আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাজধানীর বাজার নকল ওষুধে সয়লাব

আমি বিদ্রোহী

রাজধানীর বাজার সয়লাব নকল ওষুধে রিবেল মনোয়ার রাজধানীর বাজার এখন সয়লাব নকল ও নিুমানের ওষুধে। বিক্রেতারা বিক্রি করছেন অতি মুনাফা লাভের জন্য আর ক্রেতারা না বুঝে কিনছেন এবং প্রতারিত হচ্ছেন। ওষধ প্রশাসনের দূর্ণীতি এবং উদাসীনতায় নকল ও নিুমানের ওষধ কোম্পানীগুলো আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে। আর এতে হুমকির মুখে পড়ছে জনস্বাস্থ্য। ২০০৯ সালে রিড ফার্মা নামের একটি ভেজাল ওষুধ কোম্পানীর তৈরি প্যারাসিটামল সিরাপ খেয়ে সারা দেশে ২৭ শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছিল।

এই ঘটনায় সারা দেশে তোলপাড় হলেও ওষুধ প্রশাসন এখনো এই ব্যাপারে অনেকটা উদাসীন। টনক নড়ছে না সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের। এখনো ওষুধ প্রশাসনকে দূর্নীতি মুক্ত করা সম্ভব হয়নি। মূলত ওষুধ প্রশাসনের কতিপয় দূর্ণীতিবাজ কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ছত্রছায়ায় রাজধানীর ওষুধের বাজারগুলো নকল ও নিুমানের ওষুধে সয়লাব হয়ে গেছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, শনির আখড়া, যাত্রাবাড়ী, কমলাপুর, গুলিস্তান, মগবাজার, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, মিরপুর, শ্যামলী, মোহাম্মদ পুর, গাবতলী, মহাখালী, উত্তরা, মতিঝিল, লালবাগ, মির্ডফোর্ড, ঢাকা মেডিকেল, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ রাজধানীর বিভিন্ন সরকারী হাসপাতালের আশে পাশে গড়ে ওঠা ওষুধের দোকানগুলোতে অবাদে বিক্রি হচ্ছে অনোমুদিত, নকল ও ভেজাল ওষুধ।

জানা গেছে, বর্তমানে দেশে ২৪৬টি অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ কোম্পানী বছরে তাদের উৎপাদিত প্রায় ৫ হাজার ওষুধের নমুনা বা স্যাম্পল মান যাচাইয়ের জন্য ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরিতে জমা দেয়। এই সব নমুনার মধ্যে প্রায় ১ হাজারই থাকে মানবর্হিভূত। আবার এর মধ্যে বেশ কিছু কোম্পানী রয়েছে যারা টেস্টিং এর জন্য গুনগতমান ঠিক রেখে নুমনা বা স্যাম্পল পাঠালেও বাজারে তারাই আবার নিুমানের ওষুধ সরবরাহ করছে। অনুসন্ধান করে জানা গেছে, প্রায় ৫০টি কোম্পানি রাজধানীতে দীর্ঘদিন ধরে ভেজাল ও নিুমানের ওষুধ বাজারজাত করে আসছে। ওষুধ প্রশাসন ও মান নিয়ন্ত্রনকারী সংস্থা এই সব কোম্পানিকে কালো তালিকাভুক্ত করলেও এদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

এমনকি এইসব প্রতিষ্ঠানে কোন অভিযানও পরিচালিত হচ্ছে না। তারা দিব্বি প্রশাসনের নাকে ডগায় সাধারন মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে যাচ্ছে আর হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের মাননিয়ন্ত্রণকারী শাখার সূত্র মতে, কালো তালিকাভূক্ত যে সব কোম্পানি ভেজাল ওষুধ তৈরি করে আসছে সেগুলোর মধ্যে ইস্টার্ন ড্রাগ করপোরেশন লিমিটেড, জেসান ফার্মা, মেডিকো ফার্মা, এভারেস্ট রিড ফার্মা, সেন্ট্রাল ফার্মা, গ্রিনল্যান্ড ফার্মা, বেলসন ফার্মা, এপিসি ফার্মা, ফার্সিক ল্যাব, কেমিস্ট ল্যাব ও ইন্দোবাংলা, এনএইচ জনকল্যাণ ফার্মাসিটিক্যালর্স উল্লেখযোগ্য। এসব কোম্পানি দীর্ঘদিন ধরে মানবর্হিভূত বা ভেজাল প্যারাসিটামল ট্যাবলেট-সিরাপ, অ্যান্টাসিড, ওমোগ্রোসিলিন, ভিটামিন ‘বি’ কমপ্লেক্স, মেট্রোনিডাজল, সিপ্রোসিনসহ বিভিন্ন অ্যান্টিবায়োটিক ও ভিটামিন জাতীয় ওষুধ তৈরি এবং রাজধানীর ওষুথের বাজারগুলোতে সরবরাহ করচে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।