আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গ্রুপ ওয়ার্ক

"ব্লগকে সিরিয়াসলি নেবার কিছু নেই"...গরীব স্ক্রীপ্ট রাইটার

আমরা প্রথম যে গ্রুপে ছিলাম সেখানে আমরা ৪জন মেম্বার ছিলাম, আমরা ২ বান্ধবী আর ২টা ছেলে। এদের একজন সব কিছুতেই বেশি বুঝতে চাইতো যদিও বুঝতো অনেক কম। ওকে মাইক্রোইকোনোমিক্স পড়াতে গেল আমার বান্ধবী। আমি বরাবরই এসব থেকে দূরে থাকতে চাইতাম, পড়াশুনা এত করে কি হবে!!! কিন্তু ওই ছেলের রিকোয়েস্টে আমার বান্ধবী পড়াতে চেষ্টা করতো। ও এত প্রশ্ন করতো যে মেজাজ খারাপ হয়ে যেত।

ওকে বুঝাতে দেখে আমিই বুঝে যেতাম তারপর আমরা ২জন মিলে বোঝানোর চেষ্টা করতাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সে বোঝে নি এটা আমরা বুঝতাম কিন্তু সে বোঝার ভান করতো। আমরাও আর প্যাচাতাম না। এই ছেলের কাহিনী বলে শেষ করা যাবে না। সে নিজেকে ঢাকার ছেলে বলে একটা হনু মনে করতো।

এবং সবকিছুতেই নাক সিটকাতো। আর সারাদিন মানুষের চেহারায় দোষ বিশেষকরে আমাদের ২টাকে গিনিপিগ পেয়ে যা খুশি তাই বলতো। একদিন আমরা ২জনে ঠিক করলাম এইটাকে এবার একটু সাইজ করবো। ওই ছেলে আসল সাড়ে ৯টার দিকে। এরপরই ঘপাতের ক্লাস তাই এ মুহূর্তে বাইরে যাওয়া একটু রিস্কি।

আমরা ২জনই ওকে দেখে হাসি শুরু করলাম। ও একটু অবাক হয়ে বলল, কি হয়েছে, হাসো ক্যান? আমরা বলি, তোমার.... তোমার…. আমার...আমার...কি!! তুমি আজকে সকালে আয় না দেখেছো? হ্যা দেখেছি...কেন কি হয়েছে? ঠিকমত দেখেছো?.... হ্যা দেখেছি... তুমি এক কাজ করো যাও আয়না দেখে আসো (ঘপাতের ক্লাস তাই যেতে পারবে না, তাই আরো উৎসাহ দিচ্ছি আমরা) এবার সে ক্লাসের মেয়েদের কাছে আয়না খুজতে লাগলো। কিন্তু মেয়েদের কাছে নাই। উপায় না দেখে সে তার ব্যাগ থেকে একটা সিডি বের করলো, সেটাকে আয়না হিসেবে বহুত কষ্টে দেখলো না কিছুই নাই আমাদের আরেক গ্রুপ মেম্বার ছিল, অলস এবং সারাদিন সে ঘুমে পড়ে যেতো। এর অলসতার রেকর্ড সে দেখিয়েছিল তার রেজিস্ট্রেশন কার্ড জমা না দিয়ে।

রেজিস্ট্রেশনের সব কাজ করে সে শুধু আলসেমি করে রেজিস্টার্ড বিল্ডিং এ কার্ড টা জমা দেয় নি। ফাইন্যাল পরীক্ষা দিতে এসে দেখে সে পরীক্ষা দিতে পারবে না। তখন দেখা গেল তার রেজিস্ট্রেশন ই হয় নি। তখন তার মনে হল সে কার্ডটা জমা দেয় নি। এরপর সে আমাদের থেকে পিছনে পড়ে গেল।

এই ছেলেটা একজন ভাল কবি। ও মাঝে মাঝে আমাদের ২/১টা কবিতা অর্থ করে বুঝাতো। অনেক ভাল লাগতো। সুখের খবর এই যে এখন সে প্রেমে পড়ার পর থেকে অনেক এ্যাকটিভ হয়ে গেছে দেখা যেতো প্রেজেন্টশনের আগ মুহূর্তে আমরা ২জন দৌড়ায় বেড়াচ্ছি ফাস্র্ট ইয়ার সেকেন্ড ইয়ারে আর এই ২জন তাদের সাজগোজ নিয়ে ব্যস্ত। একবার একটা আরেকটাকে তাদের নিরালার মেসে তালা আটকিয়ে ক্লাস করতে চলে আসলো।

একবার এক ছেলে একটা প্রেজেন্টেশানের জন্য আমাদের গ্রুপে আসলো। তারপরে আমার আসার কথা, সে তার শেষ বাক্যটা বলল, আই লাইক আউলা (বলার কথা আই উড লাইক টু ইনভাইট আউলা) আমি এমনিই প্রেজেন্টেশানে খারাপ, তারপর ওর কথা শুনে ক্লাসসহ সবাই হাসা শুরু করলো। আমি যেহেতু টেনশানে ছিলাম খেয়াল করি নি ও কি বলেছে। আমি বেকুবের মত ভাবতে লাগলাম আমি তো কিছুই বলি নি। এরা হাসে কেন!! পরে যখন শুনলাম আমারও হাসি থামে না এটা নিয়ে আমাকে কিছুদিন আগ পর্যন্তও ক্লাসমেটরা ক্ষ্যাপতো


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.