সারাদিন আড্ডাবাজ়ি,অহেতুক ঘুরোঘুরি। অযথা সময় নষ্ট,ইচ্ছে করেই পথভ্রষ্ট। সন্ধ্যা কাটে টি স্টল এ,এক কাপ চা,কয়েকটি সিগারেট আর তুমুল আড্ডাবাজ়িতে। মাঝরাতে পাগলামি,প্রায়ই হিমু সেজে পথে নামি। ঘুমন্ত নগরে চন্দ্র হন্টন,হঠাত করেই উদাস মন।
উদাস মনে ঘরে ফেরা অথবা ছাদ
নির্মোহ বৃষ্টিতে ভিজে যচ্ছে প্রতিক্ষার সময়!
ফিকে হয়ে যাচ্ছে জমিয়ে রাখা স্বপ্ন,
আকাশ নীল নির্মলতা,
আকন্ঠ অগ্নুৎপাতে পুড়ে যাচ্ছে
আমার বুকের গেরস্থালী
তবু,হিসেব মেলানোর
এ এক অদ্ভুত বেহিসেবি খেলা,
অতন্দ্রিলা, তোর কাছে যেতে ইচ্ছে করে,
কী যে ভিষন ইচ্ছে করে !
ইচ্ছে করে তোর স্নেহজলে ভিজে ভিজে
প্লাবিত করি একটি জীবন।
এমন ইচ্ছে কি সত্যি হয়, অতন্দ্রিলা!
অতন্দ্রিলা; আমার মগ্ন অমরাবতী,
তুই কি র'বি শুধু আমার মৌনতায়!
কতবার মেঘ জমেছে বুকের আকাশে
আহত খঞ্জনার মত ডেকেছে হৃদয়
বৃষ্টি নেমেছে গহন রাত্রী জুড়ে
বিষাদবৃষ্টিতে কতবার উপদ্রুত হয়েছেচোখের উপকূল
অথচ আমি প্রতীক্ষায় থেকেছি
প্রতীক্ষায় থেকেছি শিশির সিক্ত ভোরের
প্রতীক্ষায় প্রতীক্ষায় আহত হব না বলে
প্রতিজ্ঞা করেছি কত বার
তবু স্বপ্নবাজ মন প্রতিবারই প্রতিজ্ঞা ভাঙ্গে
উৎসবহীন জীবনের মানচিত্র হাতে নিয়ে
স্বপ্নপ্রবন মন খুঁড়ে চলে জীবনের দৈর্ঘ্য-বিস্তার
আহত না হওয়ার স্লোগানে স্লোগানে
তবুও প্রতিবারই খুঁজে পাইএক আহত মানুষ
-স্নেহহীন, অনুপ্রেরনাহীন
শুধু,একাএকা রাতপথে বয়ে যায় জোৎস্নাঋন।
ত্রিভুজমাত্রায় হেঁটে এসেছি বহুদূর পথ
অদৃষ্টের মানচিত্র ছিল না হাতেতাই হোঁচট খেয়েছি বহুবার
রক্তসম্ভাবা ক্ষত ছুঁয়ে বুকের অলিন্দেহাত রেখে শুনেছি,
অদ্ভুৎ পাখির কূজন।
ক্লান্তি ও ঘোরে মুদে আসা চোখের আড়ালে
একটা বৃক্ষই যেন হয়ে গেছে সবুজ বনবিথীকা।
এই সব স্বাপ্নিক শুশ্রূষায় তবু পথ হাঁটিহেঁটে চলি
অনিবার্য ভাবে ত্রিভূজমাত্রায়
বুনে যাই বিহবলতার বীজ,
অদ্ভুত অবহেলায় ।
সে রাতে তাদের অনেকেরই মন ভালো ছিল না। কেননা ক্রমাগত পূর্ণ যৌবনের দিকে ছুটে চলা চাঁদকে হঠাৎই ঢেকে দিচ্ছিল ছাইরঙা একপাল মেঘ। ছাদে বসে তারা জোসনা পোহাচ্ছিল। বিমোহিত হয়ে কেউ কেউ গুনগুন করে উদাসী গানের কলি আওড়াচ্ছিল। অনেকেই তাকিয়ে ছিল বিমুগ্ধ চোখে জলের দিকে, রূপোলী জল! জল পাত্র ছিল ছাদের পাশেই ; শুয়ে থাকা প্রকান্ড পুকুর।
দু'একজন চাঁদের অস্পষ্ট আলোই পায়ের নখ খুঁটতে খুঁটতে মুখ টিপে হাসছিল, কেননা বিকেল বেলায় তারা তাদের প্রেমিকদের সঙ্গে যে সুখের সময়টুকু কাটিয়েছে, সে কথা মনে পড়ছিল, আর তাই যেন রাত্রির ক্ষণিক বিরহ গাঁথা লাজুক হাওয়ার শিহরণ ছুঁইয়ে দিয়ে যাচ্ছিল। আর যারা প্রেমহীনা, অটুট যুবা কোন প্রেমিকের মুখ কল্পনা করে তাদের মনটা তখন ছিল কেবলই বৈরাগ্যে ভরা, যেন বা চির বিরহিনী রাজকুমারীর অভিমানে তারা তাকিয়েছিল অর্থহীন দৃষ্টিবিন্দুতে। বিবাগী জোসনার তলে তারা এসেছিল পরিপাটি সাজে। কেউ কেউ চুল বেণী করেছিল, খোপায় দিয়েছিল রক্তগোলাপ, জুই কিংবা চামেলী। কিন্তু সবারই কপালে টিপ ছিল,চোখে কাজল।
তারা সবাইই সাজ শেষে ছায়াপাত্রে নিজেকে দেখতে দেখতে চঁদের কাছে কিছু কামনা করবে বলে ভেবেছিল। ইশকুলের পাঠ্যে তারা পড়েছিল চাঁদের টানে দিন-রাত্রি/জোয়ার-ভাটা হয়, কিন্তু সেই রাতে তারা অনুভব করেছিল চাঁদ আরও কতকিছু টানে। মূলত তারা এতো দূরে, রাজ্যপ্রান্তের বিদ্যায়তনে পাঠ শিখতে এসেছিল জীবনকে সম্পন্ন দেখবে বলে, কিন্তু সে রাতে বিদ্যায়তনের মোটা পুঁথি গুলো, কোন অদ্ভুত কারনে,নিছক বালিশেরই মতো মনে হয়েছিল। তারা যখন মুগ্ধ মনে 'আজ জ্যোসনা রাতে সবাই গেছে বনে' ধরনের কোন গানে সহস্বরের কথা ভাবছিল ঠিক তখনই বাঁদর পুরুষের মত কোত্থেকে উদয় হয়েছিল বজ্জাত মেঘের দল! অনভিপ্রেত তাদেরকে বহুবিধ দূর্ভাবনায় ভাবিত হতে হয়েছিল। অবশেষে প্রাগৈতিহাসে নারীনিয়মেই তাদেরকে একটা বিমূর্ত কষ্ট বুকের মধ্যে ধারণ করতে হয়েছিল।
বাকি রাত তাদের আর কারোরই মন ভালো ছিল না...
বর্ষাকাব্য-১
বুকের ভিতর বন্ধ্যা মেঘ
অঝর বৃষ্টি বাইরে
বৃষ্টিদিনে মন হারিয়ে
আমি তো আর নেই রে। ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।