মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টায় শাহবাগ থেকে হরতালবিরোধী এই মিছিল শুরু হয়ে রূপসী বাংলা হোটেল মোড়, কাঁটাবন ও চারুকলা ঘুরে আবার শাহবাগে এসে শেষ হয়।
মিছিল শুরুর কিছুক্ষণ আগে শাহবাগে প্রজন্ম চত্বরে একটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটে। এছাড়া অবিস্ফোরিত আরেকটি হাতবোমা উদ্ধার করে পুলিশ।
হরতাল প্রতিরোধের মিছিল থেকে ‘আজকের হরতাল/জনগণ মানে না’, ‘গাড়ির চাকা ঘুরছে-দোকান পাট খুলেছে’, ‘বোমা মেরে আন্দোলন/বন্ধ করা যাবে না’, প্রভৃতি স্লোগান দেয়া হয়।
মিছিল শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেন, “রাজাকারদের সংগঠন জামায়াত-শিবিরের হরতাল জনগণ ঘৃণা ভরে প্রত্যাখান করেছে।
আমরা আগেই ঘোষণা দিয়েছিলাম- যেখানেই জামায়াত-শিবির পাওয়া যাবে সেখানেই প্রতিরোধ করা হবে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করার এ অবৈধ হরতাল আমরা মেনে নিতে পারি না। ”
শিগগিরই একাত্তরে মানবতাবিরোধী সব অপরাধীর বিচারের রায় আসবে এবং তা কার্যকর করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
আগামী ৩১ মে শাহবাগে মহাসমাবেশ সামনে রেখে মঞ্চের সংগঠকরা জেলায় জেলায় জনসংযোগ চালাচ্ছেন বলে জানান তিনি।
যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে গত ৫ ফেব্রুয়ারি শাহবাগে শুরু হওয়া গণআন্দোলন থেকে উঠে আসা গণজাগরণ মঞ্চ মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী দল জামায়াতের প্রতিটি হরতাল প্রতিরোধে কর্মসূচি পালন করে আসছে।
জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতেও আন্দোলন করে আসছে তারা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।