আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গাছের মাথায় ঝুলছে

বিচিত্র রেস্টুরেন্টের খোঁজ করলে জাপানের নাহা জারবার ডিনার রেস্টুরেন্টের নামটি সবার আগেই আসে। গাছের মাথায় যে রেস্টুরেন্ট ঝুলতে পারে সেটা হয়তো দেখে অনেকেই চমকে উঠবেন। বাস্তবেই তাই, শহরের সেরা আকর্ষণে পরিণত হয়েছে এই গাছের ওপরের রেস্টুরেন্টটি। এটি যে গঠনগত দিক থেকেই চমকে দেওয়ার মতো তাই শুধু নয়, খাবার পরিবেশনায়ও রয়েছে চমক। একটি বুড়ো গাছের বেড়ে ওঠা শক্ত শাখাগুলোর ওপর বানানো এই রেস্টুরেন্ট মাটি থেকে প্রায় ২০ ফুট ওপরে।

এই রেস্টুরেন্টের নামকরণেই পুরো এলাকাকেই এখন 'বানায়ান টাউন' বলে চেনে সকলে। এই অসাধারণ আকৃতির রেস্টুরেন্টটিকে বলা হয় জাপানের সবচেয়ে পরিবেশবান্ধব রেস্টুরেন্ট। সারা বছরই ভিড় লেগে থাকা এই রেস্টুরেন্টে খাবারে খরচ খুবই কম। রেস্টুরেন্টটি শুধু ব্যবসায়িক উদ্দশ্যে তৈরি নয়। আসলে গাছের সঙ্গে মানুষের সেতুবন্ধ জুড়ে দিতেই রেস্টুরেন্টটির আসল উদ্দেশ্য।

এত উঁচুতে ওঠার কী ব্যবস্থা আছে_ যারা এমনটি ভাবেন তারা অবশ্য আরেকটি চমকের মধ্যেই পড়েন। কারণ অনেকেই ভেবে থাকেন এটা সত্যিকারের বটগাছ। কিন্তু তা নয়। বেশ পুরোনো কাঠের ভিত দিয়ে দাঁড় করানো এই রেন্টুরেন্টটির পেছনের দিকে রয়েছে পেঁচানো সিঁড়ি। এই সিঁড়ি বেয়ে ওঠাও বেশ রোমাঞ্চকর।

কারণ সিঁড়িগুলো এমনভাবে বসানো হয়েছে যেন সেটা বেয়ে আপনি আসলে গাছের পেটের ভেতরেই ঢুকছেন বলে মনে হবে। কখনো ঘুটঘুটে অন্ধকারে পেঁৗছে মনে হবে গাছের ভেতরের সার কাঠের ঘ্রাণে পোকামাকড়ের ঘর-বসতিতে এসে পড়েছেন। তবে গাছের পেট থেকে বের হয়ে এলেই ওপরে ওঠার পথটি দেখা যাবে। সেখান থেকে সোজা গাছের মাথায় চড়লেই রেস্টুরেন্ট। এর বিশাল জানালা দিয়ে স্বচ্ছ আর পরিষ্কার বাতাস এলে যে লোভনীয় পরিবেশ তৈরি করে সেটা বিলাশবহুল অনেক রেস্টুরেন্টেই পাওয়া যাবে না।

প্রকৃতির এতটা কাছে এসে পেট ভরে খাওয়ার পাশাপাশি মনটাও যে ভরবে সেটা আশা করাই যায়। তবে ভেতরের ইন্টেরিয়র ডিজাইনও কম চোখ ধাঁধানো নয়। প্রধমবার যারা এই রেস্টুরেন্টে গিয়েছেন তারা দ্বিতীয়বার যাওয়ার জন্যই এই চমকগুলোর ব্যবস্থা। তবে ডিনার শেষে অনেকে মজা করে সিঁড়ি বেয়ে নামার বদলে গাছ বেয়েই নামেন। কারণটা খুব সহজ, এত সুন্দর পরিবেশে এসে গাছে চড়া উপভোগ না করে ঘরে ফেরা নয়।

 

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।