আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সোভিয়েতস্কি কৌতুকভ সংগ্রহ (১৮+) ... ২

ভাল লাগে স্বপ্নের মায়াজাল বুনতে...

সোভিয়েতস্কি কৌতুকভ সংগ্রহ (১৮+) [মুখবন্ধ: রাশিয়া যখন সোভিয়েত রাশিয়া ছিল, তখন এই কৌতুকগুলো প্রচলিত ছিল! সোভিয়েতস্কি কৌতুকভ নামে মাসুদ মাহমুদের একটি বই আছে, বেশীর ভাগ কৌতুক সেখান থেকে সংগ্রহ করা। এখানে হয়তো অনেকগুলো এমন কি সবগুলোই কারো কারো কমন পড়ে যাবে... কিন্তু কি আর করা কৌতুক তো কৌতুকই... ] ১. দুই সৈনিকের মধ্যে কথা হচ্ছে। প্রথম সৈনিক: হিব্রু ভাষাটা শেখা দরকার। দ্বিতীয় সৈনিক: হিব্রু ভাষা কেন? প্রথম সৈনিক: স্বর্গে নাকি হিব্রু ভাষা চালু আছে! দ্বিতীয় সৈনিক: তুই স্বর্গে যাবি নাকি? নরকে গেলে কি করবি? প্রথম সৈনিক: কেন রুশ ভাষা জানা আছে তো! ২. সেই সৈনিককে মৃত্যুর পরে যমদূত এসে নিয়ে গেল। অনেক আরাম আয়েশ করে দিন কাটাতে থাকলো।

স্বর্গে অনেক শান্তি। কিন্তু সোভিয়েত রাশিয়ার সৈন্য বাহিনীর কারো স্বর্গ প্রাপ্তি হয়েছে বলে সে জানে না। একদিন সে এক প্রহরীকে বলে বসলো, আচ্ছা আমি এমন কি পূণ্য করেছি যে আমাকে তোমরা স্বর্গে পাঠালে? প্রহরী: কে বললো এটা স্বর্গ? সৈনিক: কেন, এখানে তো অনেক সুখ শান্তিতেই আছি আমি। প্রহরী: তুমি কোথা থেকে এসেছো বলতো? সৈনিক: সোভিয়েত রাশিয়া! প্রহরী: ও তাহলে তো ঠিকই আছে...। ৩. একবার প্রেসিডেন্স ক্রুশ্চেভ গেলেন আমেরিকা সফরে।

সেখানে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট তাকে শ্রমিকদের সাথে এক মত বিনিময় সভায় নিয়ে গেলেন এবং ক্রুশ্চেভের সামনে ঘোষনা দিলেন, "আজ থেকে তোমাদের বেতন দ্বিগুণ করা হলো"। শ্রমিকরা খুব খুশি। তখন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট বললেন, "দেখলেন আমাদের শ্রমিকরা কত খুশি!" আমেরিকান সেই প্রেসিডেন্টকে রাশিয়ায় দাওয়াত দিলেন ক্রুশ্চেভ, এবার তিনি শ্রমিকদের সাথে একটি সভায় নিয়ে গেলেন আমেরিকান প্রেসিডেন্টকে এবং বললেন, "দেখবেন আমাদের শ্রমিকরা কত খুশি এখানে। " তিনি শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে বললেন, "আজ থেকে সবার বেতন কমিয়ে অর্ধেক করা হলো। " প্রচন্ড করতালি।

তিনি বললেন, "আজ থেকে প্রতি ১০ জনের একজনকে শ্রমশিবিরে পাঠানো হবে। " প্রচন্ড করতালি। তিনি এবার বললেন, "আজ থেকে প্রতি ২০ জনের একজনকে ফাঁসিতে ঝুলানো হবে। " এবারো প্রচন্ড করতালি। হঠাৎ একজন দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করলো, "ফাঁসির দড়ি কি আমরা নিয়ে আসবো না ট্রেড ইউনিয়ন সরবরাহ করবে?" ৪. প্রশ্ন: রাস্তার মোড়ে যদি কোন নারীর সাথে সঙ্গম করা হয় তাহলে কি হবে? উত্তর: উপদেশের ঠেলায় কান ঝালাপালা হয়ে যাবে।

৫. সৈনিকদের ক্লাশ নিচ্ছেন ক্যাপ্টেন। মাধ্যাকর্ষন সম্পর্কে বুঝাচ্ছেন। তিনি বললেন, কোন কিছু যত উপরেই ছুঁড়ে দেয়া হয় না কেন তা আবার মাটিতে এসে পড়বে। হঠাৎ এক সৈনিক দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করলো, স্যার মাটিতে না পড়ে যদি পানিতে পড়ে তাহলে? ক্যাপ্টেন: ওটা নৌবাহিনীর ব্যাপার তোমার না জানলেও চলবে। ৬. একলোক প্রতিদিন বারে যায় মদ খেতে।

তবে খাওয়া শুরুর আগে দেয়ালে টাঙ্গানো স্তালিনের ছবির দিকে মুখ করে বসে এবং পেগের পর পেগ খেতে থাকে। তো একদিন বারের ওয়েটার কৌতুহলী হয়ে জানতে চাইল, 'স্যার প্রতিদিন ঐ লোকটার ছবি সামনে রেখে পান করেন কেন?' 'যখন ঐ বাজে লোকটাকে ফেরেস্তা মনে হতে থাকে তখনই বুঝে যাই, আমার নেশা হয়েছে, আর খাওয়া ঠিক না। ' ৭. দুই গবেষক কথা বলছে- - আচ্ছা সমাজতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা মার্কস, এঙ্গেলস আর লেনিনকে আমরা বিজ্ঞানী বলতে পারি? - কখনোই না। - কেন? - কারণ বিজ্ঞানীরা তাদের ধারণার প্রথম প্রয়োগ করে আগে গিনিপিগের উপর, মানুষের উপর নয়। ৮. জেনারেল ক্রুশ্চেভ একবার একটি শুয়োরের খামার পরিদর্শনে গেলেন।

শুয়োরের খাচার সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুললেন। কিন্তু সাংবাদিকরা পড়লো মহা বিপদে। কাল সকালে পত্রিকায় জেনারেলের ছবি আসবে কিন্তু ছবির ক্যাপশন কি লিখবে? "শুয়োর পরিবেষ্টিত জেনারেল ক্রুশ্চেভ" - না হলো না। "শুয়োরদের সাথে জেনারেল ক্রুশ্চেভ" - না এবারো হলো না। পরদিন পত্রিকায় ছবি এল, ছবির ক্যাপশন হলো; "জেনারেল ক্রুশ্চেভ, বাম থেকে তৃতীয়"! ৯. এক ক্যাপ্টেন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে শুকিয়ে গেছেন।

পুরানো প‌্যান্টগুলো ঢিলা হয়ে গেছে। তিনি রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে বারবার প‌্যান্টটাকে টেনে তুলছেন। একভদ্রমহিলা সেটা অনেকক্ষণ ধরে খেয়াল করছিলেন। তিনি ক্যাপ্টেনের সামনে গিয়ে বললেন, বারবার এটা করা কি ভাল হচ্ছে? তখন ক্যাপ্টেন বললেন, আপনার মতে প‌্যান্টটা ছেড়ে দেওয়াই কি ভাল হবে? ১০. দুই বন্ধুর গল্প হচ্ছে। - জানিস, আমার মেয়েটা না বড় হয়ে গেছে।

সেদিন দেখি আয়নার সামনে দাড়িয়ে লিপস্টিক লাগাচ্ছে। - হুম, আমার ছেলেটাও বড় হয়ে গেছে। সেদিন দেখি আয়নার সামনে দাড়িয়ে লিপস্টিক মুছছে। ১১. - মস্কোর কেজিবির হেডঅফিসটা কি দিয়ে তৈরী? - মাইক্রো-কংক্রিটে তৈরী। - মাইক্রো-কংক্রিট কি? - মাইক্রো ফোন আর কংক্রিট হলো মাইক্রো কংক্রিট।

=============================================

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।