আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মাননীয় রেলমন্ত্রী, অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন।

ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১২, ৪ ফাল্গুন ১৪১৮, ২৩ রবিউল আউয়াল ১৪৩৩ হোম বিশাল বাংলা সৈয়দপুর রেলস্টেশন জরাজীর্ণ ধসে পড়ার আশঙ্কা সৈয়দপুর রেলস্টেশন জরাজীর্ণ ধসে পড়ার আশঙ্কা সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি | তারিখ: ১৬-০২-২০১২ ১৪০ বছরের পুরোনো সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন সংস্কার না করায় জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। যেকোনো সময় ধসে পড়ে ব্যাপক প্রাণহানির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় ঝুঁকি নিয়েই স্টেশনে কাজ করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, আতঙ্কে থাকে যাত্রীরাও। রেলওয়ে সূত্র জানায়, ১৮৭৪ সালে সৈয়দপুরে রেলস্টেশনটি গড়ে ওঠে। ওই সময় অবিভক্ত ভারতের আসাম-বেঙ্গল রেলওয়ের অধীনে নীলফামারীর চিলাহাটি থেকে পাবনার পাকশীর সাড়া পর্যন্ত প্রায় ২০০ কিলোমিটার রেলপথটি স্থাপন করা হয়।

তবে এর আগেই ১৮৭০ সালে সৈয়দপুর শহরে গড়ে ওঠে বৃহত্তম রেলওয়ে কারখানা। নির্মাণের পর থকে স্টেশনটি সংস্কার না হওয়ায় এখন জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। গতকাল বুধবার কথা হয় টিকিট কাউন্টারের বুকিং সহকারী রেজাউল ইসলামের সঙ্গে। তিনি জানান, অনেক ঝুঁকি নিয়ে তাঁদের কাজ করতে হচ্ছে। চুন-সুরকি দিয়ে গড়া টার্মিনাল ভবনের পলেস্তারা প্রায়ই ধসে পড়ছে।

যেকোনো সময় ছাদ ধসে পড়তে পারে। একটু বৃষ্টি হলেই কর্মচারীরা ছাদের নিচে বসেও মাথায় ছাতা ধরে কাজ করেন। বৃষ্টির পানিতে ভিজে টিকিট কাউন্টারের কম্পিউটারগুলো নষ্ট হওয়ার উপক্রম হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, বিগত সরকারের আমলে রাজনৈতিক বিবেচনায় অপেক্ষাকৃত অনেক কম গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে স্টেশন আধুনিকায়ন হয়েছে। কিন্তু ব্যস্ততম সৈয়দপুর স্টেশনটিতে হয়নি ন্যূনতম সংস্কারকাজ।

অথচ গত অর্থবছরে কেবল ট্রেনের টিকিট বিক্রি থেকে সৈয়দপুর স্টেশন আয় করেছে চার কোটি ১৭ লাখ ২৭ হাজার ২০৯ টাকা। এর আধুনিকায়ন হলে রেলওয়ে খাতে সেবা বাড়ানো সম্ভব। রেলওয়ে ওয়াগনে (মালবাহী র‌্যাকে) বিদেশ থেকে প্রচুর আমদানি পণ্য সৈয়দপুর স্টেশনে খালাস হয়। অথচ এ স্টেশনে কোনো ওয়্যারহাউস নেই। এ কারণে খোলা আকাশের নিচে পণ্য খালাস করতে হচ্ছে আমদানিকারকদের।

এতে করে পণ্যের মান নষ্ট হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ। এ ছাড়া স্টেশনের গুডস ইয়ার্ডের শেডটিও জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় সেখানে পণ্য খালাস করতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সরেজমিনে দেখা যায়, স্টেশনের ওভারব্রিজের সঙ্গে প্ল্যাটফর্মের সংযোগ সিঁড়ি না থাকায় যাত্রীরা তা ব্যবহার করতে পারছে না। এ ছাড়া রেললাইনের মধ্যবর্তী ফুট প্ল্যাটফর্মটি নিচু হওয়ায় ট্রেন থেকে যাত্রী ওঠানো-নামানোয় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে সহকারী স্টেশনমাস্টার আলমগীর হোসেন জানান, সৈয়দপুর স্টেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এখান থেকে প্রতিদিন ১৪টি ট্রেন চলাচল করে। স্টেশনটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় তা যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। সৈয়দপুর রেলপথ বিভাগের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী (এসএসএই) মকবুল আহম্মদ জানান, স্টেশনটি সংস্কারের জন্য ওপরে লেখা হয়েছে। রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) মঞ্জুর-উল-আলম চৌধুরী প্রথম আলোকে জানান, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক এরই মধ্যে সৈয়দপুর স্টেশনটি সংস্কারের নির্দেশ দিয়েছেন। সে অনুযায়ী শিগগিরই এর উন্নয়নকাজ শুরু হবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.