আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মোবারক মাহে



মোবারক মাহে রমজান মিজান রহমান, ঢাকা থেকে আজ ১৭ রমজান। ঐতিহাসিক বদর দিবস। ৬২৪ খ্রিস্টাব্দের ১১/১৭ মার্চ শুক্রবার ইসলামের ইতিহাসের প্রথম যুদ্ধ সংঘটিত হয়। বদর প্রান্তরে সংঘটিত এই সম্মুখ সমর ইতিহাসে “বদরের যুদ্ধ” নামে পরিচিত। এ বছর থেকেই একমাস রোজা রাখবার বিধান ফরজ হয়।

এর মধ্যেই মক্কার অবিশ্বাসীরা মোহাম্মদ (স.)-এর ওপর বদরের যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়। তখন রোজা অব¯’ায় রসুল (স.) তাঁর ৩১৩ জন সাহাবী নিয়ে বদরের প্রান্তরে হাজির হন। অন্য দিকে অবিশ্বাসীদের সরদার আবু জাহেল এক হাজার যোদ্ধা নিয়ে সেখানে উপ¯ি’ত হয়। ঐ রাতেই আল্লাহ পাক রহমতের বৃষ্টি বর্ষণ করেন। বৃষ্টি কাফেরদের ওপর মুষলধারায় বর্ষিত হয়।

যার কারণে তাদের অগ্রগমনে বাধার সৃষ্টি হয়। পক্ষান্তরে মুসলমানদের ওপর বর্ষিত হয় হালকা বৃষ্টি- আল্লাহর রহমত স্বরূপ। ফলে মুসলমানগণ পাক-পবিত্র হওয়ার সুযোগ পেলেন, তাদের পদতলের বালুকা শক্ত হলো এবং পা রাখার মত অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হলো। তাদের মনও মজবুত হলো। রসুল (স.) তাঁর সাহাবীদের নিয়ে অবিশ্বাসীদের আগেই বদরের তালাব বা জলাশয়ের নিকট পৌঁছে গেলেন এবং জলাশয়ের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিলেন (আর রাহিকুল মাখতুম, সিরাতে ইবনে হিশাম)।

মদীনা থেকে ষাট মাইল পূর্ব-দক্ষিণে অব¯ি’ত একটি বাণিজ্য কেন্দ্রের নাম ছিলো বদর। তখনকার দিনে এখানে পানির প্রাচুর্য থাকায় ¯’ানটির গুরুত্ব ছিল অত্যাধিক। এখানের এই যুদ্ধটি ছিল মূলতঃ ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিজয়। এ কারণে কুরআনের ভাষায় একে “ইয়াওমুল ফোরকান” বা পার্থক্য নির্ণয়কারী দিন বলা হয়েছে। পাশ্চাত্যের ইতিহাসবিদগণও এর গুরুত্ব স্বীকার করেছেন।

প্রফেসর পি.কে হিট্টি ‘‘আরব জাতির ইতিহাস” গ্রšে’ বলেন- এটি ছিলো ইসলামের সর্ব প্রথম প্রকাশ্য বিজয়। যুদ্ধে পরাজয়ের পর মক্কার অংশিবাদীরা ছত্রভঙ্গ এবং বিপর্যস্ত অব¯’ায় ভীত-বিহ্বল চিত্তে মক্কার দিকে পালাতে শুরু করলো। লজ্জায় ও অপমানে তারা এমন দিশেহারা ও অপ্র¯‘ত হয়ে পড়লো যে, কিভাবে মক্কায় প্রবেশ করবে তা বুঝতে পারছিলো না। সর্বপ্রথম যে লোকটি মক্কার পরাজয়ের খবর পৌঁছায় তার নাম ছিলো হায়ছুমান ইবনে আব্দুল্লাহ খোবাই। এদিকে মুসলমানদের নিরংকুশ বিজয়ের পর রসুল (স.) মদীনার লোকদের কাছে এই সুখবর জানানোর জন্য আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা, জায়েদ বিন হারেছাকে (রা.) দূত করে পাঠালেন।

মদীনার মুসলমানগণ বিজয়ের খবর শুনে আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে পড়লেন। আল্লাহু আকবার ধ্বনিতে মদীনার আকাশ-বাতাস মুখরিত হয়ে উঠলো। সুতরাং আজকের দিবসে আমরা এই শিক্ষা গ্রহণ করি যে, অসত্য ও অন্যায়ের কাছে মাথা নত নয় বরং সত্য-ন্যায়ের পথে শির উঁচু করে চলতে হবে আজীবন। দলতে হবে পাপ পংকিলতার সকল উৎসকে। আল্লাহ আমাদের সকলকে সেই তাওফিক দান করুন, আমীন।

সপ্তম সংশোধনীর রায় বাস্তবায়ন করা সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ : মওদুদ হাইকোর্টের দেওয়া রায়ে সংবিধানের সপ্তম সংশোধনীর বিষয়টিকে যৌক্তিক বলে মনে করেন বিএনপি’র ¯’ায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেকমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় তার গুলশানের বাসায় সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, পঞ্চম সংশোধনীর রায়ের আলোকে সপ্তম সংশোধনীর রায়কে আমি যৌক্তিক বলে মনে করি। এ রায় জাতির জন্য ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ পথ নির্দেশনা হিসাবে বিবেচিত হবে। ভবিষ্যতে যাতে আর কোনো সামরিক কর্মকর্তা অবৈধভাবে ক্ষমতা গ্রহণ করতে না পারে এ রায়ের মধ্যে সেই ব্যব¯’া রাখা হয়েছে। তবে, এ রায় বাস্তবায়ন করা হবে সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

সরকার এটা কিভাবে বাস্তবায়ন করে সেটাই এখন দেখার বিষয়। ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, ভবিষ্যতে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করা গেলে সামরিক শাসন ঠেকানো সম্ভব হবে। তবে, বর্তমান প্রেক্ষাপটে এ রায়কে আমি অত্যন্ত স্বাভাবিক বলে মনে করি। এটা কিভাবে কার্যকর করা হবে তা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করবে সরকারের উদ্যোগের উপর। আমাদেরকে দেখতে হবে, পঞ্চম ও সপ্তম সংশোধনীর রায়ের ব্যাপারে কি ভাবছে বর্তমান সরকার।

কোন কোন ক্ষেত্রে তারা সংশোধনী আনবেন সেটা এখন দেখার বিষয়। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, জিয়াউর রহমান এবং এরশাদের শাসনামলে দেশকে দ্রুত গণতন্ত্রের পথে ফিরে আনার ক্ষেত্রে আমি গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা পালন করেছি। অপর এক প্রশ্নে তিনি বলেন, এব্যাপারে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাইনা। তবে, এরশাদ মহাজোটের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। হাই কোর্টের এ রায়ের পর, এরশাদের বিরুদ্ধে সরকারের পক্ষ থেকে কোন ব্যব¯’া নেয়া বা না নেয়া এটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার।

জাতীয় কবির মৃত্যুবার্ষিকী পালন করলেন নজরুল প্রমীলা পরিষদ মাজারে পু®পস্তবক অর্পনের মাধ্যমে জাতীয় কবির ৩৪তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করলেন ‘নজরুল প্রমীলা পরিষদ’। শুক্রবার সকাল ৭ টায় ভাষাসৈনিক আব্দুল মতিনের নেতৃত্বে পরিষদের সদস্যগণ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মাজারে পু®পস্তবক অর্পনের মাধ্যমে এ মৃত্যুবার্ষিকী পালন করেন। এর পর তারা সেখানে কবির জীবন ও কর্মের ওপর এক আলোচনা সভার আয়োজন করেন। ভাষাসৈনিক আব্দুল মতিনের সভাপতিত্বে এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের নাতনী খিলখিল কাজী। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রওশন আরা বা”চু, মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিস, মুহাম্মদ আসাদ, এম আর মঞ্জু, কবি আমেনা খাতুন, শামসুজ্জাহান নূর, ডাঃ এম এ মুক্তাদীর, আশরাফ উদ্দিন, টিমুনী খান রিনো, মতিয়ারা চৌধুরী মিনু, হাফিজুর রহমান কবির প্রমুখ।

আলোচনা সভায় বক্তারা কবির শ্বশুরবাড়ি মানিকগঞ্জের তেওতা গ্রামে প্রতি বছর নজরুল জন্মজয়ন্তী ও মৃত্যুবার্ষিকী পালন, নজরুল প্রমীলা কমপ্লেক্স নির্মাণ, আরিচা জাফরগঞ্জ সড়কটি নজরুল প্রমীলার নামে নামকরণ, পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় অথবা ময়মনসিংহ কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে’র একটি ক্যাম্পাস ¯’াপন, মানিকগঞ্জ শহরের একটি রাস্তার নাম কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ করার দাবি জানান। এছাড়া বক্তারা শহরের তেজেন মিত্রের বাড়িতে (কবি ১৯৩৮ সালে অব¯’ান করেন) একটি স্মৃতিফলক ¯’াপন এবং নজরুল প্রমীলা স্মৃতি বিজড়িত ¯’ানগুলো জাতীয় পর্যায়ে সংরক্ষণ করার জন্য সরকারের প্রতি দাবী জানান। সংবিধানের বিষয় সংসদে মীমাংসা হওয়া উচিত : গয়েশ্বর সংবিধানের সংশোধনীর অবৈধতার বিষয়গুলো আদালতে নয়, সংসদে নিষ্পত্তি করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ¯’ায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। শুক্রবার দুপুরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই আহ্বান জানান। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, "আদালত সপ্তম সংশোধনী অবৈধ বলে রায় দিয়েছেন।

তবে সংবিধানের বিষয়গুলো জাতীয় সংসদেই মীমাংসা হওয়া উচিত। এসব বিষয় আদালতে এনে মূলত আদালত সম্পর্কে জনমনে বিরূপ ধারণা সৃষ্টি হতে পারে। " বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ এরশাদের সামরিক শাসন সংক্রান্ত সংবিধানের সপ্তম সংশোধনীকে অবৈধ বলে রায় দেয়। গয়েশ্বর বলেন, "সংবিধানের সংশোধনীগুলোর বিষয়ে আদালতে শরনাপন্ন হওয়াটা সঠিক পথ নয়। এতে সংসদের গুর“ত্ব কমে যায়।

বরং এ বিষয়গুলো জাতীয় সংসদে আলোচনা করে সমাধান করা বাঞ্চনীয়। " এক প্রশ্নের জবাবে তিনি অভিযোগ করে বলেন, "সরকার নিজের ব্যর্থতা আড়াল করতে পরিকল্পিতভাবে ২১ অগাস্ট ঘটনার সঙ্গে বিএনপি ও জিয়া পরিবারকে জড়িত করার হীন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। এর মাধ্যমে তারা জনগনকে বিভ্রান্ত করতে চায়। " এর আগে গয়েশ্বর নিজ নির্বাচনী এলাকা কেরানীগঞ্জে দরিদ্র ও দুঃ¯’ মানুষের মধ্যে সাড়ে ৪ হাজার ইফতার ও ঈদ সামগ্রীর প্যাকেট বিতরণ করেন। আবদুল্লাহপুর, রাজেন্দ্রপুর, হুক্কাপট্টি, গোশাইরঘাট, চুনকুটিয়া প্রভৃতি এলাকায় এই ঈদ সামগ্রী বিতরণকালে তার সঙ্গে ছিলেন, ¯’ানীয় নেতা নাজিম উদ্দিন , আহসানউল্লাহ চৌধুরী, শাহনেওয়াজ, অ্যাডভোকেট সেলিম চৌধুরী, মেজবাহ উদ্দিন, নুর“ল হক প্রমূখ।

গত কয়েকদিনে কেরানীগঞ্জে বিএনপির পক্ষ থেকে ১০ হাজার দরিদ্র ও দুঃ¯’ মানুষের মধ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরন করা হয়েছে বলে জানান গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। বিমানবন্দরে আবারো বৈদেশিক মুদ্রা উদ্ধার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বৃহস্পতিবার এক কোটি ৩২ লাখ টাকা মূল্যমানের বৈদেশিক মুদ্রাসহ সিঙ্গাপুরগামী এক যাত্রী গ্রেপ্তার হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ইউরোসহ সিঙ্গাপুর, ব্রিটেন, সৌদি আরব, জাপান এবং ফ্রান্সের মুদ্রা রয়েছে। সিঙ্গাপুরগামী যাত্রী জুয়েল রানার কাছ থেকে এসব মুদ্রা উদ্ধার করা হয়। তার বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।

এ নিয়ে এক মাসের মধ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দ্বিতীয় বারের মতো অবৈধ বৈদেশিক মুদ্রা উদ্ধারের ঘটনা ঘটলো। গত ১২ অগাস্ট এক কোটি ৫৭ লাখ টাকা মূল্যমানের নয়টি দেশের মুদ্রাসহ সিঙ্গাপুরগামী বাংলাদেশি যাত্রী সানিকে আটক করা হয়। গোয়েন্দা ও শুল্ক বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, জুয়েল রানার ব্যাগ যথারীতি স্ক্যানিং করে বিমানের কন্টেইনারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরে বোর্ডিং ব্রীজে তার আচরণে সন্দেহ হওয়ায় ব্যাগটি কন্টেইনার থেকে এনে আবার স্ক্যানিং করলে বৈদেশিক মুদ্রাগুলো পাওয়া যায়। শুল্ক ও গোয়েন্দ বিভাগের সুপারিনটেন্ডেন্ট সামসুল ইসলাম খান জানান, জুয়েল রানার পাসপোর্ট পরীক্ষা করে দেখা যায় এ বছরই তিনি অন্তত ১১ বার সিঙ্গাপুর গেছেন।

এতে দায়িত্বরত শুল্ক ও গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তাদের সন্দেহ হওয়ায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তিনি বলেন, এসময় তার কাছে কোনো ব্যাগ নেই বলে জানান জুয়েল। পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে কম্পিউটারে পরীক্ষা করলে তার ব্যাগ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। শুল্ক কর্মকর্তা সামসুল ইসলাম আরো বলেন, এসময় জুয়েল তার মোবাইলে কোনো একজনকে ফোন করে 'বস' সম্বোধন করে দায়িত্বরত এক কর্মকর্তাকে কথা বলতে অনুরোধ করে। পরে তার ব্যাগটি কন্টেইনার থেকে এনে আবার স্ক্যানিং করা হলে বৈদেশিক মুদ্রাগুলোর অস্তিত্ব ধরা পড়ে।

এই ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে এবং জুয়েলকে গ্রেপ্তার করে বিমানবন্দর থানায় সোর্পদ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। আবারও ঊর্ধ্বমুখি চালের বাজার ওএমএস ও ফেয়ার প্রাইস কার্ড প্রভাব ফেলতে পারেনি চালের বাজারে। নিম্ন আয়ের মানুষের চেয়ে এই চাল দিয়ে লাভবান হ”েছ ডিলার ও চাল সিন্ডিকেট সদস্যরা। ওএমএস ও ফেয়ার প্রাইস কার্ডের মাধ্যমে যেখানে চাল বিক্রি করা হয় সেখানে ক্রেতার সংখ্যা খুবই কম। খাদ্য অধিদপ্তরের সূত্র মতে, একজন ডিলার প্রতিদিন ৩ টন চাল উত্তোলন করতে পারেন।

কিš‘ প্রতিদিন ট্রাকে ১ টনের বেশি চাল বিক্রি হয়না। মেসার্স সোহেল রাইচ এজেন্সির মালিক মো: সোহেল বলেন, ওএমএসের চালে লাভবান হ”েছ ডিলাররা। অবিক্রীত চাল বেশি দামে বিক্রি করে দেয় তারা। নিম্ন মানের চাল বলে অভিযোগ রয়েছে ক্রেতাদের। শরীয়তপুর রাইচ এজেন্সের মালিক মো: দ্বীন ইসলাম জানান, গত সপ্তাহের তুলনায় বস্তা প্রতি চালের দাম বেড়েছে ৬০/৭০ টাকা।

ওএমএস ও ফেয়ার প্রাইস কার্ড প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঐ সব চাল কতজন লোকে কিনতে যায়। রমজানে সবাই একটু ভাল মন্দ খেতে চায়। চালের পাশাপাশি বেড়েছে কাঁচা মরিচ, ঢেড়শ, বেগুন, রসুন, সিমের দাম। কমেছে আলু, করল্লা, বরবটি, শসার দাম এবং অন্যান্য পণ্যের দাম ¯ি’তিশীল রয়েছে। শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে চাল প্রতি কেজি নাজিরশাইল পাইকারি ৪১-৪২ টাকা, খুচরা ৪২-৫০ টাকা, মিনিকেট পাইকারি ৩৭.৫০-৩৯ টাকা, খুচরা ৪০-৪২ টাকা, লতা পাইকারি ৩২ টাকা, খুচরা ৩৭ টাকা, পাইজাম পাইকারি ৩৩ টাকা, খুচরা ৩৫ টাকা, মোটা চাল পাইকারি ২৮ টাকা, খুচরা ৩০ টাকা, স্বর্ণা পাইকারি ৩৩.৫০ টাকা, খুচরা ৩৫-৩৭ টাকা, পোলাও চাল ৮০ টাকায় বিক্রি হ”েছ ।

মশলার মধ্যে আদা দেশি কেজি প্রতি ১৭০ টাকা, চায়না ১২০ টাকা, রসুন ১৫০-১৬০ টাকা, পিঁয়াজ ২৬ টাকা, শুকনা মরিচ ১৪০-১৫০ টাকা, হলুদ ৩শ টাকা, ছোলা ৪৬ টাকা, বেসন ৩৫ টাকা, সয়াবিন ৮০ টাকা, সুপার ৭৫ টাকা, ৫ লিটার বোতলজাত রূপচাঁদা ৪৩০ টাকা, সরিষার তেল প্রতি লিটার ১২২ টাকা, আটা (২ কেজি) প্যাকেট ৪৬ টাকায় বিক্রি হ”েছ। সবজি বাজারে প্রতি কেজি পটল ১০ টাকা, করল্লা ২৪ টাকা, বরবটি ২৪ টাকা, পেপে ১০ টাকা, শসা ২৪ টাকা, আলু ১২ টাকা, কাঁকরোল ২০ টাকা, ঢেঁড়শ ৩২ টাকা, ধুনধুল ১৬ টাকা, কচুমুখ ২৪ টাকা, সিম ১২০ টাকা, মূলা ২০ টাকা, বেগুন ৩০-৪০ টাকা, মরিচ ৮০ টাকা, ঝিংগা ২০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকায় বিক্রি হ”েছ। মুরগি ব্রয়লার প্রতি কেজি ১২৫-১৩০ টাকা, দেশি মুরগি ২২৫-২৩০ টাকা, মাংস গর“ প্রতি কেজি ২৫০-২৬০ টাকা, খাশি ৩৪০-৩৫০ টাকা, র“ই মাছ প্রতি কেজি ২শ টাকা, ইলিশ মাছ প্রতি কেজি ৬শ থেকে ৭শ টাকায় বিক্রি হ”েছ। রাজধানীতে র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে একজন নিহত রাজধানীর তেজগাঁওয়ে শুক্রবার র‌্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে একজন নিহত হয়েছে। পুলিশ বলছে, নিহত শহিদুল ইসলাম চঞ্চল ওরফে ভাগ্নে চঞ্চল (৩২) কারাবন্দি শীর্ষ সন্ত্রাসী সুইডেন আসলামের ভাগ্নে পরিচয়ে ফার্মগেট, খামারবাড়ি ও কারওয়ান বাজার এলাকায় চাঁদাবাজি করতেন।

তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ওসি ওমর ফার“ক বলেন, রাত দেড়টার দিকে শিল্পাঞ্চলের বিএসটিআই অফিসের কাছে র‌্যাব-২ এর একটি টহল দলের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ভাগ্নে চঞ্চলের মৃত্যু হয়। তারপর র‌্যাব তার লাশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। তিনি জানান, ঘটনা¯’ল থেকে র‌্যাব একটি গাড়ি, একটি পিস্তল, একটি পাইপগান কয়েক রাউন্ড গুলি ও কয়েক বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করেছে। ময়না তদন্তের জন্য নিহতের মৃতদেহ ভোররাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি ওমর ফার“ক। স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ছাত্র গুলিবিদ্ধ রাজধানীর দক্ষিণ বনশ্রীর এ ব্লকের প্রধান সড়কে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ছাত্র দাউদ মহিউদ্দিন (২৬) গুলিবিদ্ধ হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ বনশ্রীর এ ব্লকের প্রধান সড়কে রাত ১২টার দিকে দাউদ মহিউদ্দিনসহ ৪/৫ জন মোটরসাইকেলে বসে আড্ডা দি”িছল। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে একজন গুলি ছুড়ে। গুলিটি দাউদের ঘাড়ে লাগে।

এ সময় সবাই পালিয়ে যায়। পরে ¯’ানীয় লোকজন গুলিবিদ্ধ দাউদকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। খিলগাঁও থানার অফিসার্স ইনচার্জ নাজিম উদ্দিন বলেন, বন্ধুদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে এ ঘটনা ঘটে। দাউদ সু¯’ হলে বিষয়টি নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এ ব্যাপারে এখনো কাউকে আটক করা হয়নি।

পাথরঘাটায় যুবককে কুপিয়ে জখম রাকিব ও সজীব বন্ধুত্ব সৃষ্টি করে বৃহস্পতির রাত ৯টায় আঃ ছত্তারের পুত্র সুমনকে মাছেরখালের পেট্রল পাম্পের কাছে প্রধান সড়কের পাশে কুপিয়ে জখম করে ফেলে রেখে যায়। গত বুধবার পাথরঘাটার ইউপি সদস্যা কানিজ ফাতিমার বাড়িতে বেড়াতে আসে মঠবাড়ীয়া থানাপাড়ার রাকিব (১৫) ও সজীব (১৬)। পাথরঘাটা শহরে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরতে বাহির হলে সুমনের (১৫) সাথে দেখা হয়। হয় কথোপকথন। সৃষ্টি হয় বন্ধুত্বের।

বিভিন্ন আলাপ আলোচনায় কাটে ওদের সময়। আলাপচারিতার একপর্যায়ে ওই রাতেই ঝগড়া বাঁধে সুমনের সাথে। সুমন ¯’ানীয় বিধায় রাকিব ও সজীবকে মারধর করে। বুধবার রাতেই রাকিব ও সজীব নিজেদের মধ্যে সলাপরামর্শ করে সুমনের সাথে মিলে যায়। পরের দিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে মোটরসাইকেলযোগে প্রথমে সদর হাসপাতাল এলাকায় ঘুরতে যায়।

পরে খালার বাড়ি তালতলা বাসস্ট্যান্ডের কাছে বেড়াতে যাবে বলে সুমনকে জানালে সুমন ওদের সাথে যেতে রাজি হয়। তারা পৌর শহর ছাড়িয়ে গেলে আপত্তি জানায় সুমন। কিš‘ গাড়ি থামাতে নারাজ রাকিব ও সজীব। হঠাৎ মোটরসাইকেল থেকে লাফিয়ে পরে হাঁটুতে ব্যথা পায় সুমন। দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে রাকিব ও সজীব গাড়ি থামিয়ে সুমনকে ধাওয়া করে ঘাড় ও মাথা লক্ষ্য করে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়।

¯’ানীয় লোকজন সুমনকে উদ্ধার করে পাথরঘাটা স্বা¯’্য কমপ্লেক্সে জর“রি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক সেবাচিম হাসপাতালে ¯’ানান্তর করেন। পাথরঘাটা স্বা¯’্য কমপ্লেক্সের জর“রি বিভাগে সুমনের আত্মীয়স্বজনের সাথে আলাপকালে সাংবাদিকদের এ তথ্য দেন তারা। বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ১৫ মিনিটে পিতা আঃ ছত্তার সুমনকে নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সযোগে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালের উদ্দেশ্যে রওনা হন। রাজশাহীতে ঈদ সামনে রেখে জালনোটের ছড়াছড়ি ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে রাজশাহী মহানগরীসহ আশপাশের এলাকায় জাল টাকা ছড়াতে আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে সংঘবদ্ধ একটি চক্র। অভিনব কৌশলে জাল টাকা বিতরণ ও বিনিময়ের ফলে বিপাকে পড়ছে সাধারণ মানুষ।

হাটবাজারে জাল টাকা নিয়ে ঘটছে অপ্রীতিকর ঘটনাও। এ ব্যাপারে পুলিশের সক্রিয়তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ভুক্তভোগীরা। প্রতিদিন এভাবেই জাল টাকা নিয়ে প্রতারণার শিকার হ”েছন এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষ। ভুক্তভোগী নগরীর কাঠালবাড়িয়ার ক্ষুদ্র পণ্যের ব্যবসায়ী শফিকুল জানান, জাল টাকা এতো সূক্ষ্মভাবে তৈরি হ”েছ যে, তা শনাক্ত করা যা”েছ না। তিনি স¤প্রতি জাল টাকা নিয়ে দুবার বিপাকে পড়েন।

তবে এলাকায় পরিচিতি থাকায় আইনি ঝামেলা থেকে তিনি দুদফাই রক্ষা পান। বর্তমানে রাজশাহী মহানগরীতে ৫০, ১০০ ও ৫০০ টাকার জাল নোটই বেশি জাল পাওয়া যা”েছ। ব্যাংক কর্মকর্তা নূর ইসলাম বলেন, জালিয়াত চক্রটি কৌশলে ২০ টাকার নোটের ছাপ উধাও করে তার ওপর ৫০ টাকার নোটের ছাপ বসিয়ে দি”েছ। সেই টাকা সহজ সরল সাধারণ মানুষের কাছে ৫০ টাকার নোট বলে চালিয়ে দি”েছ চক্রের সদস্যরা। তিনি জানান, একই প্রক্রিয়ায় ৫০ টাকার নোটের ছাপ উধাও করে বসানো হ”েছ ১০০ টাকার নোটের ছাপ।

এ জাতীয় জাল টাকা শনাক্তকারী মেশিনেও ধরা পড়ছে না। খুব সূক্ষ্মভাবে না দেখলে এ জাল নোট ধরার কোন উপায়ও নেই। ভুক্তভোগীরা জানান, জালনোট পুরোনো হয়ে গেলে বা হাতের স্পর্শে ময়লায় নোটের রং বিবর্ণ হয়ে গেলেই বিষয়টি ধরা পড়ছে। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় ৫০০ টাকার জাল নোটও পাওয়া যা”েছ। নিউমার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী জনাব আলী জানান, প্রায়ই তিনি জাল টাকার বিড়ম্বনার মধ্যে পড়েন।

তিনি বলেন, দেখে বোঝার উপায় নেই নোটটি জাল। তিনি জানান, রমজান মাসের শুর“ থেকেই জাল নোট পাওয়ার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি আরো বলেন, আগে ২০, ৫০ ও ১০০ টাকার নোট ভিন্ন ভিন্ন মাপের ছিল বলে সহজেই তা শনাক্ত যেত। বর্তমানে এসব নোটের মাপ একই রকম হওয়ায় সমস্যা হ”েছ বেশি। যে কারণে টাকা লেনদেনের ব্যাপারে তাকে সবসময় সতর্ক থাকতে হ”েছ।

জাল টাকাসহ আটক হলে আইন অনুযায়ী শাস্তির বিধান সম্পর্কে রাজশাহী জজকোর্টের এডভোকেট শাহাদাৎ হোসেন বলেন, বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫-এর ক’ ধারায় শাস্তির বিধান হলোÑ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ড। কেউ না জেনে জাল টাকা নিলে এবং তা ব্যবহারের চেষ্টা করে ধরা পড়লে তাকে প্রথম অব¯’ায় এ আইনেই আটকের বিধান রয়েছে। সে অপরাধী কিনা, তা বিচার পর্বের বিষয়। এদিকে জালনোট চক্রের তৎপরতা বৃদ্ধি সম্পর্কে রাজশাহী মহানগর পুলিশের একটি সূত্র জানায়, শুধুমাত্র নগরীতে নয়, পুরো উত্তরাঞ্চলে এই জালনোট চক্রটি সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তিনি জানান, চক্রটিকে শনাক্ত করতে পুলিশের একটি গোয়েন্দা দল ইতিমধ্যে কাজ করছে।

নাসিমের মৃত্যুর চার দিন পরও আসামি গ্রেফতার হয়নি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মী নাসির“ল্লাহ ওরফে নাসিমের মৃত্যুর ঘটনার চারদিন অতিবাহিত হলেও কোন আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। টানা ৮ দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত সোমবার বিকালে চিকিৎসকরা নাসিমকে মৃত ঘোষণা করেন। গত ১৫ আগস্ট ইফতারের টোকেন নেয়াকে কেন্দ্র করে সভাপতি আওয়াল কবির জয় (বহিষ্কৃত) গ্র“পের সমর্থকরা সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম (বহিষ্কৃত) অপু গ্র“পের সমর্থক নাসির“ল্ল¬াহ নাছিমকে বেধড়ক মেরে শাহ মাখদুম হলের দোতলা থেকে ফেলে দেয়। পরে তাকে গুর“তর আহত অব¯’ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় অপু গ্র“পের সমর্থক পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র আজম আলী বাদী হয়ে সভাপতি (বর্তমানে বহিষ্কৃত) আওয়াল কবির জয় গ্র“পের ১০ জনকে আসামি করে গত ১৫ আগস্ট একটি মামলা দায়ের করে।

কিš‘ মামলা করার ১০ দিন অতিবাহিত হলেও আজ পর্যন্ত কোন আসামি গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। মামলায় হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট, হামলা, চাঁদাবাজির অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলার আসামিরা হলোÑ জাহিদ (সমাজকর্ম), লুৎফর (প্রাণিবিদ্যা), জহুর“ল (লোকপ্রশাসন), তৌফিক (বাংলা), র“হুল ও সাইদ (রাষ্ট্রবিজ্ঞান), নাছির (মনোবিজ্ঞান), খালেদ হাসান (ব্যব¯’াপনা), ইমতিয়াজ জামান রকি (ভূগোল) ও আরিফ (গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা)। ঘটনার দিন পুলিশ এস এম হলে তল্লাশি করে ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে একই হলের ছাত্র ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান মাস্টার্সের সাইদ ও চতুর্থ বর্ষের র“হুল আমিনকে আটক করে। পরে এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে চালান দেয়।

ব্যাস, ওই পর্যন্তই। এর পর মামলার অন্য আসামিদের আর গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। মতিহার থানার ওসি আবুল খায়ের জানান, মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ওসি বলেন, ওইদিন নাসিমের মৃত্যুর খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথেই আসামিরা গা ঢাকা দিয়েছে। যে কারণে তাদের খুঁজে পাওয়া যা”েছ না।

তবে তাদের গ্রেপ্তারের জন্য বর্তমানে সম্ভাব্য সকল ¯’ানে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। উল্লে¬¬খ্য, গত ৭ আগস্ট সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলিতে এক কর্মী গুলিবিদ্ধসহ ১০ কর্মী আহত হয়। ওই ঘটনায় পাল্টাপাল্টি দুটি মামলা হয়। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ ওই দিনই রাবি ছাত্রলীগের কার্যক্রম ¯’গিত করে। এর আগে পুলিশ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদককে গ্রেফতার করে।

এরই সূত্র ধরে গত ১৫ আগস্ট ইফতারির টোকেন ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ছাত্রলীগের জয় গ্র“পের কর্মীরা অপু গ্র“পের কর্মী ও ইতিহাস বিভাগের নাসিমকে শাহ মাখদুম হলের দোতলা থেকে নিচে ফেলে দেয়। পরে ২৩ আগস্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অব¯’ায় নাসিম মারা যায়। এর প্রক্ষিতে ছাত্রলীগের রাবি শাখা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। শরীয়তপুরে স্বে”ছাসেবক দলের ইফতার মাহফিল জাতীয়তাবাদী স্বে”ছাসেবক দলের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শরীয়তপুর জেলা শাখার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় শরীয়তপুর সদরের চৌরঙ্গী মোড়¯’ জেলা বিএনপি কার্যালয়ে এ আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

শরীয়তপুর জেলা স্বে”ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ভিপি র“হুল আমীন মুন্সীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক জিএস কাউন্সিলর খলিলুর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, শরীয়তপুর পৌর বিএনপির সভাপতি আঃ মান্নান মাদবর, সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর দুলাল খান, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মাহবুব আলম তালুকদার, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি আঃ জব্বার খান, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সাবেক বি এম মহিউদ্দিন বাদল, সভাপতি এজাজুল ইসলাম মামুন, বিএনপি নেতা এড. মোসলেম খান, জেলা স্বে”ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক জি এস মনির“জ্জামান র“বেল, অলিউর রহমান খান, এড. জালাল আহমেদ সবুজ, আকতার“জ্জামান, মাসুদ কাজী, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জামাল উদ্দিন বিদ্যুৎ, যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বিপ্লব, সদর উপজেলা স্বে”ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোঃ শামীম খান প্রমুখ। এ সময় উপ¯ি’ত ছিলেন, জেলা কৃষক দলের সভাপতি কাউন্সিলর হার“ন অর রশীদ, পৌর প্যানেল মেয়র আঃ রাজ্জাক মোল্যা, বিএনপি নেতা এড. কামর“ল হাসান, জেলা স্বে”ছাসেবক দলের সদস্য নুর“ল ইসলাম কাজল, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুর রহমান আমান, মাহবুব আলম খায়ের, জিয়াউল হক জিয়া, সদর উপজেলা স্বে”ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ। পতœীতলায় হাঁস পালনে হজরত আলীর মাসিক আয় ১৫ হাজার টাকা নওগাঁ-নজিপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশেই চোখে পড়ল এক ব্যক্তি বয়স (৪৫)। পরনে লুঙ্গি গায়ে গেঞ্জি পাশেই একটি ছাতা হাতে একটি ছড়ি। গায়ের রং শ্যামলা, মুখে ঘন লম্বা দাড়ি ও মাথায় টুপি।

জিজ্ঞেস করতেই হেসে উঠে বললেন আপনাকে আমি চিনি আপনি সাংবাদিক। আমি আমার খামারের পাতিহাঁসগুলো রাস্তার পাশে জলাশয়ে চড়ানোর জন্য এনেছি। এটিই আমার প্রতিদিনের কাজ। আলাপ করতেই তিনি জানালেন, আমি এবং আমার পরিবারের জীবন-জীবিকা চালানোর জন্য প্রথম জীবনে প্রায় ১২ বছর ধরে ভ্যান-রিকসা চালিয়েছি। এখন আর চালাই না প্রায় ৬ বছর ধরে আমি এ হাঁসের খামার করে এর আয় থেকে সংসার চালিয়ে আসছি।

সে জানায়, আমার বাড়ি নওগাঁর পতœীতলা উপজেলার নজিপুর ইউপির কাঞ্চন গ্রামে পিতা মৃত গোলাম রসুল। তার পারিবারিক কথা বলতে গিয়ে বললেন, আমার বাবা শ্রমজীবী মানুষ ছিলেন। আমি পৈত্রিক সূত্রে ভিটা ছাড়া আর কিছুই পাইনি। আমার পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৬ জন। আমার বড় ছেলে মোঃ হানিফ (১৮) হাফেজ, মেজ ছেলে মোঃ সাজ্জাদ হোসেন (১৫) সেও হাফেজ ছোট ছেলে মোঃ সোহাগ সে কাঞ্চন প্রাথমিক বিদালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্র।

আমি হজরত জহর উদ্দীন (রহ.) মাজারের খাদেম। প্রতি শুক্রবার সেখানে জুমার নামাজসহ আনুষঙ্গিক কাজ আমাকে করতে হয়। এর জন্য সপ্তাহে ২০০ টাকা পেয়ে থাকি। এ হাঁস প্রতিপালনের বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে সে জানায়, আমি প্রায় ১২ বছর রিকসা-ভ্যান চালিয়ে এসেছি। এ সময় উপজেলার পাটিচরা ইউনিয়নের পাটিচরা গ্রামের ইউনুচ আলীর প্রায় ২ হাজার ৫০০ হাঁসের খামার দেখি।

এ হাঁসের খামার দেখে আমিও হাঁসের খামার করতে উৎসাহিত হই। এরপর হাঁস খামারের জন্য একটি ঘর তৈরি করি। এ ঘরে যেন সহজেই আলো বাতাস প্রবেশ করতে পারে সেই আদলে তৈরি করি। প্রথমে অস্ট্র্রেলিয়ান জাতের হাঁস (সারা বছর ডিম দেয়) উপজেলার ঘোষনগর ইউনিয়নের বরহট্টি গ্রামের বা”চু মিয়ার খামার থেকে ২০০ হাঁসের বা”চা ক্রয় করে প্রতিপালন শুরু করি। হাঁসের রোগ বালাই থেকে রক্ষার জন্য আমি নিয়মিত প্রাণিসম্পদ অফিসের কর্মকর্তাসহ এলাকার প্রতিষ্ঠিত খামারীদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতে থাকি।

তার এ কাজে সহযোগিতা করেন তার স্ত্রী পিয়ারা বেগম। হজরত আলী জানান, হাঁসগুলো নিয়মিত এলাকার জলাশয়গুলোতে চড়াই। এর পাশাপাশি ধান ও গম খাওয়াই। সে জানায় আগের মত এলাকায় উন্মুক্ত জলাশয় না থাকায় অনেকটা অসুবিধায় পড়তে হয় এর পর আমন ও বোরো মৌসুমে ক্ষেতে কীটনাশকের ছড়াছড়ি। এর কারণে সদা সর্তক থাকতে হয়।

প্রতি বছর ৫ থেকে ৭০০ বয়স্ক হাঁসগুলোকে বিক্রয় করে আবার নতুন করে বা”চা সংগ্রহ করতে হয়। এ বয়স্ক হাঁসগুলো ¯’ানীয় বাজারের প্রতিটি ১৫০-১৬০ টাকায় বিক্রয় হয়ে থাকে। হজরত আলীর কাছে এ অস্ট্রেলিয়ান জাতের হাঁস পালন করে প্রতিদিন আয়ের কথা জানতে চাইলে হেসে উঠে বলেন গত আষাঢ় মাস থেকে এ হাঁসগুলো ডিম দিতে শুরু করেছে। বর্তমানে প্রতি রাতে প্রায় ১০০টি ডিম পেয়ে থাকি। প্রতিটি ডিম ¯’ানীয় বাজারে সাড়ে ৫ টাকায় বিক্রয় করে থাকি।

এতে তার প্রতিদিন আয় হয় ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা। হজরত আলী জানায়, আল্লাহর রহমতে হাঁস প্রতি পালনের আয় থেকে নিজের পরিবারের সকল খরচ মিটিয়ে তার আত্মীয়স্বজনসহ বাহিরের লোক জনের কাছ থেকে কিছু জমি ক্রয় করেছেন বলে এ প্রতিবেদকে জানান। তাকে দেখে এলাকায় বেশ কয়েকটি হাঁসের ক্ষুদে খামার গড়ে উঠেছে। তার ই”ছা সন্তানদের উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত করার পাশাপাশি বড় করে একটি হাঁসের খামার গড়ে তোলা এবং জাতিকে আমিষের জোগান দেয়া। এ হাঁসের খামারের জন্য সরকারি অথবা বেসরকারি কোন সং¯’ার কাছ থেকে ঋণ গ্রহণ করেনি বলেও হজরত আলী জানান।

রেজেক রুজির পথ সহজ করে দেয়ার জন্য তিনি আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করেন। সাভারে ছিনতাইকারীকে গণধোলাই সাভারের বাজার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এক ছিনতাকারীকে গণধোলাই দিয়েছে উত্তেজিত জনতা। ¯’ানীয় সুত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে শাহজালাল মার্কেটে রাসেল ইসলামকে (২৬) গণধোলাই দেয় ¯’ানীয় ব্যবসায়ীরা। রায়হান এন্টারপ্রাইজের ২০ হাজার টাকা ছিনতাইকালে তাকে ধরে ফেলে কর্মচারীরা। এ সময় প্রতিষ্ঠানের মালিকের নেতৃত্বে ছিনতাইকারীকে হাত-পা বেঁধে পর্যায়ক্রমে প্রহার করা হয়।

তিনি টাঙ্গাইলের নাগরপুর এলাকার মজিবর ইসলামের পুত্র। এ ব্যাপারে ছিনতাইকারী রাসেল বলেন, মোবাইল ছিনতাই করতাম এখন ভাল হয়ে গেছি। ব্যবসায়ীরা জানায়, ছিনতাই, চাঁদাবাজি থেকে শুর“ করে সবধরনের অপকর্মে তার সম্পৃক্ততা রয়েছে। এ ব্যাপারে রায়হান এন্টারপ্রাইজের মালিক লোকমান হোসেন বলেন, ২০ হাজার টাকা ছিনতাই করার কারণে তাকে বেঁধে রাখা হয়েছে। আইনের হাতে সোপর্দ করা হবে।

শরীয়তপুরে ইসলামী ব্যাংক উদ্যোগে গোল্ডেন জিপিএপ্রাপ্তদের সংর্বধনা ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড শরীয়তপুর শাখার উদ্যোগে ২০১০ সালে এসএসসি-দাখিল ও এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীদের সংর্বধনা দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় ইসলামী ব্যাংকের শরীয়তপুর শাখার অফিসে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ব্যাংকের শরীয়তপুর শাখা ব্যব¯’াপক মোঃ ইয়াকুব আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও বরিশাল জোনের জোনাল হেড এ কে এম হার“নুর রশীদ। ব্যাংকের শাখার সেকেন্ড অফিসার মোঃ কামর“ল হাসানের পরিচালনায় এ সময় ছাত্রদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মাহমুদুল হাসান, অভিভাবকদের মধ্যে ডা. আঃ সাত্তার, শিক্ষকদের মধ্যে অধ্যক্ষ তাসলিম উদ্দিন। অনুষ্ঠানে ১৯ জন মেধাবী ছাত্রছাত্রীর প্রত্যেককে ১টি ক্রেস্ট, ব্যাগ, বই, কলম, ডায়েরিসহ নগদ ১ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।

সাতক্ষীরা সীমান্তে ভারতীয়সহ আটক ৬ অবৈধপথে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসায় এক ভারতীয় নাগরিকসহ ৬ জনকে আটক করেছে বিডিআর। শুক্রবার ভোরে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার মাদরা সীমান্তে আটক ওই ৬ জনকে বিডিআর কলারোয়া থানায় সোপর্দ করেছে। আটক ভারতীয় হলেন, উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার স্বরূপনগর থানার দরকান্দা গ্রামের বাপ্পি সরদার (১৯)। তার পিতার নাম মনির“ল ইসলাম সরদার। বাকি আটক ৫ জনই বাংলাদেশী।

এরা হলেন, সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার বজ্রবক্স গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে সাদ্দাম হোসেন (১৭), একই উপজেলার বলিয়ানপুর গ্রামের বাবর আলীর ছেলে মোতাহার আলী (২৮) ও তার স্ত্রী নাজমা বেগম (২২), যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানার কৃষ্ণনগর গ্রামের আব্দুর রবের ছেলে হুসাইন শেখ (২৮) ও ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানার মাথুরা গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে হাবিবুর রহমান (৩৫)। বিডিআর হেড কোয়ার্টার সূত্রে জানা গেছে, আটক ৫ বাংলাদেশী চিকিৎসার জন্য অবৈধপথে ভারতে গিয়েছিল। শুক্রবার দেশে ফেরার সময় সীমান্তের মেইন পিলার ১৩-এর রেফারেন্স পিলার ১০-এর কাছ থেকে কলারোয়ার মাদরা বিওপির বিডিআর সদস্যরা তাদের আটক করে। এ সময় ভারতীয় নাগরিক বাপ্পী সরদারকেও একই ¯’ান থেকে আটক করা হয়। পরে তার দেহ তল্লাশি করে ২০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে বিডিআর সদস্যরা।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শুক্র।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.