বাংলাদেশের মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের জন্য যে সকল হার্ডওয়্যার যেমন সার্ভার, ষ্টোরেজ, ইনক্লোজার সবকিছুউ দেয়া হচ্ছে এইচপি ব্যান্ডের। যদিও মেশিন রিডেবল পাসপোর্ড বাংলাদেশ সরকার যথারীতি জনগনের জন্য দেয়া শুরু করেছে কিন্তু এটা শুধুমাত্র এখন ঢাকায় প্রোডাকশন হচ্ছে। তার মানে সারা বাংলাদেশের পাসপোর্ড প্রোকাশন হয় এখন ঢাকা থেকে। তবে আশা করা যায় সকল আঞ্চলিক অফিস থেকে খুব তাড়াতাড়ি এমআরপি দেয়া হবে।
সবার জানা দরকার এই কাজটা করছে মালয়েশিয়ার আইরিশ কোম্পানি এবং বাংলাদেশের ডাটা এজ লিমিটেড।
আর সরাকারে পক্ষ থেকে তদারকি করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এই কাজের জন্যই চার সদস্য বিশিষ্ট একটা টিম(সেনাবাহিনীর একজন লেঃ কর্নেল, একজন মেজর, বিসিসির একজন সিনিয়র সিস্টেম এনালিষ্ট, আইরিশের পিএম) গতকাল এসেছে সিংগাপুরে এইচপির ইন্সপেকশনে। তাদের সাথে আমি এবং আমার বস (ডাটা এজ) আজ গিয়েছিলাম এশিয়ার এইচপির প্রধান কার্যালয় ও তাদের প্রোডাকশন অফিসে। আমাদের সাথে প্রথম পরিচয় করিয়ে দেয়া মিঃ সুদার্শন, কানট্রি ম্যানেজার। তিনি আমাদের সর্ক্ষন সময় দিয়েছে।
খুব ইচ্ছা ছিল ভিতর থেকে কিছু ছবি নেয়ার কিন্তু বিধি বাম। ক্যামেরা --------------নিষেধ।
আমাদেরকে নেয়ার আগে সবাইকে মাস্ক, অভার কোর্ট, সেন্সর পায়ের কাভার পরানো হল। তারপর প্রথমে নিয়ে যাওয়া হল হাই টেক সার্ভার প্রোডাশন রুমে। ওখানে গিয়ে আমারতো চোখ ছানাবড়া হয়ে গেল।
বিভিন্ন মডেলের সার্ভার দেখলাম(ডিএল, এমএল, ব্লেড)। এ রকম টেকনোলজি দেখে আমার মাথার ভিতর খুরপাক খেতে লাগলো। মনে হল না এটা পৃথিবী না অন্য কোথাও এসেছি। যাই হোক পরে নিয়ে যাওয়া হল সার্ভার ও ডিস্ক এনক্লোজার প্রোকাশন এরিয়ায় সেখানে গিয়ে অবস্থা আমার আরো কাহিল। আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না এ কোন টেকনোলজি! যাই হোক পরিদর্ষন শেষে আমরা ফিরে আসলাম আমাদের কনফারেন্স রুমে।
আমাদের সাথে পরিচয় করে দেয়া হল এইচপির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও এমডি নারিন্দা কাপুরের সাথে তিনি আমাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিলেন।
সবশেষে আমাদেরকে কিছু সুন্দর সুন্দর উপহার দেয়া হল। তারপর আমরা ফিরে আসলাম হোটেলে এক সুন্দর টেক মাথার ভিতর নিয়ে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।