১। ধুমপান করা। খাবারের পর ধুমপান করে না এমন ধুমপায়ী খুজে পাওয়া বড় কঠিন। গবেষণায় দেখা গেছে খাবারের পর একটা সিগারেট পান করা মানে দশটা সিগারেটের সমান ক্ষতি হওয়া।
২।
খাবারের পর সঙ্গে সঙ্গে ফল খাওয়া। স্বাস্হ্যের যত্ন নিতে গিয়ে খাবারের পর ফলমূল খাওয়া আমাদের অভ্যাসে পরিনত হয়েছে। খাবারের পর সঙ্গে সঙ্গে ফল খেলে পেট বাতাসে পূর্ণ হয়ে উঠে। তাই খাবারের ১-২ ঘন্টা পর অথবা খাবারের ১ ঘন্টা পূর্বে ফল খাওয়া ভালো। ।
৩। চা পান করা। এটা আমাদের অনেকের অভ্যাস। খাবারের পর একটু চা পান করা চাই। চা পাতায় উচ্চ মাত্রায় এক প্রকার এসিড থাকে।
এই এসিড আমাদের খাবারে থাকা প্রোটিনকে শক্ত করে ফেলে যা হজমে বিঘ্ন ঘটায়।
৪। খাবারের পর কোমরে বেল্ট বা যে কোন প্রকার বাঁধুনী যেমন লুঙ্গি বা গামছা ঢিলা না করা। যে অবস্হায় খাওয়া হয়েছে ঠিক সেই অবস্হায় কিছুটা সময় থাকা। খাবারের পর কোমরের বাঁধুনী ঢিলা করলে আমাদের পাকস্হলী হতে মলদ্বার পর্যন্ত খাদ্যনালীর নিম্নাংশে পেঁচ বা খাদ্য আটকে যাবার সম্ভাবনা থাকে।
৫। খাবারের পর গোসল না করা। ছোটবেলায় মুরব্বীরা বলতেন, খাবারের পর গোসল করা ঠিক না। কেন ঠিক না এর উত্তর কখনও পাইনি। গোসল আমাদের শরীরের হাত পা ছাড়াও বিভিন্ন অংশে রক্ত প্রবাহ বাড়িয়ে দেয়।
যার ফলে পাকস্হলীতে রক্ত প্রবাহ কমে যায় এরফলে হজম প্রক্রিয়া মারাত্মক ভাবে ব্যহত হয়।
৬। খাবারের পর হাঁটা। আমাদের সমাজে একটা প্রবাদ চালু আছে যে, খাবারের পর ১০০ কদম হাটলে ৯৯ বছর পর্যন্ত বাচবে। অথবা খাবারের পর ৪০ কদম হাটা উচিত।
কথাটা আসলে সত্যি নয়। এগুলো কুসংস্কার। খাবারের পর হাঁটলে শরীর খাদ্য হতে পুষ্টিগুন গুলো সহজে আহরন করতে পারে না।
৭। খাবারের পর পর না ঘুমানো।
খাবারের পর সাথে সাথে ঘুমালে পাকস্হলী খাবার সহজে হজম করতে পারে না। এর ফলে পাকস্হলীতে গ্যাসট্রির্ক এর পরিমান বেড়ে যায় এবং পাকস্হলীতে বিভিন্ন ইনফেকশন বা রোগ দেখা দেয়।
সূত্রঃ ইন্টারনেট
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।