যে কোনো কারণেই টাকা ছিঁড়ে বা পুড়ে যেতে পারে। অনেক সময় টাকার ছেঁড়া অংশ হারিয়েও যেতে পারে। পুরোনো টাকাতে ফাঙ্গাস পরে টাকা নষ্ট হয়েও যেতে পারে। আবার টাকার গায়ে লাগানো নিরাপত্তা সুতাটি উঠে বা ছিঁড়ে যেতে পারে। এ ধরনের অচল টাকা নিয়ে আপনাকে বিড়ম্বনায় পরতে হবে এটাই স্বাভাবিক।
সেক্ষেত্রে আপনি কী করবেন?
এ ধরনের ঘটনায় প্রথমেই নিশ্চিত হয়ে নিন টাকাটি জাল কিনা। কারণ জাল টাকা নিয়ে আপনি নিশ্চই ব্যাংকে যাবেন না। দ্বীতিয়ত দেখুন নোটটির কতটুকু অংশ আপনার কাছে আছে। ব্যাংক কখনও অর্ধেক বা অর্ধেকের কম থাকা নোট বদলে দেয় না।
টাকা ছিঁড়ে গেছে এজন্য ছেঁড়া টাকা স্কচটেপ লাগিয়ে ব্যাংকে যাবেন না।
তাহলে নতুন টাকা পাবেন না। স্কচটেপ লাগানো থাকলে তা উঠিয়ে সেখানে পাতলা সরু কাগজ দিয়ে আঠার মাধ্যমে জোড়া দিন।
এবার সোজা চলে আসুন বাংলাদেশ ব্যাংকের দাবি শাখা কাউন্টারে। সেখান থেকে ফরম নিয়ে পূরণ করে নোটের পিছনে স্বাক্ষর দিয়ে কাউন্টারে জমা দিন।
এবার কাউন্টার থেকে পাওয়া রিসিট নিয়ে তাদের দেয়া নির্দিষ্ট তারিখে আপনাকে পুনরায় ব্যাংকে যেতে হবে।
ব্যাংক যদি নোটটি পরীক্ষা করে সেটার বিনিময় মূল্য প্রদানের যোগ্য মনে করে তাহলে দাবি শাখা থেকে আপনাকে একটি টোকেন দেয়া হবে।
সেই টোকেন নিয়ে ত্রুটিপূর্ণ টাকা বিনিময় কাউন্টারে গেলে আপনি সমমূল্যের একটি নতুন নোট পাবেন। অবশ্য আপনার আবেদন বাতিল হলে টাকা বদলে দেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের পুনর্বিবেচনার উদ্দেশ্যে আপনি আপিলও করতে পারবেন।
টাকা পুড়ে গেলে সেখানে সাদা কাগজ লাগানোর দরকার নেই। এক্ষেত্রে সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংকের শরণাপন্ন হতে হবে।
টাকার সাথে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বা কমিশনারের প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হবে। সেখানে টাকাটা কীভাবে পুড়েছে তা লিখিত থাকতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।