ছেলেবেলায় যুদ্ধবিমান, দ্রুতগতির মোটরসাইকেলের প্রতি তাঁর বিশেষ টান ছিল। মনে করতেন, একবার চেপে বসতে পারলে হতো। বছর ১৪ আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় একবার যুদ্ধবিমানে চাপার সুযোগ হয়েছিল। তাতে ছোটবেলার শখ উবে গেছে। কী ভয়টাই না পেয়েছিলেন!
ভয় পেলে কি আর ভাগ্য পিছু ছাড়ে? যুদ্ধবিমান ভয় পাওয়া সেই লোকটিই এখন ‘বৈমানিক’।
নাম তাঁর গ্রুপ ক্যাপ্টেন শচীন রমেশ টেন্ডুলকার। হ্যাঁ, সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানের নামের আগে সত্যি সত্যিই ‘গ্রুপ ক্যাপ্টেন’ শব্দটা লাগিয়ে দিয়েছে ভারতীয় বিমানবাহিনী।
জাতীয় জীবনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীতে সম্মানসূচক একটা পদবি দেওয়ার রেওয়াজ আছে ভারতে। জুন মাসেই ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিল বিমানবাহিনীতে টেন্ডুলকারের অন্তর্ভুক্তি অনুমোদন করেছিলেন। সেই অনুযায়ী গতকাল সেই অনুযায়ী টেন্ডুলকারের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে র্যাঙ্কিং তুলে দিলেন ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল পিভি নায়েক।
র্যাঙ্কিং গ্রহণের আগে টেন্ডুলকারকে কিছু মৌলিক ট্রেনিং নিতে হয়েছে। তারপরই সম্মানসূচক এই পদবি গ্রহণের অনুষ্ঠানে টেস্ট ও ওয়ানডের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক ব্যাটসম্যান বললেন, ‘এটা আমার জীবনে সর্বোচ্চ সম্মান...একটা পর্যায়ে আমরা সবাই আকাশ ছুঁতে চাই। ’
এর আগে ২০০৮ সালে ক্রিকেটারদের মধ্যে সাবেক বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কপিল দেবকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সম্মানসূচক লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। টেন্ডুলকার বিমানবাহিনীতে সম্মানসূচক নিয়োগ পাওয়া প্রথম ভারতীয় ক্রীড়াবিদ।
টেন্ডুলকারকে নিয়ে ভারতীয় বিমানবাহিনী এ পর্যন্ত ২১ জন বেসামরিক ব্যক্তিকে সম্মানসূচক নিয়োগ দিয়েছে।
১৯৭৪ সালে এয়ার ভাইস মার্শাল পদে নিয়োগ পান শিল্পপতি জেআরডি টাটা।
ভারতীয় বিমানবাহিনীতে টেন্ডুলকারের ভূমিকা হবে মূলত বাহিনীর শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজ করা। নিজের দায়িত্ব পালনে সর্বোচ্চ চেষ্টা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন টেন্ডুলকার, ‘একজন ভারতীয় হিসেবে বহুমাত্রিক এই বাহিনীর সদস্য হতে পেরে আমি গর্বিত। এই বাহিনীর সেরা শুভেচ্ছাদূত হওয়ার জন্য আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। ’
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।