পয়লা বৈশাখ ১৪২০-এর ‘প্রথম আলো’র বিশেষ পৃষ্ঠায় ‘টিভি ক্যামেরার সামনে মেয়েটি’ নামে একটি ছোটগল্প ছাপা হয়।
সেই নারীবাদী ছোটগল্পটায় শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনকারী নারীদের ‘অমর্যাদাকরভাবে উপস্থাপন’ করা হয়েছে বলে সুশীলেরা চিৎকার করলেন। সুশীলতার মুখোশ খুলে কেউ কেউ দুই চারটা গালিও দিলেন।
অথচ ধর্মকে ‘অমর্যাদাকরভাবে উপস্থাপন’ করা হলে এই সুশীলেরা কখনও মুখ ফুটে একটা আওয়াজ ছাড়ে না।
সামু ব্লগের স্টিকি পোষ্টে "এস দেওয়ান" মহানবী(সঃ) নিয়ে অপমাজনক একটা মন্তব্য করায় ব্লগার ধীবর একটা পোষ্ট দেন।
সেখানে আমিও মন্তব্য করি।
গতকাল দেখি সামুর মডরেশন আমাকে মন্তব্য ব্যান করেছে আর এস দেওয়ানের সেই মন্তব্য ঠিকই আছে।
আচ্ছা আমি যদি সামু ব্লগে নারীবাদী এমন কোন গল্প লিখি,যেখানে বলি, জানা ও আরিলের দশ বছরের সংসার,তাদের একটা সন্তান আছে। লোভী আরিল টাকার লোভে তার বৌ জানাকে প্রায়ই শরৎের সাথে শুতে বাধ্য করে। জানার দূর্দশা দেখে টাকলু কৌশিক হাত বাড়িয়ে দেয়, হয়ে যায় প্রেম।
কিন্তু সন্তানে মুখ চেয়ে ঘর ছাড়তে পারে না, লোক লজ্জার ভয়ে ঘর ছাড়তে পারে না। কবে আমাদের নারী পুরুষ
শাসিত এই সমাজের সৃংখল থেকে মুক্ত হবে।
এমন গল্পে যতই সুন্দর মেসেজ থাকুক না কেন জানা কি সেটা তার ব্লগে রাখবে? না, রাখবে না। এই লেখার জন্য নগদে ব্যান তো খাবো শিউর।
অথচ ধর্ম বিদ্বেষী কীট "এস দেওয়ান" নারীবাদীতার মুখোশে এমন একটা লেখা লিখলো,যেখানে সে
"#মেরী"কে দিয়া চার্চের ফাদার ৪০ বছর বয়স্ক "#মসীহ"কে ধর্ষণ করাইতে চাইলো
"#দুর্গা"কে দিয়া শিব মন্দিরের "#রাম নাথ"কে ধর্ষণ করাইতে চাইলো
"#ফাতেমা"কে দিয়া ইমাম "মোহাম্মদ আলী" ধর্ষণ করাইতে চাইলো
গত দুই মাস এই লেখাটা সামুতে ঝুলেও থাকলো।
ব্লগের মডরেশন বা সুশীল শুয়োরেরা সেখানে অমর্যাদাকর কিচ্ছু পাইলো না।
যখনই ধীবরের পোষ্টে বললাম এভাবে কাজ হবে না, ফেসবুকে ছড়িয়ে দিন, নগদে ওই পোষ্ট নাই। আমি ও ধীবর ভাই মন্তব্য ব্যান।
কপি ফ্রম ...............
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।