গত ৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে যুবসংগ্রাম পরিষদের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর জামায়াত-শিবিরকে ‘স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক শক্তি’ আখ্যায়িত করে তাদের প্রতিরোধে পাড়া-মহল্লায় প্রতিরোধ কমিটি গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছিলেন। দলীয় নেতাকর্মীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেছিলেন, “জামায়াত-শিবির দেশদ্রোহী ও সমাজবিরোধী। যেখানেই জামায়াত-শিবির, সমাজবিরোধী ও খালেদা জিয়ার মদতপুষ্ট সাম্প্রদায়িক শক্তি দেখবেন, সেখানেই প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন এবং তাদের প্রতিহত করবেন।” স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ নির্দেশের পর ছাত্রলীগ ক্যাডারদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এখন অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। হত্যা, সন্ত্রাসকে এখন তারা ‘রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব’ মনে করছে। কিছুদিন আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে তারা শিবির মনে করে সাংস্কৃতিক জোটের এক নেতাকে পিটিয়েছে। আর আজ ছাত্রদল নেতা ভেবে এক হিন্দু ভাইকে মেরে ফেলল । যে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পুলিশের চেয়ে ছাত্রলীগ ক্যাডারকের ওপর বেশি আস্থা রাখেন সে দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যে কোন দিকে যাবে তা বলাই বাহুল্য। এ অবস্থায় দেশব্যাপী সন্ত্রাস ও খুনখারাবির নির্দেশদাতা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিচার চাওয়া কি অন্যায় হবে?
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।