আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মহানায়কের বিদায়ে অভিনন্দন......

দ্যা ব্লগার অলসো.....

নয় বছর বয়সে সেইন্ট অ্যান্থনী'স স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন। সেখানেই ক্রিকেটের হাতেখড়ি। শুরুটা হয়েছিলো মিডিয়াম পেস বোলার এবং মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে। তখন কি তিনি নিজেও জানতেন,উইলোবাজি আর পেসার এর তকমা ঝেড়ে ফেলে হয়ে যাবেন দুনিয়া শাসন করা ঘূর্ণি জাদূকর? নিশ্চয়ই না। ১৪ বছর বয়সে কোচ সুনীল ফার্নান্দোর অধীনে এই মিডিয়াম পেসার স্পিন বোলারে কনভার্ট হয়ে যান।

সেখান থেকেই শুরু, স্কুলের হয়ে দুই সিজনে ১০০ এর বেশি উইকেটের মালিক বনে যান। খেতাব পেয়ে যান, স্কুলবয় ক্রিকেটার অফ দ্যা ইয়ারের। স্কুল ছাড়ার পর তিনি তামিল ইউনিয়ন ক্রিকেট অ্যান্ড অ্যাথলেটিক ক্লাব এ যোগ দেন এবং ১৯৯১ সালে শ্রীলংকা দলের ইংল্যান্ড ট্যুর এর জন্য সিলেক্ট হন। সেখানে ব্যর্থ হয়ে দেশে ফেরত এসে অ্যালান বোর্ডার এর অস্ট্রেলিয়া দলের সাথে প্রস্তুতি ম্যাচে ভালো খেলেন এবং সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে টেস্ট অভিষেকের জন্য মনোনীত হন। বাকীটুকু ইতিহাস।

এই জাদুকরের ঝুলিতে জমা পড়েছে সবকিছুই। একজন ক্রিকেটার হিসেবে যা কিছু অর্জন করার সবকিছুই অর্জন করেছেন। পত্রিকা পড়লে বা নেট ঘাঁটাঘাঁটি করলে সব জানা যাবে। আমি শুধু তার সবচাইতে বড়ো অর্জন, টেস্ট ক্রিকেটে ৮০০ উইকেটের মাইলফলক কিভাবে অর্জন করলেন, সেটার একটা চিত্র তুলে ধরছি- শেষ ম্যাচে তার উইকেট সংখ্যা যখন ৭৯৯, তখন খোদ অ্যান্টিপার্টি ভারতীয় সাপোর্টাররাও চাইছিলেন শেষ উইকেটটা যেনো মুরালি পান। এক প্রান্ত থেকে ওভারের পর ওভার করতে করতে শেষে প্রজ্ঞান ওঝাকে ধরাশায়ী করে হয়ে যান ইতিহাসের অংশ।

যে ইতিহাস বোধ করি বদলানো সম্ভব নয় কোনো ক্রিকেটারের পক্ষে। সেজন্য আরেকজন মুরালির আগমন ঘটতে হবে। আর কে না জানে, এমন সোনার ছেলে বারবার জন্মায় না। হ্যাঁ, জুনিয়র মূরালি যদি পারে,কিন্তু সেজন্য আরেকটি প্রজন্ম পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। বিশ্বাস করতে পারেন, এক পর্যায়ে দিলশান ওঝাকে আউট করেই ফেলেছিলেন।

স্ট্যাম্পিং এর আবেদন থার্ড আম্পায়ার যখন নাকচ করলেন, উল্লাসে মেতে উঠলেন শ্রীলংকান সাপোর্টাররা!!!! কিন্তু যখন মূরালি শেষপর্যন্ত ওঝাকে আউট করলেন, তখন যে উচ্ছাসটা হলো, তার সাথে কোনো কিছুর তুলনা হয়না। শ্রীলংকান বোর্ড,জনতা সবাই প্রাণভরে বিদায় জানালেন এই লিভিং লিজেন্ডকে। সেই সাথে দীর্ঘশ্বাসও ফেললেন, ৫ দিনের ক্রিকেটে স্পিন জাদুকরের ভেলকি আর দেখা যাবেনা। ব্যাটসম্যানরা আর অসহায়ের মতো নিজেদের উইকেট খোয়াতে বাধ্য হবেন না। সামহ্যোয়ার এর সকল ব্লগারের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাচ্ছি-- মূরালি অভিনন্দন তোমাকে...ক্রিকেটকে অনেক দিয়েছো তুমি... **স্ক্রীণশটে নেয়া গ্রাফটা ঠিকমতো দেখা যাচ্ছেনা বলে দুঃখিত।

টেস্টে মূরালির প্রথম শিকার ক্রেইগ ম্যাকডারমটের এবং আটশতম উইকেটটি প্রজ্ঞান ওজার। তথ্যসূত্র- উইকি

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।