২৭ সেপ্টেম্বর ২০১০ নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে যোগদান করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যাগ্রোনমি বিভাগের প্রফেসর এ কে এম সাঈদুল হক চৌধুরী। গতকাল তিনি নোবিপ্রবি ক্যাম্পাসে এসে উপাচার্যের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। দুপুর ১২টায় উপাচার্য ক্যাম্পাসে এসে পৌঁছলে নোবিপ্রবি’র ট্রেজারার প্রফেসর মোস্তাফিজুর রহমান, রেজিস্ট্রার প্রফেসর মোঃ মমিনুল হক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি জনাব মোহাম্মদ আনোয়ারুল বাশার সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্রছাত্রীগণ উপাচার্য মহোদয়কে স্বাগত জানান ও ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। পরে বিদায়ী উপাচার্য প্রফেসর ড. সঞ্জয় কুমার অধিকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তাবৃন্দের উপস্থিতিতে নবনিযুক্ত উপাচার্যের নিকট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্বভার হস্তান্তর করেন। এরপর নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং ছাত্রছাত্রীদের পক্ষ থেকে নবনিযুক্ত উপাচার্যকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়।
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০১ এর ১০(১) এবং (২) ধারা অনুযায়ী ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১০ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ এর মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর নোবিপ্রবিতে নতুন উপাচার্য নিয়োগ দেন।
উল্লেখ্য, প্রফেসর এ কে এম সাঈদুল হক চৌধুরী ১৯৪৯ সালের ১ জানুয়ারী নোয়াখালী জেলার সদর উপজেলাধীন গঙ্গাপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মরহুম মমিনুল হক চৌধুরী ও মাতা মরহুমা সাদিয়া খাতুন। তিনি ১৯৬৪ সালে কল্যাণ হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিক, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদ থেকে তিনি ১৯৭৪ সালে কৃতিত্বের সাথে সম্মানসহ øাতক এবং ১৯৭৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগ হতে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে এমএসসি এজি ডিগ্রি অর্জন করেন। একই বছর তিনি কৃষি তত্ত্ব বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন।
পরবর্তীতে তিনি ১৯৮৩ সালে নিউজল্যান্ডের লিংকন বিশ্ববিদ্যালয় হতে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা, ১৯৮৪ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় হতে সম্মানসহ এমএস এবং ১৯৯১ সালে যুক্তরাজ্যের এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় হতে সীড টেকনোলজিতে এমএস ডিগ্রি অর্জন করেন।
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যাল, ময়মনসিংহ এর কৃষিতত্ত্ব বিভাগে একজন সিনিয়র প্রফেসর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ইতোমধ্যে তিনি ১১০ জন এমএস ও ৫ জন পিএইচডি ছাত্রের গবেষণা তত্ত্বাবধান করছেন। দেশি/বিদেশি আন্তর্জাতিক জার্নালে তাঁর ৬০টিরও বেশি বৈজ্ঞানিক গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। শিক্ষা ও গবেষণার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন পেশাজীবী, সামাজিক ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ধারার সাথে সম্পৃক্ত থেকে বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ও দিনবদলের সনদ বাস্তবায়নে একজন অবিচল বুদ্ধিজীবী হিসেবে ইতোমধ্যে সর্বমহলের প্রশংসা কুড়াতে সক্ষম হয়েছেন।
তিনি দু’বার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি এবং একবার বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশনের সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচিত সদস্য, সদ্য গঠিত বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের আহ্বায়ক এবং পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক হিসেবে বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত বঙ্গবন্ধুর খুনীদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকার্য দ্রুত সম্পন্ন এবং ১৯৭২ সালের সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে সর্বস্তরের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গবন্ধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে কাজ করেছেন। এছাড়াও তিনি বর্তমান সরকারের ঘধঃরড়হধষ ঊীবপঁঃরাব ঈড়সসরঃঃবব ড়ভ ইরড়ঃবপযহড়ষড়মু (ঘঊঈই) এর সদস্য, আহ্বায়ক-চঊঊজ জবারবি ঈড়সসরঃঃবব ও গ.ঝ., চয.উ. ঝপযড়ষধৎংযরঢ় ঈড়সসরঃঃবব, বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দু’ ছেলে এবং এক কন্যা সন্তানের জনক।
তাঁর ছেলে সামিউল চৌধুরী ও ইয়াছিন চৌধুরী, মেয়ে জেসিকা চৌধুরী এবং স্ত্রী মেহেরুন্নেছা চৌধুরী কানাডা প্রবাসী।
তিনি বিভিন্ন সরকারী ও শিক্ষা সংক্রান্ত কাজে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ভারত, মালদ্বীপ, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান, সিঙ্গাপুর, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড ও যুক্তরাজ্য গমণ করেছেন। তিনি তাঁর দায়িত্ব পালনে সকলের নিকট দোয়া প্রার্থনা করেছেন।
প্রফেসর মোঃ মমিনুল হক
রেজিস্ট্রার
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।