আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অবিলম্বে আখাউড়া-সিলেট রেলপথের ছয়টি স্টেশন চালু করা হোক


জনদূর্ভোগ দূর করতে এবং জনসাধারণের যাতায়াত অধিকার প্রতিষ্ঠায় অতিসত্ত্বর আখাউড়া-সিলেট রেলপথের ছয়টি স্টেশন চালু করা হোক। আশা করি, জনকল্যাণে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থা এ বিষয়ে অতিদ্রুত পতক্ষেপ গ্রহণ করবেন। আজকের একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে যে, স্টেশনমাস্টার ও পয়েন্টসম্যান সংকটের কারণে আখাউড়া-সিলেট রেলপথের ছয়টি স্টেশন বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে স্থানীয় লোকজনকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি উল্লেখ করেছে।

স্টেশনমাস্টার ও পয়েন্টসম্যান না থাকায় গত সাত-আট বছরে আখাউড়া-সিলেট রেলপথের খাজাঞ্চিগাঁও, আফজালাবাদ, লস্করপুর, ইটাখোলা ও টিলাগাঁও এবং সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার ভাটেরা রেলস্টেশন কর্তৃপক্ষ সিলগালা করে দেয়। দীর্ঘদিনের ষড়যন্ত্রের কারণে রেলের মতো সুবিধাজনক বাহনের কার্যকারিতা নষ্ট হবার পথে। বিগত দিনগুলিতে সড়ক পরিবহনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট (গাড়িওয়ালা, ঠিকাদার, তেল ব্যবসায়ী এর সঙ্গে আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী সম্প্রদায়, উন্নয়ন সহযোগী নামধারী দালাল সংস্থা) চক্রের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় রেলপথকে অকার্যকর চেষ্টা করা হচ্ছে। এডিবি রেলের উন্নয়নের নামে ঋণ দিয়েছে লোকবল ছাটাই (সোনালী করমর্দন এর মাধ্যমে), স্টেশন বন্ধ ও রেল লাইন তুলে ফেলার জন্য। আর সেই অসভ্যদের পরামর্শ বাস্তবায়ন করেছে কিছু কুচক্রী।

যার ফলশ্রুতিতে আজ একশোর উপর রেল স্টেশন বন্ধ। আর দূর্ভোগ বেড়েছে জনতারা। আমরা আজ সড়ক পরিবহন ব্যবসায়ীদের নিকট জিম্মি। রেলে যাতায়াত খরচ, জ্বালানী ব্যবহার ও দূষণের পরিমাণ সড়কপথের তুলনায় অনেক কম। এমনকি রেলপথ অনেক নিরাপদ।

এছাড়া রেলে কম জায়গায় বেশি মানুষ পরিবহন করা যায়। একটি রেলগাগাড়িতে ২০০ বাসের সমান যাত্রী এবং একটি মালবাহী রেলগাড়িতে (মিটার গেজ) ৫ টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ২১০ টি ট্রাকের সমান মালামাল বহন করতে পারে। দেশে খাদ্য নিরাপত্তার জন্য রেলকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কার্যকর করার পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রতি বছর সড়ক নির্মাণের জন্য আমাদের প্রচুর ফসলী জমি নষ্ট হচ্ছে। এর একটি উদাহরণ হচ্ছে, ১৯৪৭ সালে সড়কপথ ছিল ৬০০ কিমি এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লক্ষ ৭০ হাজার কিমি এর উপর।

অথচ রেল সময় ২৮০০ কিমি ছিল এখনমোত্র ৩৫ কিমি বেড়ে হয়েছে ২৮৩৫ কিমি। অথচ রেলে এখনও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক যাত্রী চলাচল করছে। তাই রেল হবে প্রধান মাধ্যম, যাকে কেন্দ্র করে অন্যান্য মাধ্যমের সমন্বয়ে একটি পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলা প্রয়োজন। সরকারকেই সেই দায়িত্ব নিতে হবে। কোনরকম বেসরকারীকরণের পায়তারা করা যাবে না।

সরকার জনগণের সম্পদ রক্ষার দায়িত্ব নিয়েছে। তারা সেই সম্পদ বেসরকারীকরণের নামে বিক্রি করতে পারে না। পাশের দেশ ইনডিয়ায় সরকারের অধীনে রেখে রেলকে মানুষের সেবায় অনেক ধাপ এগিয়ে নিয়েছে। আমাদেরও রেলকে কার্যকর করার বিকল্প নেই।
 


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.