নর্দমার রাত, হিরন্ময় তাঁত
আমি ৯ বছর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছি। দেখেছি বেতন ফি বৃদ্ধি বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সহ ছাত্রদের অধিকার আদায়ের কোনো আন্দোলনে ছাত্রশিবির, ছাত্রলীগ অথবা ছাত্রদল ছিলো না। তাদের মূল কাজ কী তা আমরা সকলেই জ্ঞাত। তবে দেখা গেছে তারা প্রায় সময় আন্দোলের শেষদিকে যখন ইতিবাচক একটা ফল সম্ভাব্য হয়ে উঠে তখন কোনো না কোনো একটা ঝামেলা করবেই। হতে পারে এটা তাদের হঠকারিতা কিংবা পূর্বপরিকল্পিত কিংবা প্রশাসনের ষড়যন্ত্রের অংশ অথবা আন্দোলেনর সুফল নিজেদের ব্যানারে নেয়ার চেষ্টা।
কিন্তু এতে সাধারণ ছাত্রদের যে রক্তক্ষয়ী আন্দোলন এটা ধ্বংস হয়ে যায়।
আজ প্রশাসনিক ভবনে এবং ক্যাম্পাসে যে ভাঙচুর সংগঠিত হয়েছে তা শুরু করেছে ছাত্রলীগ। উস্কে দিয়েছে সাধারণ ছাত্রদের। একটা সংগঠিত আন্দোলনকে তখনি এইভাবে নস্যাৎ করে দিলো যখন প্রশাসন খানিকটা নমনীয় দাবী, বহিস্কারাদেশ এবং মামলা প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে।
প্রগতিশীল ছাত্রজোট সাধারণছাত্রদের ব্যানারে যে দাবী আদায়ের আন্দোলনটা গত কয়েকদিন ধরে গড়ে তুলেছিলো সেটা প্রচণ্ডভাবে আহত হলো।
এটা কি ষড়যন্ত্র?
শোনা যাচ্ছে একজন সাধারণ ছাত্র নিহত হয়েছে আজকের ঘটনায়। এখনো নিশ্চিত নই।
ছাত্রলীগের যে কজন গ্রেফতার হয়েছে প্রত্যেককেই নেতারা ছাড়িয়ে নিয়ে এসেছে।
সবচে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের কর্মী, এবং সাধারণ ছাত্ররা। যেকজনকে গ্রেফতার করেছে তাদের কারোরই জামিন হয়নি।
কাল কোর্টে চালান দেয়ার কথা চলছে। হাজতে তাদের খাওয়া দাওয়ার ব্যাপক অসুবিধা হচ্ছে। গ্রেফতার এবং বহিষ্কৃতদের মধ্যে যাদেরকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি-- প্রত্যেকেরই পারিবারিক অবস্থা খুবি খারাপ, তাদের টিয়্যুশনির টাকায় সংসার চলে।
মানুষ রুখে উঠে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে।
এইকথা বোঝার ক্ষমতা কি আমাদের আছে?
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রশাসনের ফ্যাসিবাদী চরিত্র ও ইউজিসির কৌশলপত্র
চ.বি. শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলছে।
সকালে ১, বিকালে ২৫ জন গ্রেফতার। আগামীকালও অবরোধ
নিজেদের রক্তে লিখে বর্ধিত বেতন-ফি প্রত্যাহার দাবি
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।