আমরা যারা প্রতিদিন ঘরের বাহিরে বের হই কোন না কোন কাজে তাদের পক্ষে এমন একটি দৃশ্য দেখা কোন দূর্লভ কিছু নয়, যে "প্রকাশ্যে ধূমপান"। সেটা বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ভঙ্গিমায় হতে পারে, আপনার পাশ দিয়ে কেউ হেটে যাচ্ছে সেটা যেমন অস্বাভাবিক কিছু নয়, তেমনি রাস্তার ধারে দাড়িয়ে কেউ ধূমপান করছে হরহামেশাই, তাছাড়া বাস, রিকশা, দোকান পাট, শপিংমল এসব তো রয়েছেই।
ধূমপান এমন একটি বিষয় যেটাকে বন্ধ করা সম্ভব নয়, আমি বন্ধের কথাও বলছিনা। কিন্তু সাধারন যারা ধূমপান করেননা কিংবা ধূমপায়ীদের ছেড়ে দেয়া ধোয়া যাদের কাছে অসহনীয় তাদের কথা বিবেচনা করুন একবার। শিশুদের কথা এখানে অগ্রধিকারপ্রাপ্ত।
তারাই এ কুপ্রভাবের সবচেয়ে বড় শিকার। প্রসঙ্গ ছিল প্রকাশ্যে ধূমপান। বিশ্বের অনেক দেশেই প্রকাশ্যে ধূমপানের ব্যপারে কঠোর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে এবং সেখানে এ সংক্রান্ত আইনেও কঠোর বিধিনিষেধ আছে। আইনের প্রতি শ্রদ্ধায় বলুন আর আইনের ভয়েই বলুন তারা কিন্তু এ ব্যপারে বেশ সতর্ক। আমরা যদিও উন্নয়শীল দেশের বাসিন্দা কিন্তু বিশ্বের অনেক কিছুর সাথে আমার বেশ তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলছি।
কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা বেশ পিছিয়ে আছি, আমাদের মনোভাবের পরিবর্তন যেমন এর পেছনে দায়ী তেমনি সদিচ্ছার অভাবও রয়েছে। আমরা চেষ্টা করলেই এর প্রতিকার বের করতে পারি।
যদি আপনি প্রকাশ্যে ধূমপান করে থাকেন, তাহলে প্রথমেই আপনি নিজেকে সংযত করুন। তারপর প্রকাশ্যে ধূমপানরত আপনার ভাইটিকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করতে পারেন। এখানে শুধু স্ব উদ্যোগই ষথেষ্ট নয় দরকার সরকারী বিধি নিষেধের কঠোর প্রয়োগ এবং বাস্তবায়ন।
প্রকাশ্যে ধূমপান বন্ধের আন্দোলনকে সামাজিক আন্দোলনে রুপ দেওয়া উচিত। এ ব্যপারে আমাদের সবাইকে এক মতে আসতে হবে। আপনি আপনার পরিবার, কর্মস্থল এবং আপনার চারপাশকে ধূমপান মুক্ত করার চেষ্টা করুন, দেখা যাবে এ বিষয়ে আমরা অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছি।
ধূমপান-কে না বলুন এখন, এক্ষুনি আর প্রকাশ্যে ধূমপান তো নয়ই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।