সমস্ত আকাশ থেকে রাত্রি আর বৃষ্টি ঝরে পড়ে
জোনাকগহন পথে
ধূপ ধোয়া বাতাসের দিকরেখা
ধরে ধরে হেঁটে গেছি;
অরণ্যানী
আকাশে কি পাতালে
মনে নাই
মধ্যরাত্রির প্রজ্বলিত তারার
হীরকদীপালী দেখে দেখে
ধ্বংস ব্যাবিলন হাতের বাঁ দিকে ফেলে
ক্ষীপ্র গতিতে
পদ্য-সুরা-পুণ্যের জাফরান, দেহ আর আত্মায়
পিষে ফেলি - পৃথিবীর ডাক ভুলে যাই
সময়ের গ্লেসিয়ারে ঠিকরে ওঠে চোখের আগুন
লুমিনাস অরণ্য মায়া...
তারপরে ছাই
কবরের গাছ থেকে ঘুঘুডাক তীব্রতর হয়
খোলা জানালার পর্দায় উড়ে বসে সাগরের নুন
অপরিচিতের কোলে শঙ্কিত শিশুর মত কুঁকড়ে যাই
আমি পেলিক্যান পাখির সন্তান
রাত ভ্রমণের সন্তাপ বুঝি নাই---
রাত একটা কুড়ির ট্রেন থেকে এখনও তীব্র ভেসে আসে
পদ্য-সুরা-পুণ্যের হুইস্যাল !
করাত তীক্ষ্ণ সব আড়াআড়ি ছায়া
আমি চিনি সব পরিহাসপ্রবণ ষ্ট্রিটল্যাম্প -
সার সার রূপান্তরিত ক্রুশ পেরিয়ে ছাড়িয়ে
সময়কে খণ্ডবিখণ্ড করে এই বুক চিড়ে ছুটে চলে
মধ্য রাতের ট্রেন......
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।