আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি কয়েক লাখ লোক পানি বন্দী, হাজার হাজার একর জমির ফসল বিনষ্ট

আমার আমি নাই

দেশের বিভিন্ন স্থানে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢল ও অবিরাম বৃষ্টিতে নদনদীর পানি বেড়ে গেছে। প্লাবিত হয়েছে নতুন নতুন এলাকা। ফলে সিরাজগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা ও জামালপুরসহ ১০ জেলায় নিম্নাঞ্চলে কয়েক লাখ লোক পানিবন্দী হয়ে রয়েছে এবং হাজার হাজার একর জমির ফসল বিনষ্ট হয়েছে কিংবা পানিতে তলিয়ে গেছে। বিভিন্ন স্থানে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও বেড়িবাঁধ হুমকির মুখে রয়েছে।

খবর স্টাফ রিপোর্টার, নিজস্ব্ব সংবাদদাতা ও সংবাদদাতাদের। সিরাজগঞ্জ ॥ বুধবার দিনভর থেমে থেমে বৃষ্টি ও উজান থেকে ধেয়ে আসা ঢলের পানিতে সিরাজগঞ্জে যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সিরাজগঞ্জের কাছে যমুনায় পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে প্রায় ৫০ সেঃমিঃ ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীপারের নিম্নাঞ্চলসমূহ ডুবে গেছে। বাড়িঘরেও বন্যার পানি উঠেছে।

প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমির সদ্যারোপিত রোপা ধান ডুবে গেছে। যমুনার পূর্বপারে উঁচু চরে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। পানি উন্নয়ন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে- গত ক'দিন যাবত আকস্মিকভাবে যমুনায পানি বাড়ছে। তবে পানি বৃদ্ধির হার আগের তুলনায় কম। প্রতিদিন গড়ে ৩ থেকে ৫ সেঃমিঃ করে পানি বাড়ছে।

যমুনায় পানি এখন বিপদসীমার প্রায় ৫০ সেঃমিঃ উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে যমুনা পারের নিম্নাঞ্চলসমূহের গ্রামগুলোর অধিকাংশ বাড়িতেই পানি উঠেছে। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এসব এলাকায় আকস্মিকভাবে বাড়িতে পানি ওঠায় মানুষের কষ্ট বেড়েছে। অভ্যনত্মরীণ খালবিল, নদীনালা বন্যার পানিতে সয়লাব হয়েছে।

রাস্তাঘাটও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যমুনাপারের উঁচুচরেও ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। উজানে কাজিপুরের তেকানী, মাইজবাড়ি ও নাটুয়ারপাড়া চরের বিভিন্ন গ্রামে ভাঙ্গনে গত ৭ দিনে কমপক্ষে তিন শ' বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। কুড়িগ্রাম ॥ কুড়িগ্রামে বন্যাকবলিত লাখ লাখ মানুষ এখন শঙ্কিত দিন কাটাচ্ছে। বিশেষ করে নিম্নাঞ্চল, দ্বীপচর, নদনদীর তীরবর্তী চরগুলোর মানুষের চোখে এখন ঘুম নেই।

টানা ৭ দিন থেকে পানিবন্দী হয়ে এক প্রকার উপোস দিন কাটাচ্ছে ঐ সব এলাকার মানুষ। ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিসত্মা, দুধকুমোরসহ ১৬টি নদনদীর পানি ফুলে ফেঁপে উঠে ইতোমধ্যে বিসত্মীর্ণ এলাকা পস্নাবিত হয়েছে। জেলার ৪৮ ইউনিয়নের ২৫ হাজার পরিবারে দেড় লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার ২৫ সেঃ মিঃ উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে অন্য নদীগুলোর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ব্রহ্মপুত্রের ভাঙ্গনে চিলমারীর নয়ারহাট ও অষ্টমিরচর ইউনিয়নে কয়েক দিনে প্রায় ৫শ' পরিবার ঘরবাড়ি ও ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে। নয়ারহাট ইউনিয়নে ২৫ হাজার মানুষ এক সপ্তাহ থেকে পানিবন্দী হয়ে রয়েছে। ব্রহ্মপুত্রের তীব্র স্রোতে খাওরিয়া থেকে দক্ষিণ ফেইচকা ৩ কিঃ মিঃ রাসত্মার দুটি স্থানে প্রায় ৯শ' ফুট ভেসে গেছে। দক্ষিণ ফেইচকা, উত্তর ফেইচকা, খাওরিয়া, উত্তর খাওরিয়া চর বরবের, দক্ষিণ খেদাইমারি, উত্তর খেদাইমারিসহ প্রতিটি গ্রাম পানির নিচে তলিয়ে আছে। গত ৭ দিনে তীব্র ভাঙ্গনে প্রায় সাড়ে ৪শ' পরিবার ভিটেমাটি হারিয়ে গৃহহীন হয়েছে।

জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান জনান, বন্যাকবলিত মানুষের জন্য বুধবার জরম্নরীভিত্তিতে ২৮শ' টন চাল, জি আর খাতে ৫ লাখ টাকা, গৃহনির্মাণ মঞ্জুরি খাতে ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়েছেন। দু'এক দিনের মধ্যে বন্যাকবলিত এলাকায় বিতরণ করবেন। জামালপুর ॥ যমুনা নদীর পানি গত ২৪ ঘণ্টায় বৃদ্ধি না পেলেও বন্যা পরিস্থিতির কোন উন্নতি হয়নি। বন্যায় জেলার ইসলামপুর, মেলান্দহ ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ৩৩টি ইউনিয়নের প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। শত শত ঘরবাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

উপজেলা সদরের সঙ্গে এ সব ইউনিয়নের যাতায়াতের প্রধান প্রধান সড়ক ও রাস্তার ওপর দিয়ে প্রবল বেগে স্রোত বইছে। জেলা প্রশাসক সিরাজ উদ্দিন আহমেদ জানান, ইসলামপুর, মেলান্দহ ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় বন্যাকবলিত হয়ে ১৮ হাজার ৩ শ' পরিবার ক্ষতিগ্রসত্ম হয়েছে। ক্ষতিগ্রসত্ম পরিবারগুলোর জন্য বুধবার ৪০ টন চাল এবং নগদ ৯০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। গাইবান্ধা ॥ উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢল ও অবিরাম বৃষ্টিতে গত ২৪ ঘণ্টায় করতোয়া ও যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া ঘাঘট, তিসত্মা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি স্থির রয়েছে।

তবে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি এখনও বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে বুধবার জেলার নতুন নতুন এলাকা পস্নাবিত হয়। এতে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। জেলার সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলার ২২টি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম পস্নাবিত হয়েছে। সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার নতুন নতুন এলাকা পস্নাবিত হওয়ায় সেখানকার দুর্ভোগ বেড়েছে।

এসব এলাকার কমপক্ষে ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এসব গ্রামের বাড়িঘরে এখন হাঁটু ও কোমর পানিতে ডুবে আছে। বগুড়া ॥ বগুড়ায় যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া বাঙালী নদীর পানিও বেড়েছে। বন্যা নিয়স্ত্রণ বাঁধ হুমকির মুখে পড়ায় বাঁধ এলাকায় নজরদারি রাখতে পাহারাদার নিয়োগ করা হয়েছে।

তবে আর কোন নতুন এলাকা পস্নাবিত হয়নি বলে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আরও গ্রাম পস্নাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা। যমুনা তীরবর্তী সারিয়াকান্দি ও সোনাতলা উপজেলার নিম্নাঞ্চল পস্নাবিত হওয়ায় ইতোমধ্যে ৭৫ হেক্টর জমির আমন ও অন্যান্য ফসল ক্ষতিগ্রসত্ম হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা বলছেন, পুরো বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধই মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। অনেক স্থানে পানি বাঁধে এসে ঠেকেছে।

টানা বর্ষণ ও উজান থেকে আসা ঢলে যমুনার পানি বিপদসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে সারিয়াকান্দি ও ধুনট উপজেলার চর এবং নদী ও বাঁধ সংলগ্ন এলাকার নিম্মাঞ্চলগুলো পস্নাবিত হয়েছে। এই দুটি উপজেলার ৩০টিরও বেশি গ্রাম পস্নাবিত হওয়ায় কয়েক হাজার মানুষ বন্যাকবলিত হয়েছে। ফরিদপুর ॥ হু হু করে বাড়ছে ফরিদপুরে বন্যার পানি। ফলে নতুন নতুন এলাকা পস্নাবিত হচ্ছে প্রতিদিন।

ফলে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা নদীর পানি ৫ সেন্টিমিটার বেড়েছে। বুধবার পদ্মা নদীর পানি গোয়ালন্দ পয়েন্টে বিপদসীমার ৬০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। বর্তমানে ফরিদপুর সদর, চরভদ্রাসন ও সদরপুর উপজেলার ১০ ইউনিয়নের ২ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল, ডিগ্রিরচর ও আলীয়াবাদ ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রাম এখন পানির নিচে।

আলীয়াবাদ ইউনিয়নে ১০টি এবং ডিগ্রিরচর ইউনিয়নে ২টিসহ সর্বমোট ১২টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। পানি বেড়ে ফরিদপুর শহর রক্ষা বাঁধ ও ফরিদপুর চর ভদ্রাসন সড়ক তলিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে এবং তা আরও বাড়লে শহরে পানি ঢোকার আশঙ্কা রয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হলেও এখন পর্যনত্ম এই আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে কোন সরকারী সাহায্য পেঁৗছেনি। চরভদ্রাসন উপজেলার গাজীরটেক ও সদর ইউনিয়নের ১০টি গ্রামের ১০০০ পরিবার পানির নিচে আছে। বন্যাদুর্গত এসব গ্রামে গত ১ মাস যাবত পানি রয়ে গেছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পানি বাড়ায় তারা আতঙ্কে রয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে বিশুদ্ধ পানি ও পশু খাদ্যের তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। সদরপুর উপজেলার চর নাছিরপুর, চর মানাইর, দিয়ারা নারকেলবাড়িয়া, আকটেরচর ও ঢেউখালী ইউনিয়নের সব বাড়িঘরে পানি এসেছে। বন্যাকবলিত এলাকাগুলোর মানুষরা উঁচু রাসত্মা এবং স্কুলগুলোতে আশ্রয় নেয়ায় ঈদের ছুটির পর এই এলাকাগুলোর স্কুলে পাঠদান শুরম্ন করা সম্ভব হবে না। এদিকে বন্যার সঙ্গে সঙ্গে জেলায় পদ্মা নদীর ভাঙ্গনও তীব্র হয়েছে।

মাদারীপুর ॥ বুধবার পদ্মা নদীতে ৩ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিপদসীমার ১৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে এবং আড়িয়ালখাঁ নদে ৩ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অব্যাহত পানি বৃদ্ধির কারণে নতুন করে ডুবে গেছে মাদারীপুরের বিভিন্ন এলাকা। পস্নাবিত হয়েছে নতুন নতুন গ্রাম, ফসলি জমি। কয়েকটি স্থানে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। শিরখাড়া ইউনিয়নে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি ভেঙে ও মাদারীপুর-শ্রীনদী-রাজৈর সড়কের জলকার নামক স্থানে প্রায় ১৫০ মিটার সড়ক ভেঙে প্রবল বেগে পানি প্রবেশ করে সংলগ্ন শতাধিক গ্রাম পস্নাবিত হয়েছে।

কালকিনি উপজেলার বাঁশগাড়ি, এনায়েতনগর, সমিতিরহাট, সাহেবরামপুর, কয়ারিয়া, নবগ্রাম ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামে পানি প্রবেশ করে বাড়ি-ঘরসহ ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া চরাঞ্চলের শত শত বাড়ি ঘর, বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করেছে বন্যার পানি। এসব এলাকায় গবাদিপশু নিয়ে মানুষ চরম বিপাকে পড়েছে। তবে পানি বৃদ্ধির কারণে জেলার শিবচর উপজেলার ৩টি ইউনিয়নে ও সদর উপজেলার বাহাদুরপুরে আড়িয়ালখাঁ ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। রাজবাড়ী ॥ গোয়ালন্দের কাছে পদ্মা নদীর পানি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা নদীর পানি আরও ৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে এখন বিপদসীমার ৬০সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে পানি বৃদ্ধির ফলে দৌলতদিয়ার ৩ নম্বর ফেরী ঘাটের প্রবেশ মুখে পানি উঠে যাওয়ায় বুধবার সকাল থেকে ঘাটটি দিয়ে ছোট যানবাহন পারাপার বন্ধ রয়েছে তবে যে কোন মুহূর্তে ঘাটটি বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে স্থানীয় বিআইডবিস্নউটিসি কতর্ৃপৰ জানান। এছাড়া পানি বৃদ্ধির ফলে পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোত দেখা দেয়ায় পাটুরিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসা ফেরিগুলোকে প্রায় ২/৩ কিলোমিটার ভাটির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। ফলে ফেরি চলাচলে নদী পার হতে প্রতিটি ফেরিকে দৌলতদিয়া ঘাটে পেঁৗছাতে প্রায় ১ঘণ্টা সময় বেশি ব্যয় করতে হচ্ছে। শরীয়তপুর ॥ বুধবার শরীয়তপুরে বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে।

বন্যার পানির স্রোতের সঙ্গে শুরু হয়েছে নদী ভাঙ্গন। এসব এলাকার লোকজন তাদের ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে। এদিকে নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নড়িয়া, জাজিরা ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার নদী তীরবতর্ী চরাঞ্চলে প্রায় ৫০টি গ্রাম বন্যার পানিতে পস্নাবিত হয়েছে। এসব গ্রামের ৫ হাজার একর ফসলি জমি বন্যার পানিতে পস্নাবিত হওয়ায় শাকসবজিসহ উঠতি ফসল নষ্ট হয়ে গেছে।

নড়িয়া ও জাজিরা উপজেলার বন্যাকবলিত ৫০টি গ্রামের প্রায় লক্ষাধিক লোক পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বাগেরহাট ॥ জেলার শরণখোলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ৩৫/১ পোল্ডারের রাজেশ্বর এলাকার বেড়িবাঁধে ব্যাপক ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। বলেশ্বরের প্রবল ঢেউয়ে বাঁধটির তিনটি পয়েন্টের অনেকাংশ ইতোমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। যে কোন মুহূর্তে সম্পূর্ণ বাঁধ ভেঙে মারাত্মক বিপর্যয় সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন।

এ পর্যনত্ম পাউবো'র কোন কর্মকর্তা ক্ষতিগ্রসত্ম এলাকা পরিদর্শনে আসেননি বলেও এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।