আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঢাকাইয়া খাবারের স্বাদ

গত বছর রমজান মাসে পুরান ঢাকার এক রেস্তোরাঁ নতুন ঢাকাবাসীদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। রাতে দলবলে গিয়ে সেখানে সেহরি খাবার আয়োজন করেন অনেকে। পুরান ঢাকার জমজমাট এই হোটেল আল-রাজ্জাক মন জয় করে নতুন ঢাকাবাসীরও।
ঢাকাইয়া পরিবারগুলোয় একসময় বিশেষ বিশেষ কিছু রান্না হতো। প্রচলন ছিল ইরানি আর আর্মেনীয় খাবারের।

এসব খাবারের ঐতিহ্য যেন হারিয়ে না যায়, সে চেষ্টা অনেকের। মালিটোলার ব্যবসায়ী হোসেন মোল্লা এই ভাবনা থেকেই চালু করেন হোটেল আল-রাজ্জাক। ১৯৯৩ সালে বংশালের কাছের নর্থসাউথ রোডে যাত্রা শুরু করে এটি। তাঁর বাবার নামে হোটেলের নাম রাখা হয় হোটেল আল-রাজ্জাক। ২০১২-এর মে মাসে হোসেন মোল্লা মারা যাওয়ার পর থেকে হোটেলটির দায়িত্ব পান আনোয়ার হোসেন।

আল-রাজ্জাক হোটেল সম্পর্কে তাঁর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ঢাকাইয়া খাওনের মজা মানুষ যাতে আরায়া (হারিয়ে) না ফালায়, হেই লিগা মোল্লা ভাই এই হোটেল চালু করছিলেন। তিনি পুরা পিথিবি গুরচেন। তারপর এই হুটেল বানাইচেন। খাওনের মান যাতে না কমে, সেই জন্য তিনি নিজেই খবরদারি করতেন। খাওনের মান লইয়া তিনি কমপ্রোমাইজ করেন নাই কোনোদিন!’
গুলিস্তান থেকে খুব কাছে বংশাল বা নর্থসাউথ রোড।

এখানে মাজহার মিষ্টান্ন ভান্ডার পার হয়ে একটু কাছে গেলেই সুরিটোলার কাছে ২৯/১ নর্থ সাউথ রোডের বংশালে হোটেল আল-রাজ্জাকের অবস্থান।
সকাল-দুপুর-বিকেল-রাত— সারাক্ষণই হোটেলটি জমজমাট থাকে। এখানে সারা দিনরাতই খাবারের ব্যবস্থা আছে জানান আনোয়ার হোসেন। মধ্যরাতেও এখানে দূর-দূরান্ত থেকে ভোজনরসিকরা খাবারের স্বাদ নিতে ছুটে আসেন। এখানে একসঙ্গে ২০০ থেকে ২৫০ জন খাবার খেতে পারেন।



খাবারের মধ্যে অন্যতম
সকালে স্যুপ, খাসির পায়া, খাসির কলিজা, মগজ, মুরগির গিলা-কলিজা, মুরগির ডাল গোশত, রুটি, পরোটা ও বিভিন্ন ধরনের সবজি।
দুপুরে আছে কাচ্চি, চিকেন বিরিয়ানি, ভুনা খিচুড়ি, ভাত, বিভিন্ন ধরনের মাছ। তা ছাড়া মুরগি মোসাল্লাম, খাসির পায়া, খাসির কোরমা, বিভিন্ন রকমের দোপেঁয়াজি ও কালিয়া, সবজি এবং এখানকার স্পেশাল খাবার গ্লাসি তো আছেই।
বিকেলের নাশতায় পরোটা, রুটি চিকেন টিক্কা, বটি কাবাব, সবজি, ফালুদা ও লাচ্ছি। রাতে মুরগির রোস্ট, মুরগি মোসাল্লাম, গ্লাসি, ফিরনিসহ সব ধরনের খাবারই পাওয়া যায় কেবল কাচ্চি বিরিয়ানি বাদে।

কাচ্চি বিরিয়ানি কেবল দুপুরেই হয়, যেমন আস্ত খাসি ফরমাশ না দিলে পাওয়া যায় না!
এখানে গরুর মাংসের কোনো খাবার আপনি পাবেন না। আর হোটেল আল-রাজ্জাকের খাবারের স্বাদ নিতে আপনাকে পুরান ঢাকার বংশালেই আসতে হবে। কারণ, কোথাও এর কোনো শাখা নেই। ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.