আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আহারে পুরোহিত (ফাদার) তুমার নামেও কেলেংকারী!!??

আমার কবিতা আমাকে ঘুমাতে দেয় না

টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার পীরগাছা রোমান ক্যাথলিক মিশনের সহকারী পালক পুরোহিত (সহকারী ধর্মযাজক) ফাদার শীতল রোজারিও শুক্রবার দুপুরে খ্রিস্টান মিশন গেটে ক্ষুব্ধ আদিবাসী গারোদের হাতে গণপিটুনির শিকার হন। গারো যুবকদের অভিযোগ, ওই ফাদার স্থানীয় মিশন প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষিকা নিবিয়া মৃরের সঙ্গে অবৈধ মেলামেশা করে আসছিল। সম্প্রতি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে মৃ অসুস্থ হয়ে পড়ে। মধুপুর চৌধুরী আউটডোর ক্লিনিকে নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর মৃর অন্তঃসত্ত্বা ধরা পড়লে গর্ভপাত ঘটানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু কর্তব্যরত ডাক্তার স্বামী ছাড়া গর্ভপাত না ঘটিয়ে তাকে ফেরত দেন।

পরে নিবিয়া মৃরকে ঢাকায় অবস্থানরত খালাতো বোন সিস্টারের কাছে পাঠিয়ে গর্ভপাত ঘটানো হয়। এ খবর মিশনপাড়ায় ছড়িয়ে পড়লে গারো যুবকরা ক্ষোভে ফেটে পড়ে। শুক্রবার অভিযুক্ত ফাদার ভুটিয়ার একটি গির্জায় প্রার্থনা শেষে ওই গ্রামের শিক্ষিকা মার্জিনা চিশিমের বাড়িতে খাওয়া-দওয়া করতে যায়। ক্ষুব্ধ গারো যুবকরা সেখান থেকে তাকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। মিশনের লোকজন বাধা দিলেও রাস্তায় তাকে ধরে বেদম পিটুনি দেয়া হয়।

এ পর্যায়ে প্রধান ধর্মযাজক ফাদার হোমরিক কিছু গারো নেতার সহায়তায় বিচারের আশ্বাস দিয়ে চিকিত্সার নামে তাকে ভাগিয়ে দেন। এ ব্যাপারে প্রধান পুরোহিত ফাদার হোমরিক বলেন, এক্স কমিউনিশন বিধি মোতাবেক ১৩৮৩-এর ক্যাথলিক ল’তে আপনা-আপনি তার পুরোহিত পদ বাতিল হয়ে গেছে। সে কোথায় আছে জানি না। আমাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই। নিবিয়ার মাতা কল্যাণী মৃ বলেন, ভালোর জন্য মেয়েকে মিশনে রেখেছিলাম।

সেখানে ফাদার এ কুকীর্তি করেছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই। বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠনের সভাপতি শ্যামল মানকিন জানান, বিচারের আশ্বাস দিয়ে চিকিৎসার নামে তাকে ভাগিয়ে দেয়া হয়েছে। আমরা এর বিচারপ্রার্থী। জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি অজয় এ মৃ বলেন, এটি চার্চের ব্যাপার, এটি চার্চেই সুরাহা হবে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।