আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

'স্রষ্টাকে কে সৃষ্টি করেছে', এই প্রশ্ন করার অধিকার নাস্তিকদের নাই..

© ২০০৬ - ২০১১ ত্রিভুজ

নাস্তিকদের স্ববিরোধীতা ও দ্বৈতনীতির একটা জ্বলজ্বলে উদাহরণ হচ্ছে এই প্রশ্নটা- "স্রষ্ট্রাকে কে সৃষ্টি করেছে?" কারণ, নাস্তিকতার প্রথম বিশ্বাস বা নাস্তিক্যবাদী ঈমানের মূল ভিত্তি হচ্ছে এই বিশ্বজগতের কোন সৃষ্টিকর্তা নাই, এগুলি নিজে নিজেই সৃষ্টি হয়ে গিয়েছে। এতবড় বিশ্বজগৎ যদি কোন সৃষ্টিকর্তা ছাড়াই সৃষ্টি হয়ে যেতে পারে তাহলে "স্রষ্ট্রার এমনি এমনি সৃষ্টি হয়ে যাওয়া"-তে তাদের এত সমস্যা কোথায়? তাদের নিজেদের বেলায় এতকিছু সৃষ্টি হওয়ার জন্য কোন স্রষ্ট্রা লাগে না কিন্তু আস্তিকদের স্রষ্ট্রার অবশ্যই একজন স্রষ্ট্রা থাকতে হবে! স্ববিরোধীতার এরচাইতে ভাল উদাহরণ আর কী হতে পারে? আস্তিকের দাবী অনুসারে এই বিশ্বজগৎ সৃষ্টির পেছনে অবশ্যই একজন স্রষ্ট্রা রয়েছেন এবং সেই স্রষ্ট্রার অস্তিত্ব যতটা না যুক্তির উপরে দাঁড়িয়ে তারচাইতে বেশি বিশ্বাসের উপরে। আর এই বিশ্বাসের নামই হচ্ছে ঈমান যেটাকে নাস্তিকরা অন্ধ বিশ্বাস বলে দাবী করে। তাদের এই দাবী দাঁড়িয়ে আছে যে যুক্তির উপরে সেই যুক্তিও কিন্তু বিশ্বজগৎ সৃষ্টির রহস্যের কোন জবাব দিতে সক্ষম নয়। যুক্তির কবর খুঁড়তে খুঁড়তে তারাও একসময় অসহায় হয়ে পড়েন, তাদের চিন্তার জগতের গোড়াও বিশ্বাসের উপরেই দাঁড়িয়ে কিন্তু তারা দাবী করেন অযৌক্তিক কিছু তারা করতে পারেন না। অথচ বিশ্বজগৎ সৃষ্টির রহস্যের জবাবে কোনরকম যুক্তির ধার না ধেরেই তারা বিশ্বাস করে বসে আছেন সবকিছু এমনি এমনি হয়ে গিয়েছে। যুক্তিবাজদের এহেন অযৌক্তিক আচরণ সত্যিই বিস্ময়কর! স্ববিরোধী ও অযৌক্তিক বিশ্বাসের উপরে দাঁড়িয়ে থাকা নাস্তিকদের সৃষ্টিকর্তার স্রষ্ট্রা খুঁজতে যাওয়া একধরনের স্ববিরোধীতাই বটে। বিঃদ্রঃ সিস্টেমের ভেতরে বসে সিস্টেমের ক্রিয়েটরকে সিস্টেমের প‌্যারামিটার দিয়ে যাচাই করতে যাওয়া এক ধরনের অবৈজ্ঞানিক ও অযৌক্তিক কাজ। এই অযৌক্তিক ও অবৈজ্ঞানিক কাজ যারা করেন তাদের (নাস্তিকদের) সাথে যুক্তি দেয়া অর্থহীন বিবেচনা করে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব ও সৃষ্টিকর্তার স্রষ্ট্রা বিষয়ক যুক্তি দিয়ে সময় নষ্ট করার পক্ষপাতী নই। তবুও কেউ ঐ বিষয়ে আলোচনায় যেতে চাইলে একটা লেখা পড়তে পারেন- “সৃষ্টিকর্তাকে কে সৃষ্টি করেছেন?” – এই প্রশ্নের সরল উত্তর

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.