{কল্পনা করা যেতে পারে আক্ষরিক অর্থে অতীতের যে কোনো কালে ঈশ্বর মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছেন। অন্যদিকে মহাবিশ্ব যদি বিস্তারমান হয় তাহলে আরম্ভ কেনো থাকবে তার একটা ভৌত কারণ থাকতে পারে। তবুও কল্পনা করা যেতে পারে বৃহত বিস্ফোরণের মুহূর্তে ঈশ্বর মহা বিশ্ব সৃষ্টি করেছেন। কিম্বা সৃষ্টি করেছেন বৃহত বিস্ফোরণের পরে, কিন্তু এমন ভাবে করেছে যেন মনে হয় একটা বৃহত বিস্ফোরন হয়েছিলো। করণ মহা বিশ্ব সম্প্রসারমান।
তবে বৃহত বিস্ফোরণের আগে সৃষ্টি হয়েছিলো এমনা অনুমান করা হাবে অর্থহীন। প্রসারমান মহাবিশ্ব স্রস্টাকে অস্বীকার করেণা। কিন্তু সম্ভবত কবে তিনি কাজটি করেছেন তার উপর একটা সময় সীমা আরোপ করে। }
কথাগুলো আমার নয়, জীবিত মানুষদের মধ্যে সবচাইতে মেধাবি মস্তিষ্ক মনেকরাহয় যাকে, মানে "স্টিফেন হকিং" এর। কালের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস বইয়ের।
উক্ত বই খানাতে কেবল সময় নিয়ে টানাটানি করেননি লেখক, করেছেন ঈশ্বর নিয়েও। তবে কোন যায়গাতেই একবার ও হকিং বলেননি যে, ঈশ্বর নেই। প্রতি ক্ষেত্রেই কথা গুলো এমন যেন তিনি ঈশ্বর খোঁজছেন। প্রশ্ন রাখচেন সম্ভাবনা অর্থে।
পৃথিবীর সব মহা জ্ঞানিরা সন্দেহ বাদী ছিলেন, এরা নাস্তিক নয়।
কিন্তু অল্প একটু জ্ঞান হলেই আমাদের উপ মহাদেশের মানুষ হুট হাট নিজেকে নাস্তিক দাবী করে। জ্ঞানী জ্ঞানী কথা বলে- তবে তা ঈশ্বরের বিরোদ্ধে মোটেই নয়, বলে কেবল ধর্মের বিরোদ্ধে। যে দেশে যে ধর্ম প্রধাণ তার বিরোদ্ধে কথা বলতে পারলে নিজেকে প্রগতিশীল সমাজের অংশ করা যায় এবং কিছুটা খ্যাতি পাওয়া যায়- অবশ্ব তা খ্যাতি নয়- বলাযায় ব্যপক আলোচিত সমালোচিত হওয়া যায়। এটা ও ঘন ঘন নাস্তিক হবার কারণ হতে পারে। স্রষ্টা সম্পর্কে প্রশ্ন করার যখন কোন জ্ঞান থাকেনা তখনই তারা ধর্ম নিয়ে টানটানি করে।
বাঙলাদেশী নাস্তিকদের আমি কমই দেখেছি অন্য ধর্মের বিরোদ্ধে কথা বলতে, তারা কেবল ইসলাম ধর্মকে আক্রমন করে। বিষয়টা অনেকটা লোভের বসবর্তি হয়ে, তসলিমা রাতারাতি লেখক হয়ে গেলো তার বিতর্কিত বইয়ের কল্যানে। তবে আমরা কেনো পারবোনা? কথায় যুক্তি আছে। তবে মুতি নাই।
হকিং তার বইয়ের শেষ দিকে আরেকটি কথা বলেছেন- { আমাদের এবং মহাবিশ্বের অস্তিত্বের কারণকি? আমরা যদি এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাই তাহলে সেটাই হবে মানবিক যুক্তির চূড়ান্ত জয়- তার কারণ, তখন আমরা জান্তে পারবো ঈশ্বরের মন} হকিং কিন্তু ঈশ্বরের মন জানার চেষ্টা করেছেন, ডাইরেক্ট নাই বলেননি।
তেমনি ভাবে সব মহাপুরুষ রাই ছিলেন ঈশর সন্ধানী। আর নাস্তিক হয় যারা কম জ্ঞানি। অরেকটা বেপার হলো নাস্তি হলে যা ইচ্ছা তাই করা যায় , বিপনি বিতানে মসজিত নিসিদ্ধের জন্য মানব বন্ধন করাযায়, অর্থ কেলেংকারি করা যায় ইচ্ছে মত, করা যায় জৈবিক বিলাশ, কোন জবাব দিহিতা নাই, শেষ বিচার নাই। মুক্ত জীবন, মরলেই শেষ।
{বিগব্যাং পরবর্তী সময়ে যখন সৃষ্টিশীল সম্প্রসারমান মহাবিশ্বের "টেলার ইরা" পরিবেশ চলছে, তখর অতি উত্তপ্ত উচ্চ গতির কিছু পরমানো পরস্পরের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পরে এবং তরা একটি জটিল আকৃতি লাভকরে।
রূপ নেয় প্রোটিনে। এবং তার ফলস্রোতিতে এককোষি প্রাণি অ্যামিবার জন্মহয়। সেই থেকে প্রাণের সৃষ্টি আর আজকের মানুষ সেই অ্যামিবার উন্নত র্বশধর। } ভাবনাটা চমতকাল তবে আমার নয়, হকিং সাহেবের।
আমাদের দেশের একজন সদ্য মহা প্রয়াত মহা পুরুষ হুমাযূর স্যার, তাকে প্রশ্ন করেছিলেন এক সাংবাদিক- ঈশ্বর সম্পর্কে আপনি কি ভাবেন?
ওনার উত্তর- আপনি মঙ্গল গ্রহে গেলেন এবং দেখলেন সেখানে সুন্দর একটা নিকন ক্যামেরা পড়ে আছে।
আপনি কখনোই বিশ্বারকরবেন না যে, এটি সৃষ্টি হয়েছে মঙ্গলের প্রাকৃতিক পরিবেশে। নিশ্চয় একর জন্য প্রয়োজন পরেছে একটি সুন্দর পরিকল্পনা। এর একজ কারিগর থাকতেই হবে। তেমনি আমি মনে করিনা "টেলার ইরার" কালে কিছু পরমাণু একত্রিত হলো এবং সাথ সাথে ভাবতে শুরু করলো আমাদের টিকে থাকতে হবে। করতে হবে বংশ বৃদ্ধি।
আর তাদের বৃহত সন্বিবেশ দু'পেয়ে যন্তুরা একটি গন্ধরাজ হাতেনিয়ে বলবে 'আহ কী সুভাস'।
আমার মনে হয়না পৃথিবীতে আদমের সন্তান বাদে এমন একজন মানুষ ও পাওয়া যাবেনা যে এক কোষী জীব অ্যামিবা থকে বহুকোষী তার পরে ডারউইনের বান্দর এবং সব শেষে মানুষ হয়ে গেছে এবং বলছে- ঈশ্বর আছে/ ঈশ্বর নাই। পৃথিবীর সব জঙ্গল সব মরুভূমি খুঁজেও পাওয়া যাবেনা মনে হয়না। এই কথা গুলো বলার জন্য চেতনা লাগে। পদারর্থের সন্নিবেশে দেহ হতে পারে।
মূর্তির মত হবে সে দেহ, তার কোন চেতনা থাকবেনা, চেতনার মানে হলো প্রাণের সৃষ্টিশীল যুক্তি নির্ভ বিচারির বুদ্ধি। প্রাণ হলো স্রষ্টার আদেশ বা কমান্ড, যাকে পৃথিবীতে প্রেরনের সময় আচরণের যদৃচ্ছিক সাধীনতা দেয়া হয়েছে। প্রাণের উদাহরণ হিসাবে বলা যেতে পারে কম্পিউটারের অপারেটিং সিসটেম। দেহ আমাদের কেবল হাডওয়ার যা মাটি থেকে উৎপন্ন এবং মাটিতে মিশে যাবে। কিন্তু প্রাণ? সেটা মাটি থেকে উৎপন্নও নয় মাটিতে মিশবেও না।
আইন স্টাইন ইহুদিদের ঈশ্বর বিশ্বার করতেনা। সেটা প্রথম জীবনে। শেষ জীবনে সে জায়নিজমের সোচ্ছার সমর্তক হয়েছিলেন। কেনো?
তবে মানুষ অনন্ত কালথেকে মহাবিশ্বে আছে এটা হতে পারেনা। অবশ্যই সে সৃষ্টি হয়েছে।
তাকে প্রকৃতি করোক আর কোন মহান অতি চেতনাই করো। যদি প্রকৃতি করে থাকে তবে প্রকৃতি এক অনন্য মহা চেতনা। কিন্তু প্রকৃতিও উপর বিশ্বার করাটাই হলো নিম্ন শ্রেণীর নাস্তিকতা। কারণ আমরা যে প্রকৃতি দেখছি সেটা সৃষ্ট, অনন্ত নয় । হকিং সহ পৃথিবীর তাব বিজ্ঞানীরা বলেন স্থান অসীম, কাল আপেক্ষিক, আর কাল অসীম ধরলে স্থান আপেক্ষিক।
বলা যায় কালই অসীম যার শুরু এবং শেষ না, আপনি যেখানে আপনার চিন্তকে নিয়ে যাবেন সেখানেই কালের অস্তিত্ব পাবেন । অভিকর্ষ এক দুর্বোদ্ধ বল হলেও পদার্থ না থাকলে তার কোন অস্তিত্ব থাকেনা। আর প্রকৃতির মূল নিয়ামক মহাকর্ষ অভিকর্ষ।
সুতরাং প্রকৃতি বাদ, ধরতে হবে কোন অতি চেতনাই মহা বিশ্বের স্রষ্টা। যে চেতনা একক- অবিনশ্বর।
যার স্মপর্কে বিভিন্ন প্রশ্ন করা যেতে পারে, অশ্বিকার করার উপায় নেই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।