১।
আজকে কুসুমে কানাকনি হয়, চুমকুড়ি হে চপলা
আজ অধীনের দাস্যভাবে, হায়াত হাওয়া উতলা
হাওয়ার চুলে বিলি কেটে, পথ কেটে যাই দেহঘরে
রসুইঘরে বিড়াল হয়ে জিন্দেগি যায় অন্তঃপুরে । ।
বাতাস বড়ো ব্যস্ত আজি, বাউলা দিনের গেরস্থালি
আমারি আছে অভ্রধানি, আসমানের পর, গগন বিয়ালি । ।
আমার ওলানে এতো দুধ আছে, ধেনুময় স্তন
আমার গহিনে এতো জল আছে, ভালোবাসি সামুদ্রিক মন্থন।
আমি আপনি খোয়াই আপন নিবাস, তবু আমার আছে বাংলাদেশ
২।
এসো রাতভর ননি চুরি করি, ঠিক বেলালের আজানের আগক্ষণে
সাততাড়াতাড়ি ফিরে আসি, ঠিক রুজু হবার সময়
এসো রাতভর আলো কুড়াই, ঠিক জল স্নানক্লান্ত হবার আগে, প্রণয়পরিসমাপ্তির পর যে
সময় পদ্মশীতল পুকুর অপেক্ষার আড়মোড়া ভেংগে, আপনাকে জড়িয়ে ধরে ।
এসো এখনও সময় আছে, একটু বেশিক্ষণ আধিপত্য বিস্তার করি
আমাদের হারানো সংসার, আশ্রমের অগণিত বৈষ্ণবির সাথে চলে গেছে স ক ল ঈর্ষাকাতর, মধ্যবিত্ত সময়
আমরা সবাই নিজের মিছিলে ফিরে আসি
আমরা সবাই নিজের ঘরে ফিরে আসি
আমরা সবাই সঙ্গঁজীবি গুরুর খোঁজ করি
যুগলে- যুগলে আজ জড়াই জীবনী
অগ্নিবাঁধন সব পোড়ায় আজ জৈবিক গ্লানি
আমি যে পল্লবগ্রাহি, বাচাল
আমরা চলিয়া যাব মূরতি সাজিয়া
রেখে যাব আওলাদ__ অক্সিটসিনের স্বাদ, নিউরন থেকে নিয়ে চেটেপুটে খাব,
আমি এখন ক্লিনিক্যাল রোমান্টিক থিয়েটারে অস্ত্রপাতি নিয়ে ঢুকেছি । ।
আমি প্রয়াণপ্রগাঢ় চুমকুড়িতে জেগে উঠি
আমি আমার মানুষের জন্য, ঝুমকা লতার ঝুনঝুনি
৩।
লতায় লতায় কানাকানি, গোছা গোছা ফুলের ভার
জ্বলে পুড়ে খাক হয়ে যাই, দেখি, মুক্ত কলির বাহার
পাতায় পাতায় আমার শিরা ঝিঙার মত ছড়ায় মৃত্তিকায়
তোমার সুবাস দেহতন্ত্রে, দিন চলে যায় কালের মায়ায়। ।
আমার পা যে ঠুমরি-ঠমক, কী যে আমার পান্হ-গমক
একটি প্রজাপতির রঙে ফের ফিরে পাই নীলের চমক
আমার হিয়া তোমার ঘরে, আমার কালের পদ্মপাতায়
পরকালের পরম প্রিয়া টলমল; আমার বিদায় ছলছলায় । ।
হায় রে আমার হাজার পাগল, আজকে মিলি পাগলা মেলায়
ঝড়ের চিহ্নে ছিন্নভিন্ন, তরুণ ডালটি কি অসহায়, হাওয়ার খেলায়;
ফুলে-ডালে ভাঙার আগে, বাঙলা আমায় জাগতে শেখায়
মাসুম পলির বুকে আমি পুষ্প হয়ে ফুটে থাকি
তুমি আসবে বলে, পথ চেনাতে পান্হপদচ্ছাপটি আঁকি।
৪।
বাদল দিনে বিড়া-বাঁধা, শ্রাবণপ্লাবন আল্লাদে
হঠাৎ আমার ঘুম ভেঙে যায় কাল নাদে
এখন শ্রাবণ বাজায় কেবল ঝড়ের ঝুনঝুনি
রথ চলে না, পথ চিনি না, শুধু শুনি পাখির শিস
আমার খেলা খেলছো তুমি, ঝড় বলো না,
কার প্রতিনিধি তুমি, কে তোমাকে পাঠায় আমার খেলনা নিয়ে যেতে?
আমার হাওয়ার গুনগুনানি, তার চলে যাওয়ার চমক
মেদিনিমূর্ত ক্ষণে আমি মানুষ হয়ে প্রস্ফুটিত
যার প্রসবে জনম যাহার, জন্মসূত্রে আমরা সবাই জলের জমজ
প্রেম হয়ে যায় বিড়া ছিঁড়ে যেই দাঁড়ালে
যখন তুমি বললে আমায়, ওমা এই যে মানুষ, খুবই সহজ । ।
৫।
এই যে আমার বিরান পাথার, সবখানে ফুল ফুটে আছে, বিশুদ্ধ রঙ কী সহজে। জন্মে যেমন আলাভোলা, আমার খবর রাখেন যে মা, আমি শুধু তার তরঙ্গে সাঁতার কাটি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।