আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সর্বনাম এর স্বগতোক্তি



কেউ যখন জানে সে যা লিখছে সে লেখা সম্ভবত কেউ পড়বে না তখন কিছু লিখতে বসে কেউ কী দেখেছে, কেমন লাগে? আমি এখন তা বুঝতেছি হাড়ে হাড়ে। আমাকে পোষ্ট লিখতে বলা হয়েছে। এমন লেখা যেটা কাউকে মেল করে না জানালে কেউ কোনদিন জানতে পারবে না এখানে একটা লেখা আছে। এটা ঠিক ভার্চুয়াল ব্লগ পাঠকের জন্য লেখাও নয়। ওখানে তবু পাঠক সম্পর্কে কল্পনায় একটা অবয়ব আঁকা যায়।

এখানে আদৌ কোন পাঠক আছে কিনা, জানবে কিনা সে খবর নাই। নিরুদ্দেশ যাত্রার মত নিরুদ্দেশে লেখা। জীবনে অনেক কিছু নিয়ে লিখতে হয়েছে, লিখেছি। কিন্তু এমন অভিজ্ঞতা নাই। এখন লিখতে লিখতে নতুন সে অভিজ্ঞতা লাভ করছি।

কঠিন এক পরীক্ষা এটা। আমার নাম সর্বনাম। সব নামই যার নাম, সব নামের বদলে সে জায়গায় যে অবলীলায় বসে যেতে পারে। ইংরাজি পার্ট অফ স্পিচ মানে বলা বাক্যের কত ধরণের অংশ বা পদ নিয়ে তা গঠিত হতে পারে তারই এক হদিশ নেয়া। সেই পার্ট অফ স্পিচ পাঁচ অংশের দ্বিতীয় জন আমি, প্রোনাউন।

নাউনের পরে আমি প্রোনাউন, নাউনের প্রো। বারবার একই নাউন, একই নাম না ব্যবহার করে, একঘেঁয়েমী কাটাতে আমাকে আচ্ছাসে এস্তেমাল করা যায়,- 'হি',' সি', 'দে' ইত্যাদি বলে। বাংলায় আমি, তুমি, সে ইত্যাদি ব্যবহার করে। এজন্য রাম, শ্যাম, যদু, মধু, আবুল, রহিম, জন, বিপাশা ইত্যাদি সব নামই হতে পারে আমার নাম। নামগুলো লিখতে গিয়ে আমার বেশ আনন্দ লাগছে।

আমার কত নাম, সংখ্যায় এরা অসীম। এমনকি যে কেউ চাইলে নিজের নাম আমাকে দিতে পারে, নিজের নামে ডাকতে পারে। আচ্ছা সব নামই যার নাম তার নিজের নাম কই? আমার মনে এখন খুব দুঃখ লাগছে, মনের এই দুঃখে আপাতত বিদায় নিলাম।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।