এলোমেলো ভাবনা সারাক্ষণ মনকে আচ্ছন্ন করে রাখে
যারা একটি দেশ গড়ার সময় বিরোধীতা করেছিল---তাদের বিচার কেন হবে না।
যারা একটি পতাকা ছিনিয়ে আনার জন্য জীবন বাজি রেখে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল, যারা এই দেশকে স্বাধীন করার জন্য জীবন দিয়েছিল, সেই সব সম্মানিত মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে পশ্চিম পাকিস্তান সরকার লেলিয়ে দিয়েছিল তাদের তাবেদারী রাজাকার বাহিনী। সেই রাজাকারগণ আমাদের দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করেছে, ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে, দেশের যুবকদের পাক বাহিনীর নিকট ধরিয়ে দিয়েছে, মা বোনের ইজ্জত লুট করেছে,,,এই রাজাকারগণ এই দেশের মাটিতে অবস্থান করেও অন্যদেশের নীতি আদর্শ অক্ষুন্ন রাখতে চেয়েছিল,,,,পশ্চিম পাকিস্তান সরকারের শিখিয়ে দেয়া বুলি আওরে দেশকে স্বাধীন হতে বাধা দিয়েছিল, ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত হয়েছিল। বলতে পারেন তাদের বিচার কেন হবে না??????
১৪২৯ বছর পূর্বে ২য় হিজরীর ১৭ রমজানে খুব অল্প সংখ্যক মুসলীম বাহিনী নবী করিম (সাঃ) এর নেতৃত্বে বিশাল এবং রণকৌশলে পরদর্শী ও সশস্ত্র কাফের বাহিনীর সাথে যুদ্ধ করে জয়ী হন। যুদ্ধের পূর্বেই নবী করিম (সাঃ) মুসলীম বাহিনীকে সতর্ক করে দিয়ে দেন যে কোন বৃদ্ধ, নারী, শিশু, পুরোহিত, সদাচারী ও দানশীল ব্যক্তি, পশু-পাখি হত্যা করা যাবে না এবং ফলজ গাছপালা কাটা যাবে না
বদর যুদ্ধে ১৪ জন মুসলিম সেনা শহীদ হন এবং অন্যদিকে ৭০ জন কাফির সেনা নিহত হয়।
তাছাড়া ৭০ জন কাফিরকে বন্দি করা হয়। বন্দি যুদ্ধাপরাধীদের নবী করিম (সাঃ) ক্ষমা করেন নাই। গুরুতর অপরাধের কারণে তাদের কয়েকজনকে হত্যা করা হয় এবং লুঘু অপরাধীদের বন্দি করে রেখেছিলেন মুক্তিপণ না দেয়া পর্যন্ত। আর যারা মুক্তিপণ দানে সক্ষম ছিলেন না, তাদের প্রত্যেককে মদিনার দশজন ছেলে-মেয়েকে শিক্ষাদান করাই ছিল মুক্তিপণ। সেই থেকে ঐতিহাসিক বদর যুুদ্ধ বিশ্বের ইতিহাসে হক ও বাতিলের পার্থক্য নির্ণয়কারী হিসেবে অদ্যাবধি পরিগণিত হয়ে আসছে।
যুদ্ধক্ষেত্রে কীভাবে মানবাধিকার রক্ষা করতে হয় তার শিক্ষাও আমরা বদর যুদ্ধ হতে পাই। বদরযুদ্ধের শিক্ষা হলো যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমা নেই, যুদ্ধাপরাধীরা ক্ষমার অযোগ্য।
কিন্তু স্বাধীনতার এত বছর হয়ে গেল যুদ্ধাপরাধীগণ দাপটের সাথে এদেশে চলাফেরা করেছে এবং করছে। যারা দেশকে স্বাধীন করতে যেয়ে শহীদ হয়েছেন তারা আমাদেরকে কোন দিনও ক্ষমা করতে পারবে না,,,যতদিন না এই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার না হয়।
যুদ্ধাপরাধী---যুদ্ধাপরাধী, এদের আর কোন পরিচয় নেই, এদের কোন দল, নেই,,,এরা দেশের দুশমন।
দেশের সকল মানুষ যখন একটি স্বাধীন ভূখন্ড চাচ্ছে, একটি পতাকা চাচ্ছে, একটি পরিচয় চাচ্ছে সেখানে কিছু অমানুষ পাকিস্তানের তাবেদারী করেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যারা অপরাধী ছিল,,,তাদের বিচার এখনও হচেছ, যদিও সেই সব যুদ্ধাপরাধীদের বয়স অনেক হয়েছে। তাই এদেশের জনগণকে একাত্ম হতে হবে, ঠিক যেমনটি হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের সময়। যুদ্ধাপরাধীদের জন্য কোন ক্ষমা নয়, এদের বিচার করা অবশ্যই,,,,অবশ্যই প্রয়োজন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।