আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফিস্টুলা ক্যাম্প ও আমার নতুন দোকানের খবর

অলসদের দিয়ে কী আর হয়। আলসেমি ছাড়া!

এবারের জন্মদিনের প্রথম প্রহরে আমার একটি নতুন দোকান হয়েছে। এখানে সে সম্পর্কে বিস্তারিত লিখেছি । অনেকে জানতে চান আমাদের অগ্রগতি নিয়ে। আমাদের কাজ আমরা শুরু করেছি।

বেশিরভাগ কাজ এখন হোমওয়ার্কের। এর পাশাপাশি আমার খালা তার মিশন অব্যাহত রেখেছেন। তার একটি আপডেট দিচ্ছি এখানে। প্রতিবছর প্রায় ৫ লক্ষ মা গর্ভকালীন এবং সন্তান প্রসবের সময় মারা যায়। আর অজানা কতো সংখ্যক মা এক ভয়াবহ জীবন কাটায় তার কোন প্রকৃত হিসাব নাই।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি হয় ফিস্টুলা যাদের হয় তাদের। ফিস্টুলা হল জন্মনালীতে একটি ছিদ্র বা অপেনিং যার ফলে সার্বক্ষনিকভাবে প্রস্রাব ঝরতে থাকে। ফিস্টুলা রোগীদের ৮০‌-৮৫% আবার হয় প্রসবকালিন বাঁধার কারণে। এর একটি বড় কারণ হলো সময়মতো প্রসব না হলে মায়ের হয় সিজারিয়ান দরকার না হয় বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হয়। নেওয়া না হলে ফিস্টুলা হবে।

ফিস্টুলা রোগীরা অচিরে স্বামী-পরিবার কতৃক পরিত্যক্ত হয়। তবে, কথা হল ৯০% ফিস্টুলা রোগীকে সারিয়ে তোলা সম্ভব। বাংলাদেশে ২০০৫ সাল থেকে ইউএসএআইডির একটি প্রজেক্ট রয়েছে ফিস্টুলা রোগীদের জন্য, যার মধ্যে বাংলাদেশও আছে । আমাদের দেশের ফিস্টুলা রোগীর সংখ্যার তুলনায় এই প্রকল্পটি খুবই অপ্রতুল। এ প্রজেক্টের আওতায় পার্বতীপুরের ল্যাম্প হাসপাতালে আট শয্যার একটি ফিস্টুলা ইউনিট চালু করা হয় ২০০৬ সালে।

সেখানে দিনাজপুর-রংপুরের তথা উত্তরাঞ্চলের রোগীদের সহায়তা দেওয়া হয়। প্রতি মঙ্গলবার সেখানে অপারেশন করা হয়। এছাড়া প্রতিবছরই সেখানে কয়েকটি ফিস্টুলা ক্যাম্প করা হয় যেখানে আমার খালা প্রফেসর সায়েবা আখতারের মতো স্পেশাল সার্জনরা যান। গতকাল শনিবার থেকে সেখানে এবারের ক্যাম্পটি শুরু হয়েছে। প্রফেসর সায়েবা আখতারের সঙ্গী হয়েছেন তার স্বামী প্রফেসর জাহাঙ্গীর কবীর, ভাই ডা. মোরশেদুল আজম, ভাগনী ডা. সারোয়াত জাহান জুবাইরা এবং ভাগনে বউ ডা. শারমিন জাহান।

সেখানকার ডাক্তাররা ক্যাম্পের জন্য ১০ টি জটিল অপারেশন ঠিক করে রেখেছেন। গকতাল ৬টি সম্পন্ন হয়েছে। আজ এখন পর্যন্ত ৩টি শেষ হয়েছে। একটু আগে যেটা শেষ হয়েছে সেটা শুরু হয়েছে দুপুর ২টার সময়। আজকে আর একটি সম্পন্ন করে আমার খালারা রওনা দেবেন ঢাকার উদ্দেশ্যে।

খালা চীন থেকে ফিরেছেন বুধবার রাতে আর পার্বতীপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন শুক্রবার রাতে। একসময় ইউএসএআইডি-এনডেনজার হেলথ-এর এ প্রজেক্ট শেষ হয়ে যাবে। তখন আমাদের নিজেদেরকে ফিস্টুলা রোগীদের জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে। ঐ লক্ষ্যে আমাদের ফাউন্ডেশনটি কাজ করবে। আমরা হাসপাতাল এবং রিমোট একটিভিটির একটি বাজেট করছি এখন।

সঙ্গে রয়েছে ফাউন্ডেশনের আইনী কাজ। একটি ৪০০০ বর্গফুটের জায়গা ভাড়া নেওয়ার জন্য আলাপ আলোচনাও করা হচ্ছে। দেখা যাক আমরা কতদূর যেতে পারি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।