ভালো ..তবে কালো
৩২ হাজার ছাত্রছাত্রীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এখন বিরাজ করছে সুনসান নীরবতা। ঈদের ছুটির কারণে আবাসিক হলে সহাস্রাধিক অবস্থানরত ছাত্রছাত্রী পড়েছে চরম বিপাকে। হল ও ক্যাম্পাসের সব ডাইনিং, ক্যান্টিন, ক্যাফেটেরিয়া ও দোকান বন্ধ রয়েছে। ফলে ছাত্ররা চরম খাবার সমস্যায় ভুগছে। এদিকে ক্যাম্পাস হয়ে পড়েছে নিরাপত্তাহীন।
প্রায়ই ঘটছে ছিনতাই, চাঁদাবাজির ঘটনা। বহিরাগতরা দখল করে ফেলেছে পুরো ক্যাম্পাস। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা হয়ে পড়েছে নিরাপত্তাহীন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘ ১৯ দিনের ছুটি শেষ হবে আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর। ১৮ সেপ্টেম্বর ক্লাস শুরু হবে।
ক্যাম্পাস আবার ফিরে পাবে চিরচেনা সেই রূপ। তবে ঈদের দু’দিন পর এখনও ক্যাম্পাসে চলছে সুনসান নীরবতা। ১৭টি আবাসিক হলের প্রায় ২৫ হাজার ছাত্রছাত্রী নাড়ির টানে এখনও গ্রামের বাড়িতে। ফিরে আসবে ছুটির শেষের দিকে। তবে বিপাকে পড়েছে হলে কয়েক সহস্রাধিক অবস্থান করা ছাত্রছাত্রী।
ক্যাম্পাস খোলার পরপরই পরীক্ষা শুরু, আবার কারও পার্টটাইম চাকরি কিংবা টিউশনি। আর এ কারণেই তাদের বাড়ি যাওয়া হয়নি। আবার অনেকেই শুধু ঈদের দিন বাড়িতে আনন্দ উত্সবে অংশ নিয়ে ফিরে এসেছে আপন ক্যাম্পাসে। আর বেশিরভাগ অংশ খাবারের কষ্ট, নিরাপত্তাহীনতার কারণে ছুটি শেষেই ফিরবে ক্যাম্পাসে। তবে এখন যারা হলে অবস্থান করছে তাদের খাবার কষ্টের সীমা নেই।
ক্যাম্পাসের কোথাও খাবারের কোনো ব্যবস্থা নেই। বন্ধ রয়েছে হলের সব ক্যান্টিন, ডাইনিং, ক্যাফেটেরিয়া ও দোকান। ক্যাম্পাসে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা অত্যন্ত কম থাকায় এসব ক্যান্টিন, দোকান খুলবে বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি শেষে। তাই নিরুপায় হয়ে ছাত্রছাত্রীদের খেতে যেতে হচ্ছে নীলক্ষেত, চানখারপুল এলাকার হোটেলগুলোতে। এসব হোটেলে রাখা হয় গলাকাটা দাম।
এসব হোটেলে খাবারের মান উন্নত নয়, পরিবেশও নোংরা। আবার এত দূরে খাবার খেতে যাওয়ায় ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার সময় নষ্ট হচ্ছে। খাবারের কষ্টের পাশাপাশি ছাত্রীহলগুলোতে রয়েছে নিরাপত্তা শঙ্কা। এসব সমস্যা সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।