আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিশ্বনাথ ভুমি অফিসে টাকার খেলা : হয়রানীর শিকার ভূমি মালিকরা

নাজমুল ইসলাম মকবুল

নাজমুল ইসলাম মকবুল বিশ্বনাথ (সিলেট) : প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেট জেলার বিশ্বনাথের মানুষ সংপ্তি সময়ের অবকাশ যাপনের জন্য দেশে এসে যে সব বিড়ম্বনায় পড়েন তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে জমি ক্রয় বিক্রয়ে ভুমি অফিস ও রেজিষ্ট্রারী অফিসের হয়রানী। বর্তমান আইনানুযায়ী জমি নামজারী না করলে জমি বিক্রয় করা সম্ভব হয়না এই সুযোগে বিশ্বনাথের ভুমি অফিসের কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা কর্মচারী আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন রাতারাতি। জমি নামজারীপ্রতি বড় অংকের টাকা অগ্রীম না দিলে নামজারীতো হয়ই না বরং ভূমি অফিসে দিনের পর দিন দৌড়াদৌড়ি করতে করতে জুতার তলা য় করা ছাড়া আর কোন উপায়ই থাকেনা জানালেন ভুক্তভোগী বিশ্বনাথের অনেক ভুমি মালিক। বিশ্বনাথের বিভিন্ন মৌজায় ১২/১৪ বছর পুর্বের জরিপকৃত ছাফা ফরছা না আসায় এ ধরনের মহা দূর্ভোগ আরও বেড়েছে বিশ্বনাথের হাজার হাজার ভুমি মালিকের। আর সে সুযোগে বিশ্বনাথ ভুমি অফিস হয়ে পড়েছে দুর্নীতির আখড়া।

এখানে কাচা টাকা ছাড়া কোন কাজ হয়না। তাই কাড়ি কাড়ি টাকার খেলা দেখতে হলে বিশ্বনাথের ভুমি অফিসে গেলে তা দেখা যায় অনায়াসে। আর প্রবাসীরা সময় পেনের বিড়ম্বনায় পড়ে কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা অনিচ্ছা স্বত্বেও নিতান্ত বাধ্য হয়ে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা কর্মচারীদের পকেটে দিতে বাধ্য হচ্ছেন হরদম। সরেজমিন জানা গেছে কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারিদের তান্ডবে সাধারন মানুষ দিশেহারা। নানা অজুহাত দেখিয়ে ভুমি অফিসে আসা লোকজনের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে কর্মকর্তা কর্মচারিরা।

তাদের কাছে জিম্মি বিশ্বনাথের সাধারন লোকজন। এছাড়া কমিশন ভিত্তিক প্রভাবশালী বেশ কিছু দালালও হর হামেশা ঘুর ঘুর করে অফিসে। দালালরাও টুপাইস কামাচ্ছে দেদারসে। জনগনকে হয়রানী করা হয নানা ভাবে। এ ব্যাপারে বিশ্বনাথ ভুমি অফিসের প্রধান সহকারী অরুন জ্যোতি পুরকায়স্থের দুর্নীতি ও র্কতব্য অবহেলার অভিযোগ এনে গত ১৯/০৮/২০১০ ইং তারিখে একটি লিখিত অভিযোগ সিলেট জেলা প্রশাসক বরাবরে দায়ের করা হয়।

অভিযোগকারীরা হলেন বিশ্বনাথ উপজেলার তেলিকোনা গ্রামের মুছলিম আলীর ছেলে আব্দুস ছালাম, রামপাশা গ্রামের জয়নুর আলীর ছেলে জাহিদ নুর, মনুহর পুর গ্রামের দুলাল আহমদ। অভিযোগে উলেখ রয়েছে প্রধান সহকারী অরুন জ্যোতি পুরকায়স্থ বড় অংকের টাকা ছাড়া কোন কাজ করেননা। ভুমি সংক্রান্ত কোন কাজ করাতে গেলে তাকে বড় অংকের টাকা দিতে হয়। যারা টাকা দিতে রাজি হননা তাদের সাথে খারাপ আচরন করে থাকেন অরুন জ্যোতি পুরকায়স্থ। অশীল ভাষায় কথা বার্তাও বলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

টাকা না দিলে কাজ করছি করে দিচ্ছি বলে লোকজনকে হয়রানী করেন বলে অভিযোগে উলেখ রয়েছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপ সুনজর দিবেন বলে সাধারন মানুষের প্রত্যাশা।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।