আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লুল সম্প্রদায়ের উতপত্তি ক্রমবিকাশ ও সার্বিক লুলালোচনা

যে মুখ নিয়ত পালায়......। ।

লুল সম্প্রদায়ের জন্য এই লেখাটা উতসর্গিত.। । লুল সম্প্রদায়ের পরিচিতিঃ লুল সম্প্রদায় বর্তমানে অধিক পরিমানে বাংলা উড়িস্যার এক জনপ্রিয় প্রজাতি।

লুলদের নিয়া চারিদিকে চলছে নানা ঘোষনা ও গবেষনা। লুলদের কার্যকলাপকে বলা হয় লুলামি। আমি এই পোস্টে লুল সম্প্রদায় নিয়া মার দীর্ঘদিনের গবেষনা প্রসূত একান্ত কিছু গবেষনালব্ধ তথ্য প্রদান করব। লুল প্রজাতির পরিচিতি দানের জন্য বলা যায় ইহারা নিরীহ প্রানী। শান্ত শিষ্ট এবং ডারউইনের মতবাদ অনুযায়ী লেজবিশিষ্ট ও বলা যায়।

লুলদের উতপত্তি ও ক্রমবিকাশ: লুলদের উতপত্তি কবে থেকে ঘটেছে তার সঠিক ইতিহাস জানা যায় নি। জানা অনেকটা দুঃসাধ্য। তবে ধারনা করা হয় যখন পৃথিবীতে এক মহিলা এক পুরুষ ছিলেন তখনই পৃথিবী ছিল লুলমুক্ত। কিন্তু যখন ই এক মহিলা ২ পুরুষ বা ২ পুরুষ এক মহিলা সৃষ্টি হয় তখন থেকেই লুলামি তথা লুলদের উতপত্তি। লুলদের উতপত্তি তখন হলেও তাদের পূর্নবিকাশ হয়েছে কম্পিউটার ইন্টারনেটের যুগে।

বাংলাদেশে ফেইসবুক নামক সামাজিক যোগাযোগের সাইট টি আসার পর থেকে লুল প্রজাতির সংখ্যা গনহারে বাড়তে থাকে এবং সেই প্রক্রিয়া এখনও বিদ্যমান আছে। লুলদের প্রকারভেদঃ লুলদের প্রকারভেদ সম্পর্কে বিস্তর গবেষনা করে জানা গেছে লুল সম্প্রদায় প্রধানত দুই প্রকারের। যথাঃ ১। পুরুষ লুল ২। মহিলা লুল অনেকেই হয়ত আশ্চর্য হবেন মহিলা লুলদের কথা শুনে।

কিন্তু তাদের অস্তিত্বও আছে। কিন্তু পাদপ্রদীপের সামনে তাদের কমই দেখা যায়। মহিলা লুলদের বিষয়টা বিজ্ঞানীদের জন্য এখনো ব্যপক গবেষনার বিষয় হয়ে রয়েছে। তবে পুরুষ লুল সম্পর্কে অনেক কথা জানা গিয়েছে। পুরুষ লুলের প্রকারভেদের মধ্যে আছে, ১।

ভদ্র লুলঃ এরা ভদ্র কিন্তু লুল প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়েছে। এরা সাধারনত ভদ্র ভাষায় লুলামি করে। মেয়েরা এই জাতীয় লুলদের অত্যন্ত পছন্দ করে। ২। অভদ্র লুলঃ ইহাদের লুলামি অতি অভদ্র ভাষাত স্তর ও মাঝে মাঝে অতিক্রম করে যায়।

ইহাদের প্রায়সই মহিলাদের ব্লগে ব্লক হতে দেখা যায়। ফেইসবুকে মাঝে মাঝে মেয়েদের ছবির নিচে যেসব অশ্লিল টাইপের কমেন্ট দেখা যায় এসব এই শ্রেনীর লুলদের কিছু কাজকর্মের নমুনা ছাড়া কিছুই নয়। কবি লুলঃ এরা কবি টাইপের ন্যাকা ন্যাকা কথা বলে। তাদের ফেসবুক স্ট্যাটাস হয় এরকম “ উফ এ কী বসন্ত বাতাস তোমার জন্য ময়না গো কাদছে আমার আকাশ” ৩। সুশীল লুলঃ এরা সকলের সাথে সুশীল ভাব দেখায়।

কিন্তু মেয়েদের সাথে চরম লুলামি করতে পারে অনায়াসে। আপনি মানেন আর নাই মানেন “ ইহাদের কিন্তু ব্যপক প্রতিভা”। ইহারা লুলামি করার সময় সুশীল ভাষা ব্যবহার করে। সুশীল লুলেরা কিছু মেয়েদের কাছে বিশেষ পাত্তা ও পায়। ৪।

বেকুব লুলঃ এই জাতীয় লুলেরা চূড়ান্ত বেকুব। বেকুব কাহাকে বলে কত প্রকার ও কি কি তা এই জাতীয় লুলদের দেখলে সাধারন পাবলিক ও বুঝতে পারবে। এদের কিছু কার্যকলাপের বর্ননা দেয়া হলঃ এদের প্রধান কাজ মেয়েদের স্ট্যাটাস লাইক মারা। ধরেন একটা মেয়ে যদি লেখে আমি এই মাত্র হাগুখানা থেকে হাগু সেরে আসলাম তাহলেও বেকুব লুলেরা লাইক মারবে। কমেন্ট দিবে ইস তুমি কি সুন্দর হাগুখানায় গিয়েছিলে।

এদের ধ্যানগ্যান হল মেয়েদের কাছে নিজেকে চামুচামি করা। এরা কমপক্ষে ৫ থেকে ১০ টা ফেসবুক একাউন্ট বানায়। তারপর নিজের স্ট্যাটাস নিজেই লাইক মারে। যাকে পায় তাকেই বলে আমার স্ট্যাটাস লাইক করেন প্লিজ। আমি প্রথমে এর হেতু বুঝতাম না।

পরে বুঝিলাম ইহারা মেয়েদের আকৃষ্ট করিবার জন্য ইহা করে। বড়ই বিচিত্র। বুদ্ধিমান মেয়েরা ইহাদের নিয়া মজা করে। বিনা পয়ষায় চামুচ পেলে কে না ব্যবহার করে বলেন। ? ৫।

জ্ঞানী লুলঃ এরা জ্ঞানী লুল। কথিত আছে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ নাকী এই গ্রুপের লুল। তবে তাহার সত্য মিথ্যা নির্নীত হয় নাই। মেয়েরা এই জাতীয় লুলদের পাগল থাকে। মেয়ের বাবা মার কাছেও এরা সম্মানিত।

তাই প্রিতম তার গানে বলেছিলেন “কবিগুরুর প্রেমে পড়লে বাবা মা গর্বিত আর আমার প্রেমে পড়লে পরে মেয়ে নির্যাতিত” তবে এইজাতীয় লুলেরা অসংখ্য প্রেম করে থাকেন বলে শোনা যায়। আমার মনে হয় এরা নারী জাতির মন বুঝার জন্য কাজটি করে থাকেন। আপাতত এই পাচ প্রকার পুরুষ লুলের বর্ননাই থাক। এবার আসি মহিলা লুলদের কথায়। মহিলা লুলেরা সংখ্যায় কম।

তাদের মধ্যে যারা ন্যাকা প্রজাতির এদের ফেসবুকে স্ট্যটাস দিতে দেখা যায়, ১। “ছেলেরা কেন আমাকে বুঝে না?” ২। “ ছেলেরা খুব খারাপ” ৩। “ছেলেরা আমাকে এত প্রেম পত্র দেয় কেন?” উপরের স্ট্যাটাসগুলোতে গনহারে লাইক এবং কমেন্ট দিতে থাকে ছেলে লুল সম্প্রদায়। বিশেষ করে বেকুব লুলেরা।

আজ এই পর্যন্তই লুল কাহিনী। আগামীতে হয়ত আরো কিছু মৌলিক গবেষনা নিয়ে আসতে পারি। সেই পর্যন্ত সবাইকে লুলীয় শুভেচ্ছা।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।