েছে ১৫ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।