বিচারপতি নিজামুল হকের একক বেঞ্চ বৃহস্পতিবার তাদের ছয় মাসের জামিন মঞ্জুর করেন।
বিএনপি নেতাদের জামিন নিয়ে আরেকটি বেঞ্চে বিভক্ত আদেশ আসার পর আবেদনগুলো এ আদালতে আসে।
আমানের আবেদনে গত ১৭ এপ্রিল হাই কোর্টের বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেনের বেঞ্চ রুল জারি করে। জ্যেষ্ঠ বিচারপতি তাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিলেও কণিষ্ঠ বিচারপতি তাতে দ্বিমত পোষণ করেন।
জাহিদ হোসেন ও শাহজাহান জামিন ওইদিনই আবেদন করলেও কয়েকজন বিএনপি নেতার জামিনে বিভক্ত আদেশ হওয়ায় জাহিদের আইনজীবী আবেদন মুলতবির আবেদন করেন।
মুলতবির সময়সীমা শেষ হওয়ার পর আমানের আবেদনের মতো তাদের দুজনের আবেদনেও বিভক্ত আদেশ আসে।
এরপর নিয়ম অনুসারে জামিনের আবেদনগুলো প্রধান বিচারপতির দপ্তরে যায়। প্রধান বিচারপতি সেগুলো পাঠান তৃতীয় বিচারপতি নিজামুল হকের আদালতে।
এই তিন নেতাই গত ১৭ এপ্রিল দ্রুত বিচার আইনে দায়ের করা মামলায় একই আদালত থেকে জামিন পান। পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগের ওই মামলায় রুহুল কবির রিজভী, জয়নাল আবদীন ফারুক ও মো. শাহজাহান জামিন পান।
অন্যদিকে বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় রিজভী ও ফারুকের বিষয়েও দ্বিধাবিভক্ত আদেশ হয়। পরে তৃতীয় বিচারপতির বেঞ্চে ফারুক জামিন পেলেও রিজভী পাননি।
তবে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি শফিউল আলম প্রধান দুই মামলাতেই জামিন পান।
গত ১১ মার্চ বিকালে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ১৮ দলের সমাবেশের শেষ পর্যায়ে হঠাৎ কয়েকটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটে এবং সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়।
এর ঘণ্টাখানেক পর বিএনপি কার্যালয় ও আশপাশের এলাকা থেকে ১৮ দলীয় জোটের ১৫৪ নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ।
এছাড়া বিএনপি কার্যালয়ে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ দশটি হাতবোমা উদ্ধারের কথা জানায়।
এ ঘটনায় দুটি মামলা করে পল্টন থানা পুলিশ। দুই মামলাতেই ফারুক, রিজভী, আমান, শাহজাহান, জাহিদ ও বিএনপির সহ তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিবকে হুকুমের আসামি করা হয়।
আদালতে আবেদনকারী পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার রাগিব রউফ চৌধুরী।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।