আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মাদকাসক্তি এবং ঐশীঃ সময় থাকতেই সাবধান!

akramsbd@yahoo.com,akramsbd@gmail.com স্কাইপঃAkramsBD
দুদিন আগেই একটা পোস্ট দিয়েছিলাম মাদকাসক্তি সম্পর্কে। Click This Link কিন্তু কে জানত এর মধ্যেই ঐশী এই ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেছে? ঐশী কি নিজের মা বাবাকে ঠান্ডা মাথায় কি খুন করেছে ? আপাতঃ দৃষ্টিতে তাই মনে হয়; আসলে কি তাই? ফেনসিডিল, ইয়াবা, গা্ঁজা, আলফেটামিন বা এই ধরনের নেশা দীর্ঘদিন করলে মস্তিস্কের সাধারন চিন্তা করার শক্তি লোপ পায়। তখন মানুষ সাইকিক হয়ে যায়। তখন তার স্বাভাবিক চিন্তাশক্তি লোপ পায়। তারপর সেই মানুষটা হয় ১৮-১৯ বছরের, পূনাংগ একটা মানুষের চেয়ে ১৮-১৯ বছরের একটা ছেলে বা মেয়ের শারিরিক স্টাবিলিটি অনেক কম! আবার "ইমপুল`স" (impulse) কথাও ফেলে দেয়া যায় না! দীর্ঘদিন ঐশীর নেশা করা।

নেশা সংগীদের সাথে চলতে মা-বাবার বারন করা, কিংবা শাসন করা। যা তার (ঐশীর) মনে বিরূপ বা নেগেটিভ প্রভাব ফেলে। এটাও ঐশীর মা-বাবা বুঝতে পারেন নি। তারা মনে করেছিলেন, তারা বারন করলেই ঐশী তাদের কথা শুনবে! কিন্তু তারা ভূলে গিয়েছিলেন যে, এটা মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট, ডিজুসের যুগ। আগেকার দিনে ছেলেমেয়েকে ঘরের মধ্যে আটকে রাখলে কারো সাথে যোগাযোগ করতে পারতো না! সে দিন আর নেই! মোবাইল, এসএমএস, ইন্টারনেট, ফেসবুক, চ্যাটের কারনে আজ আর কোন কিছুই অসম্ভব নয়! ঐশীর বাবা মা চাকুরী কিংবা ব্যস্ততার কারনে তারা হয়তো সময় দিতে পারেননি।

আর এই ফা্ঁকেই হয়তো ঐশীর মনে হয় বাবা মাকে শেষ করতে পারলেই তার পথ পরিস্কার হবে! আমার নিজের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, বাংলাদেশের ১৮-১৯ বছরের একটা ছেলে বা মেয়ে ইউরোপ-আমরিকার ১০ বছরের বাচ্চার সমান বাস্তব জ্ঞানও রাখেনা বা ম্যাচ্যুরিটি কম। আমাদের দেশের মা-বাবারা সন্তানকে সব সময় ছোট ভাবতেই অভ্যস্ত! এটাও কিশোর কিশোরীদের অনেকটা মানসিকভাবে পংগু করে দেয়। এই ধারনা থেকে আমাদের সরে আসতে হবে। সন্তানের সাথে সব কিছু শেয়ার করুন। তাদের সাথে খোলাখুলি কথা বলুন।

সমাজ এবং আত্মীয় স্বজনের জন্য লজ্জা পাবেন না। মনে রাখবেন, সন্তান কিন্তু আপনার নিজের, আত্মীয় স্বজনের নয় ! প্রয়োজনে সাইকোথেরাপীর সাহায্য নিন। আমার লেখা ব্লগে বিস্তারিত পড়ুনঃ Psycho Therapy online****সাইকোথেরাপী অন লাইন http://ptohelp.blogspot.se/
 

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।