সমাজ থেকে কল্পিত দ্বন্দগুলো দূর হোক।
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সানি লিওন (জন্ম-১৯৮১ সালের ১৩ মে)[ ভারতীয় বংশোদ্ভূত কানাডীয়ান পর্নো তারকা যিনি ম্যাক্সিম ম্যাগাজিনের ২০১০ সালে বিশ্বের সেরা ১০ পর্ণো স্টারের একজন হিসেবে নির্বাচিত হন। ]
প্রাথমিক জীবন
সানি লিওনের কানাডার ওন্টারিওর সার্নিয়া শহরে। বাবা ছিলেন তিব্বতী আর মা হিমাচল প্রদেশের মেয়ে। ছেলেবেলা থেকেই সানি খুব দুরন্ত।
ছোটবেলায় পথে পথে ছেলেদের সঙ্গে খেলাধুলায় মেতে থাকত। একটু বড় হয়ে প্রথমে শুরু করে হকি খেলা [২]এবং পরবর্তীতে আইস স্কেটিং। [১০]শিখ ধর্মের মানুষ হয়েও[৪] তার বাবা-মা ভর্তি করেন ক্যাথলিক স্কুলে। [৪][১১] মাত্র তের বছর বয়সে মেয়েকে নিয়ে তারা চলে আসেন আমেরিকার মিশিগানে। পরবর্তীতে ক্যালিফোর্নিয়া চলে যান।
[১১][১২]
পেশা
একটি জার্মান বেকারিতে কাজের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল কর্মজীবন। [১৩]পরবর্তীতে ট্যাক্স ফার্মেও কাজ করেছেন। [১৪]
Leone at the 2002 Adult Entertainment Expo, one of her earliest promotional appearances
অরেঞ্জ কাউন্টিতে নার্স হিসেবে চাকুরি করার সময় এখানেই জন স্টিভেনের সঙ্গে তাকে পরিচয় করিয়ে দেন এক কাসমেট। জন পেন্টহাউস ম্যাগাজিনের একজন ফটোগ্রাফার। জনই তাকে পথ দেখান।
[৯] সানি নিজের ডাক নামটি প্রথম নাম হিসাবে ব্যবহার করা শুরু করেন। আর পেন্ট হাউস ম্যাগাজিনের মালিক তার নামের সঙ্গে যুক্ত করেন লিওন। [১৫] পেন্টহাউস ম্যাগাজিনের জন্য ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান সানি। ২০০১ সালের মার্চ মাসের ইস্যুতে পেন্টহাউস পেট হিসেবে পত্রিকাটির কাভারে ছবিটি ছাপা হয়। অনেকগুলো ম্যাগাজিনের কাভার গার্ল হবার সুযোগ পান তিনি।
[১৬]পাশাপাশি আদ্রিয়ানা সেজ, জেনা জেমসন, আরিয়া জিওভান্নির মতো প্রথম সারির পর্ণো তারকার সঙ্গেও কাজ করার সুযোগ পান।
২০০৩ সাল সানির ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট। তিনি নির্বাচিত হন ‘পেন্টহাউস পেট’। [১৭] এ বছরই পর্ণো ছবির অন্যতম সেরা নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভিভিড ইন্টারটেইনমেন্টের সঙ্গে তিন বছরের চুক্তিতে আবদ্ধ হন। তবে চুক্তির শর্ত অনুসারে কেবল লেসবিয়ান চরিত্রেই অভিনয় করতে থাকেন তিনি।
[২] সানি অভিনীত প্রথম ছবিটি বের হয় ‘সানি’ নামেই[১৮] ২০০৫ সালের ডিসেম্বর মাসে। ভিভিড এন্টারটেইনমেন্টের ব্যানারেই বের হয় পরের ছবিটিও। নাম ‘ভার্চুয়াল ভিভিড গার্ল সানি লিওন’। এভাবে কোনো অভিনেত্রীর নামে ছবি প্রকাশের ঘটনা ভিভিডের ইতিহাসে এটাই প্রথম। [১৯] এখানে তার সঙ্গে আরও অভিনয় করেন মিকালা মেনডেজ এবং ডেইজি ম্যারি।
এই ছবিটি তাকে এনে দেয় ‘এভিএন’ সম্মাননা।
ব্রাজিলে রিলিজ হয় ‘সানি ইন ব্রাজিল’ [২০]এবং ‘দ্য সানি এক্সপেরিমেন্ট’। [২১] ছবিগুলো ২০০৭ সালে বাজারে রিলিজ করে ভিভিড।
২০০৭ সালের মার্চ মাসে আবারও সানির সঙ্গে চুক্তি করে ভিভিড। চুক্তির আওতায় ছয়টি ছবিতে অভিনয় করেন সানি লিওন।
আর এবারই প্রথম কোনো পুরুষ অভিনেতার সঙ্গে কাজ করতে সম্মতি জানান তিনি। সানির বাগদত্তা ম্যাট এরিকসন এই ছবিতে তার কো-আর্টিস্টের ভূমিকায় অভিনয় করেন। [২২]পুরুষের সঙ্গে প্রথম যে ছবিটিতে তিনি অভিনয় করেন সানি সেটির নাম ‘সানি লাভস ম্যাট’। ছবিটি তাকে ২০০৯ সালের সেরা নারী অভিনেত্রীর পুরষ্কার এনে দেয়। একসঙ্গে কয়েকটি ছবিতে অভিনয়ের পর সানি উপলব্ধি করেন ম্যাটের সঙ্গে টানা অভিনয় বাজারদর কমিয়ে দিচ্ছে।
এবার তিনি অন্য অভিনেতাদের সঙ্গেও অভিনয় করতে শুরু করেন। যাদের মধ্যে রয়েছেন টমি গান, চার্লস ডেরা জেমস ডিন প্রমুখ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।