শেয়ারবাজারে প্রবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছে দুই সরকারি প্রতিষ্ঠান— মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটক এবং টেলিফোন শিল্প সংস্থা (টেশিস)।
প্রক্রিয়াগত প্রস্তুতির পাশাপাশি দুটি প্রতিষ্ঠানই ২০০৯-১০ অর্থবছরে প্রাতিষ্ঠানিক লাভ দেখিয়েছে। টেলিটকের নিট লাভ ছয় কোটি ৭৭ লাখ টাকা, আর টেশিসের ১৩ লাখ টাকা।
লাভের বিষয়টি নিশ্চিত করে টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মজিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ২০১২ সালের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি পুঁজিবাজারে আসবে। তবে চলতি মূলধন কম হওয়ার কারণে বড় ধরনের কোনো পদক্ষেপ নেওয়া টেলিটকের পক্ষে কঠিন।
টানা কয়েক বছর লোকসান দিয়ে প্রতিষ্ঠার পাঁচ বছর পর ২০০৯-১০ অর্থবছরে টেলিটক অনেক ভালো করেছে বলে দাবি করেন তিনি।
এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটিকে গতিশীল ও লাভজনক করার জন্য আরও দেড় হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান মজিবুর রহমান।
এর আগে ২০০৮-০৯ অর্থবছরের শুরুতে টেলিটক ৩১ কোটি টাকা লাভ করার পরিকল্পনা নিয়ে বাজেট তৈরি করলেও বছর শেষে ১০৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকা লোকসান দেয়। তবে টেলিটকের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি লোকসান গুনতে হয় ২০০৭-০৮ অর্থবছরে। মোট লোকসান ছিল ১৬২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।
২০০৬-০৭ অর্থবছরেও ৬১ কোটি নয় লাখ টাকা লোকসান হয়। আর ২০০৫ সালে ৪২ কোটি পাঁচ লাখ টাকা লোকসান দিয়ে যাত্রা করে টেলিটক।
প্রসঙ্গত, দেশের ছয়টি মোবাইল অপারেটরের মধ্যে টেলিটক হচ্ছে তৃতীয়, যারা লাভের মুখ দেখল। এর আগে গ্রামীণফোন ও রবি লাভ করতে সক্ষম হয়।
অন্যদিকে টেশিসের চেয়ারম্যান ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব সুনীল কান্তি বোস বলেন, ২০০৭-০৮ অর্থবছরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় টেশিস পুনর্গঠন শুরু হয়।
দ্রুত শেয়ারবাজারে যাওয়ার বিষয়ে সরকারের দিক থেকে একটি নির্দেশনা রয়েছে। টেশিস এ বিষয়ে তৈরি হচ্ছে। তবে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বাজারে ঢুকতে আরও সময় লাগতে পারে।
টেশিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইসমাইল জানান, দুই বছরে টেশিস ১৬ হাজার ল্যান্ডফোন সেট তৈরি করেছে, যা সরকারি পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন থেকে শুরু করে সরকারের বিভিন্ন অফিসে বিলি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) কয়েক কোটি টাকার স্লুইস কেবিনেট তৈরি, টেলিটকের ৩০ কোটি টাকার বিটিএস টাওয়ার নির্মাণ, ১২ কোটি টাকায় কয়েকটি কোম্পানির পিএবিএক্স সিস্টেম তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণ করে লাভ করেছে টেশিস।
টেলিযোগাযোগসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, নতুন বিনিয়োগের খোঁজে শেয়ারবাজারে প্রবেশ করবে প্রতিষ্ঠান দুটি। তাঁরা বলছেন, লাভের মুখ দেখায় ৪০ শতাংশ হারে সরকারকে প্রাতিষ্ঠানিক আয়কর দিতে হবে। কিন্তু শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হলে তা কমে হবে ৩০ শতাংশ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।