আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পুরনো ঢাকার কেমিক্যাল গুদাম স্থানান্তর প্রসঙ্গে

যুক্তি বাদি জ্ঞান উন্নয়নের মূল সোপান

ল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া আগামী ১৭ আগস্টের মধ্যে পুরনো ঢাকার দাহ্য কেমিক্যালের গুদাম অন্যত্র স্থানান্তরের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। তিনি বলেন, সরকার নতুন করে আর কোন মৃত্যু ফাঁদ পাততে চায় না। নির্ধারিত এই সময়সীমার মধ্যে জননিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর এসব দাহ্য রাসায়নিক উপাদান সরিয়ে না নিলে সরকার জনস্বার্থে সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধে নাকি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। রাজধানীর বিসিআইসি মিলনায়তনে বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ আয়োজিত 'পুরনো ঢাকার শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি এবং করণীয়' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন। পুরনো ঢাকার কেমিক্যাল গুদাম সরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে দুটি অস্পষ্টতা লক্ষণীয়।

একটা হলো 'অন্যত্র' এবং অন্যটি হলো 'আইনানুগ ব্যবস্থা'। পুরনো ঢাকার একমাত্র চামড়াশিল্প ছাড়া বড় কোন শিল্প কারখানা নেই। সাধারণত দীর্ঘ সময় ধরে পুরনো ঢাকায় ছোট ছোট কলকারখানা গড়ে উঠেছে। এসব কারখানা বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করে। এসব কেমিক্যালের কিছু কিছু আবার দাহ্য।

নিমতলীর অগি্নকা-ের পর সরকারি কর্তৃপক্ষের নজরে আসে এসব দাহ্য কেমিক্যাল। তবে এখনো সরকারের কাছে এসব কেমিক্যালের গুদামের কোন পরিসংখ্যান আছে বলে আমাদের জানা নেই। সরকারের তরফ থেকে এগুলোকে সরিয়ে নিতে বলা হচ্ছে। কিন্তু কোথায় এগুলো সরিয়ে নেয়া হবে তার কোন দিক নির্দেশনা নেই। রাজধানীতে রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারকারী কোন ইন্ডাস্ট্রিয়াল ভিলেজও নেই।

পুরনো ঢাকা থেকে দাহ্য কেমিক্যাল নতুন ঢাকার কোন স্থানে সরিয়ে নেওয়া কি বিধিসম্মত হবে? তেজগাঁও শিল্প এলাকায় এখনো অনেক এলাকা অব্যবহৃত আছে। সেখানে কি 'দাহ্য কেমিক্যাল' সরিয়ে নেওয়া সম্ভব? কেবল কেমিক্যাল ব্যবহারকারী শিল্প কারখানার প্রায় সবগুলোই ছোট ছোট। এসব কারখানা সরিয়ে নেয়া না হলে যেখানেই দাহ্য রাসায়নকি দ্রব্য রাখা হোক না কেন সেখান থেকে নিয়ে এসে ব্যবহার করতে হবে। এসব দাহ্য রাসায়নিক পরিবহনও বিপজ্জনক। অতএব ঘিঞ্জি পুরনো ঢাকা থেকে রাসায়নিক ব্যবহারকারী সব কলকারখানাও পর্যায়ক্রমে সরিয়ে নিতে হবে।

এদিকে কেমিক্যাল ব্যবহারকারী শিল্প মালিকরা শিল্প উৎপাদন অব্যাহত রাখার স্বার্থে, কেমিক্যাল ব্যবসায়ীদের আতঙ্ক দূর করতে শিল্পমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তারা জানাচ্ছেন, নিমতলীর ঘটনার পর দেশে ইতোমধ্যে কেমিক্যাল আমদানির পরিমাণ ৪০ শতাংশ কমে গেছে যা দীর্ঘমেয়াদে শিল্পের ওপর প্রভাব ফেলবে। তারা কেমিক্যাল গুদাম সরিয়ে নিতে সময় বৃদ্ধির দাবি জানান। নিমতলীর অগ্নিকাণ্ডের পর এমন কোন নির্দেশ দেয়া উচিত হবে না, যা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। সব নির্দেশই বাস্তবসম্মত এবং বাস্তবায়নযোগ্য হতে হবে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।