বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার রিপোর্ট অনুসারে যৌতুকের কারণে জুলাইয়ে ৩২ নারীর মৃত্যু এবং একই কারণে নির্যাততের শিকার হয়েছে ১০ জন। গৃহকত্রীর নির্যাতনে নিহত হয়েছে ৪ গৃহপরিচারিকা। আহত হয়েছে ৭ জন। এছাড়া এসিড নিক্ষেপ, ধর্ষণ, পরকীয়া, রাজনৈতিক সংহিসতা, চিকিৎসকের অবহেলাসহ অন্তত ১৬টি কারণে মোট ৬৩৮ জন নিহত হয়েছে।
বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্য থেকে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা।
রিপোর্টে বলা হয়, পারিবারিক কলহ এবং পরকীয়ার জের ধরে নির্যাতিত হয়ে ৩৬ নারী নিহত এবং ১০ জন আহত হয়েছে। ফতোয়ার শিকার হয়েছে ৪ জন নারী। এসিড নিক্ষেপে ১ নারী নিহত, আহত হয়েছে ১২, এবং ইভটিজিং-এর শিকার হয়েছে ৩১ কিশোরী।
জুলাই মাসে সারাদেশে ধর্ষণ ও গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ২৬ জন শিশু এবং সমান সংখ্যক নারী। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৭ নারী-শিশুকে।
দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু নির্যাতনে আহত হয়েছে ৪১ জন, এরমধ্যে নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুরে আদিবাসী পল্লীতে সন্ত্রাসীদের হামলা ও অগ্নিসংযোগে আহত হয়েছে ৩৭ জন। চিকিৎসকের অবহেলায় একমাসে বিভিন্ন বয়সের ১০ রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
তাদের তথ্য মতে, দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক ও অন্যান্য দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ৩১৫ জনের। অন্যদিকে গণপিটুনীতে নিহত হয়েছে ১২ জন। এরমধ্যে গাজীপুরে একদিনেই গণপিটুনীতে নিহত হয়েছে ৬ ডাকাত।
জরিপ অনুযায়ী আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় ১০ জন। এর মধ্যে র্যা বের সঙ্গে ৪, পুলিশের সঙ্গে ১ এবং র্যা ব-পুলিশের যৌথ অভিযানে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে ৫ জন। এছাড়া পুলিশ হেফাজতে ৩ জন পুরুষ নিহতের ঘটনা ঘটেছে। একই সময়ে বিএসএফ এর গুলিতে নিহত হয়েছে ৬ জন এবং তাদের নির্যাতনে আহত হয় ৬ বাংলাদেশি। বিএসএফ কর্তৃক অপহরণ হয়েছে শিশু কিশোরসহ ২৯ বাংলাদেশি।
রিপোর্ট অনুযায়ী গত মাসে সামাজিক সহিংতায় ১১০ জন নিহত ও ১৩শ’ ১৯ জন আহত, রাজনৈতিক সহিংসতায় ১৮ জন নিহত এবং ১ হাজার ২৯ জন আহতের ঘটনা ঘটেছে। একই সময়ে নানা কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে ১৪শ’ ৪৩ জনকে।
দেশটা কোথায় যাচ্ছে ???
সুত্র : দৈনিক আমাদের সময় -০৩/০৮/১০
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।