বুধবার সকাল ১১টার দিকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত ঘোষণার পর থেকে আতঙ্কিত লোকজন জেলা প্রশাসন এবং নিজেদের উদ্যোগে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে শুরু করে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রুহুল আমিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কক্সবাজার শহরসহ উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে লোকজন অবস্থান নিয়েছে।
এরইমধ্যে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, শহরের পৌর প্রিপারেটরি উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়, পাবলিক লাইব্রেরি ভবনসহ আশপাশের বিভিন্ন ভবনে আশ্রয় নিয়েছে তারা।
ঘূর্ণিঝড় মহাসেন মোকাবেলায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সার্বিক প্রস্তুতির অংশ হিসেবে জেলায় একটি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ এবং ৮ উপজেলায় স্থানীয়ভাবে আটটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় এসব নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য সবাইকে অনুরোধ করেছেন জেলা প্রশাসক।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে খোলা কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের টেলিফোন নম্বর : ০৩৪১-৬৪২৫৪, মোবাইল : ০১৭১২০৭২২৭৯।
টেকনাফ উপজেলার নিয়ন্ত্রণ কক্ষের নম্বর : ০১৭২০০৯৬৭৪৪, মহেশখালীর ০১৭৩২৫৯২৩২১, কুতুবদিয়ার ০১৭১৬১৫২৮০৮, রামুর ০১৭১৫০১১২৪৫, উখিয়ার ০১৭২০২৩৯৫১৮, পেকুয়ার ০১৫৫৪৩২৫৪৪২, চকরিয়ার ০১৭১২৮৭৫০৩৭, কক্সবাজার সদরের ০১৫৫০৬০০৪২৩।
কুতুবদিয়া, মহেশখালী এবং টেকনাফের প্রত্যন্ত অঞ্চলের লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের উপ-পরিচালক একে নাজমুল হক সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মহাসেন বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমের সময় উপকূলীয় জেলাগুলোতে ঘণ্টায় ৮০-১০০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।