ঝুমকা লতার ঝুনঝুনি
১।
লতায় লতায় কানাকানি, গোছা গোছা ফুলের ভার
জ্বলে পুড়ে খাক হয়ে যাই, দেখি, মুক্ত কলির বাহার
পাতায় পাতায় আমার শিরা ঝিঙার মত ছড়ায় মৃত্তিকায়
তোমার সুবাস দেহতন্ত্রে, দিন চলে যায় কালের মায়ায়। ।
আমার পা যে ঠুমরি-ঠমক, কী যে আমার পান্হ-গমক
একটি প্রজাপতির রঙে ফের ফিরে পাই নীলের চমক
আমার হিয়া তোমার ঘরে, আমার কালের পদ্মপাতায়
পরকালের পরম প্রিয়া টলমল; আমার বিদায় ছলছলায় । ।
হায় রে আমার হাজার পাগল, আজকে মিলি পাগলা মেলায়
ঝড়ের চিহ্নে ছিন্নভিন্ন, তরুণ ডালটি কি অসহায়, হাওয়ার খেলায়;
ফুলে-ডালে ভাঙার আগে, বাঙলা আমায় জাগতে শেখায়
মাসুম পলির বুকে আমি পুষ্প হয়ে ফুটে থাকি
তুমি আসবে বলে, পথ চেনাতে পান্হপদচ্ছাপটি আঁকি।
২।
বাদল দিনে বিড়া-বাঁধা, শ্রাবণপ্লাবন আল্লাদে
হঠাৎ আমার ঘুম ভেঙে যায় কাল নাদে
এখন শ্রাবণ বাজায় কেবল ঝড়ের ঝুনঝুনি
রথ চলে না, পথ চিনি না, শুধু শুনি পাখির শিস
আমার খেলা খেলছো তুমি, ঝড় বলো না,
কার প্রতিনিধি তুমি, কে তোমাকে পাঠায় আমার খেলনা নিয়ে যেতে?
আমার হাওয়ার গুনগুনানি, তার চলে যাওয়ার চমক
মেদিনিমূর্ত ক্ষণে আমি মানুষ হয়ে প্রস্ফুটিত
যার প্রসবে জনম যাহার, জন্মসূত্রে আমরা সবাই জলের জমজ
প্রেম হয়ে যায় বিড়া ছিঁড়ে যেই দাঁড়ালে
যখন তুমি বললে আমায়, ওমা এই যে মানুষ, খুবই সহজ । ।
৩।
এই যে আমার বিরান পাথার, সবখানে ফুল ফুটে আছে, বিশুদ্ধ রঙ কী সহজে। জন্মে যেমন আলাভোলা, আমার খবর রাখেন যে মা, আমি শুধু তার তরঙ্গে সাঁতার কাটি। কী সহজে সাঁতার শিখে গেছি । ।
প্রথম যখন প্রেম শিখেছি, মালা গাঁথা শিখতে গেছি বকুল তলায়
কি সহজে তোমায় পেলাম, মাল্যদানের সময় কোথায়!
আমায় তুমি বললে কেবল, বকুল হয়ে বাঁচতে শিখ:
বকুলভরা দিনগুলো সব, আমায় করে আত্মহারা ।
।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।