ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ বা সংক্ষেপে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে সরকারের একটি বলিষ্ঠ পদপে। আইনটি প্রণয়নের ফলে দেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে অনেকু অগ্রগতিও সাধিত হয়েছে। জনগণের নিকটও একটি গ্রহণযোগ্য আইনে পরিণত হয়েছে। অনেক পাবলিক প্লেস ও পরিবহন এখন ধূমপানমুক্ত।
আইনটি পালনে ব্যাপক জনসমর্থন এবং সরকারী ও বেসরকারী সংগঠনের অংশগ্রহণ থাকলেও কতিপয় সীমাবদ্ধতার কারণে আইনের প্রত্যাশিত বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে না।
যা আইন প্রণয়নের ল্য ও উদ্দেশ্যকে ব্যহত করছে ।
তামাকজাত দ্রব্য শুধুমাত্র ধূমপায়ী নয় অধূমপায়ীর জন্যও সমান তিকর এসকল দিক বিবেচনায় প্রত্য ও পরো ধূমপানের হাত থেকে জনগনকে রার ল্েয পাবলিক প্লেস ধূমপানুক্ত হওয়া প্রয়োজন। ।
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন অনুসারে সকল পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহন ধূমপানমুক্ত ঘোষনা করা হয়েছে। ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন-২০০৫ এর ধারা ২ এর (চ) তে পাবলিক প্লেস অর্থ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারী, আধা-সরকারী ও স্বায়ত্তশাসিত অফিস, গ্রন্থাগার, লিফট, হাসপাতাল ও কিনিক ভবন, আদালত ভবন, বিমানবন্দর ভবন, সমুদ্্র বন্দর ভবন, নৌ-বন্দর ভবন, রেলওয়ে স্টেশন ভবন, বাস টার্মিনাল ভবন, ফেরি, প্রোগৃহ, আচ্ছাদিত প্রদর্শনী কেন্দ্র, থিয়েটার হল, বিপনী ভবন, পাবলিক টয়লেট, সরকারী বা বেসরকারীভাবে পরিচালনাধীন শিশু পার্ক, এবং সরকার কর্তৃক, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, নির্ধারিত অন্য যে কোন বা সকল স্থান; কে বোঝানো হয়েছে।
(ছ) পাবলিক পরিবহণ অর্থ মোটর গাড়ী, বাস, রেলগাড়ী, ট্রাম, জাহাজ, লঞ্চ, যান্ত্রিক সকল প্রকার জন যানবহন, উড়োজাহাজ এবং সরকার কর্তৃক সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা নির্দিষ্টকৃত বা ঘোষিত অন্য যে কোন যানবাহনকে বোঝানো হয়েছে।
ধারা - ৪
(১) ধারা ৭ এর বিধান সাপেক্ষে কোন ব্যক্তি কোন পাবলিক প্লেসে এবং পাবলিক পরিবহনে ধূমপান করিতে পারিবেন না।
(২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর বিধান লংঘন করিলে তিনি অনধিক পঞ্চাশ টাকা অর্থদন্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
ধারা-৭ ধূমপান এলাকার ব্যবস্থা-
(১) কোন পাবলিক প্লেসের মালিক, তত্ত্বাবধায়ক বা নিয়ন্ত্রনকারী ব্যাক্তি বা ব্যবস্থাপক উহাতে এবং কোন পাবলিক পরিবহনের মালিক, তত্ত্বাবধায়ক, নিয়ন্ত্রনকারী ব্যাক্তি বা ব্যবস্থাপক উহাতে ধূমপানের জন্য স্থান চিহ্নিত বা নির্দিষ্ট করিয়া দিতে পারিবেন।
(২) কোন পাবলিক প্লেস বা পাবলিক পরিবহনে ধূমপানের স্থানের সীমানা, বর্ননা সরঞ্জাম এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
৮। সতকর্তামূলক নোটিশ প্রদর্শন- ধারা ৭ এর অধীন “ধূমপান এলাকা” হিসাবে চিহ্নিত বা নির্দিষ্ট স্থানের বাহিরে প্রত্যেক পাবলিক প্লেসের মালিক, তত্ত্বাবধায়ক, নিয়ন্ত্রণকারী ব্যক্তি বা ব্যবস্থাপক উক্ত স্থানের এক বা একাধিক জায়গায় এবং পাবলিক পরিবহনের মালিক, তত্ত্বাবধায়ক, নিয়ন্ত্রনকারী ব্যাক্তি বা ব্যবস্থাপক সংশ্লিষ্ট যানবাহনে “ধূমপান হইতে বিরত থাকুন, ইহা শাস্তিযোগ্য অপরাধ” সম্বলিত বাংলা এবং ইংরেজী ভাষায় প্রদর্শন করিবার ব্যবস্থা করিবেন।
৯। কর্তৃত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মতা- (১) এই আইনের বিধান কার্যকর করার উদ্দেশ্যে কর্তৃত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা স্ব স্ব অধিক্ষেত্রে কোন পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে প্রবেশ করিয়া পরিদর্শন করতে পারিবেন।
(২) এই আইনের বিধান লংঘন করিয়াছেন এমন কোন ব্যক্তিকে কর্তৃত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কোন পাবলিক প্লেস বা পাবলিক পরিবহন হইতে বহিস্কার করিতে পারিবেন।
বর্তমান আইনের উন্নয়নে সারা দেশের তামাক নিয়ন্ত্রনে কর্মরত কর্মীদের সুপারিশ:
১.রেষ্টুরেন্ট, সেলুন, বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, সকল কর্মস্থল ও শিল্পকারখানাসহ সকল জনসমাগমস্থলকে ধূমপানমুক্ত করা।
২.যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক সকল প্রকার জনযানবাহন ধূমপানমুক্ত করা।
৩.পাবলিক প্লেস ও পরিবহনে ধূমপানের স্থান সংক্রান্ত বিধান বাতিল করা।
৪.পাবলিক প্লেস বা পরিবহনে ধূমপান করিলে জরিমানা অনধিক পাঁচশত টাকা এবং অনাদায়ে অনধিক এক মাসের কারাদন্ডের বিধান করা।
৫.পাবলিক প্লেস ও পরিবহনে ধূমপানের ক্ষেত্রে পাবলিক প্লেসের মালিক, তত্ত্বাবধায়ক বা নিয়ন্ত্রণকারী ব্যক্তি বা ব্যবস্থাপক বা সেই পাবলিক পরিবহনের চালক, মালিক, তত্ত্বাবধায়ক, নিয়ন্ত্রণকারী ব্যক্তি বা ব্যবস্থাপক কোন ব্যক্তিকে পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহন হতে বহিস্কার করতে পারবে।
৬.পাবলিক প্লেস ও পরিবহনের একাধিক দৃষ্টিগোচর স্থানে সতর্কতামূলক নোটিশ, ধূমপানমুক্ত সাইন স্থাপন এবং প্রদর্শন করতে হবে।
৭.পাবলিক প্লেস ও পরিবহনের (আইন দ্বারা নির্ধারিত) ধূমপানমুক্ত স্থানে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় করা যাবে না।
৮.স্থানীয় সরকার কর্তৃপ ধূমপানমুক্ত স্থান নির্দিষ্ট করার মতা প্রদান।
৯.পাবলিক প্লেস ও পরিবহন ধূমপানমুক্ত রাখতে ব্যর্থ হলে পাবলিক প্লেসের মালিক তত্ত্বাবধায়ক বা নিয়ন্ত্রণকারী ব্যক্তি বা ব্যবস্থাপক বা সেই পাবলিক পরিবহনের চালক, মালিক, তত্ত্বাবধায়ক, নিয়ন্ত্রণকারী ব্যক্তি বা ব্যবস্থাপক অনধিক দশ হাজার টাকা অর্থদন্ড বা এক্ষেত্রে অনধিক তিনমাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করা বিধান।
১০.স্ট্যাম্প বা অন্য কোন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পুলিশ, স্কুল শিকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের স্ব-স্ব ক্ষেত্রে ধূমপানের স্থানের জরিমানা আদায়ের মতা প্রদান।
তামাক নিয়ন্ত্রন আইন উন্নয়নের লক্ষে সারা দেশে তামাক নিয়ন্ত্রন কর্মীরা নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সভা, সেমিনার, কর্মশালার সুপারিশের ভিত্তিতে সকলের দাবি তামাক নিয়ন্ত্রন আইন উন্নয়ন করতে হবে । আইনের সীমাবদ্ধতার কারনে তামাক কোম্পানীগুলো কৌশলে তাদের কার্যক্রম অব্যহত রেখে আমাদের তরুন সমাজকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা কি পারি না আমাদেরই তরুনদের রক্ষা করতে, ওরাতো আমাদেরই ভাই, আমাদেরই প্রাণ প্রিয় বন্ধু।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।