ধূমপানের কারণে দেশে প্রতিবছর মারা যাচ্ছে ৫৭ হাজার মানুষ। আর ধূমপান না করেও পরোক্ষভাবে এর শিকার হচ্ছেন বছরে ১ কোটি নারী। ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে তেমন প্রচারণা না থাকায় সারাদেশে ধূমপায়ীদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বেসরকারি সংস্থা
অডিট টোব্যাকো সার্ভিস (গেটস্) এর তথ্য মতে, ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে দেশে ধূমপায়ীর সংখ্যা বেড়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। বর্তমানে দেশে প্রায় ৪ কোটি ২০ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষভাবে ধূমপান করছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, তামাক সেবনে প্রতি ১০ জন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়। পৃথিবীতে প্রতি বছর ৫৪ লাখ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে এ ঘাতক তামাক। বাংলাদেশে প্রতিবছর মারা যাচ্ছে ৫৭ হাজার মানুষ।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ২০০৬ সালের ৩০ মে একটি প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন চালু করে। তবে আজ পর্যন্ত এ আইনের যথার্থ প্রয়োগ সম্ভব হয়নি।
আইনে পাবলিক প্লেসগুলোকে ধূমপান মুক্ত এলাকা ঘোষণা করা হলেও এখনো বিভিন্ন হোটেল, মেলা, স্টেডিয়াম ও পরিবহনে দেদারছে চলে ধূমপান। শুধু তাই নয়, তামাকজাত পণ্য উৎপাদনের সাথে জড়িত কোম্পানিগুলোর কেউই মেনে চলছে না এ আইন। সরাসরি তামাকজাত পণ্যের প্রচার চালানো নিষেধ হলেও তারা কৌশলে চালিয়ে যাচ্ছে প্রচার কাজ। সমপ্রতি কৃষকদের মাঝেও তামাক চাষের প্রবণতা অনেক বেশি বেড়ে গেছে বলে গেটস্-এর তথ্য প্রকাশ করা হয়।
গেটস্-এর প্রকাশিত ২০০৯ সালের তথ্য মতে, শতকরা ২৮ ভাগ নারী আর ২৬ ভাগ পুরুষ ধোঁয়াবিহীন তামাক জর্দা, গুল, তামাক, সাদা পাতা ইত্যাদি ব্যবহার করে।
আর এ কারণে মুখ, খাদ্যনালী ও অগ্নাশয়ের ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগের মতো মারাত্মক রোগ দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডা. প্যাপট্রিক বিপুল বিশ্বাস জানান, দেশে শতকরা ৭ দশমিক ৫ ভাগ লোক কোন না কোন ক্যান্সারে আক্রান্ত। আর এর বেশির ভাগই হয়ে থাকে তামাকজাতীয় পণ্য ব্যবহারের কারণে।
গেটস্-এর অপর একটি তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের একজন অসচ্ছল ব্যক্তি প্রতিদিন ধূমপানের পিছনে গড়ে ব্যয় করে ৭ টাকা ৯০ পয়সা। হিসাবে দেখা গেছে, ধূমপায়ীদের ব্যয়ের মোট অর্থের ৬৯ ভাগ খরচ করে দেশের ৫০ ভাগ শিশুকে অপুষ্টিতে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানো সম্ভব।
(শীর্ষ নিউজ )
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।