আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দুঃখিত ভুল নামকরনের জন্য।

তারা ভরা রাতের নিষাচর...

বাংলাদেশ যখন একটার পর একটা দুর্বল প্রতিপক্ষের কাছে হেরে ক্রিকেটিও লজ্জার শিকার হচ্ছে বারবার, তখনই যেন সহানুভুতির হাত বাড়িয়ে দিল বাংলাদেশের সনামধন্য কোচের স্বদেশী ক্রিকেটারগন। পাকিস্তানের বিপক্ষে হেডিংলি টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৩৩.১ ওভারে মাত্র ৮৮ রানে অলআউট অস্ট্রেলিয়া! কাদের বিপক্ষে? পাকিস্তান! অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এর আগের টানা ১৩টি টেস্টে হেরে যারা এক দলের বিপক্ষে টানা হারের রেকর্ড করে বসে আছে। আলোকস্বল্পতার কারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রথম দিনের খেলা শেষ হয়ে যাওয়ার সময় পাকিস্তানের স্কোর ৩ উইকেটে ১৪৮। সর্বশেষ তিন টেস্টে পাকিস্তানের তৃতীয় অধিনায়ক টস করতে নামলেন কাল। সালমান বাট সেটিতে হেরেই যেন জিতে গেলেন।

আকাশ মেঘলা ছিল, আগের রাতে বৃষ্টি হয়েছে। তার পরও রিকি পন্টিং প্রতিপক্ষকে খেলা শুরুর আগেই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার অস্ট্রেলীয় নীতি অনুসরণ করে ব্যাট করারই সিদ্ধান্ত নিলেন। অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানদের শুরু-শেষ, সবই পেসারদের হাতে। লেগ স্পিনার দানিশ কানেরিয়া করলেন মাত্র এক ওভার। মোহাম্মদ আসিফ ও মোহাম্মদ আমিরের ৩টি করে উইকেট।

উমর গুল নিলেন ২টি উইকেট, ১টি উমর আমিন আর একটি রানআউট। শুরু করেছিলেন আমির। ইনিংসের সপ্তম ওভারেই ক্যাটিচ এলবিডব্লু। তখন কে জানত, ওয়াটসনের সঙ্গে ক্যাটিচের ২০ রানই হয়ে থাকবে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে সর্বোচ্চ জুটি! পরের ওভারে একই রানে আসিফ একইভাবে ফেরত পাঠালেন শেন ওয়াটসনকে। ১৩.৫ ওভারের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া ৪ উইকেটে ২৯—ক্লার্ক ও পন্টিং দুজন মিলে করলেন ৯ রান! অস্ট্রেলিয়ার প্রথম পাঁচের চারজনই এলবিডব্লু।

চতুর্থজন মাইক হাসি গুলের দ্বিতীয় শিকার। টিম পেইনের সঙ্গে মার্কাস নর্থের ‘ভালো’ একটা জুটি হলো। ‘ভালো’—কারণ ষষ্ঠ উইকেটে এই দুজনের ১৯ রান যে ইনিংসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি! আগের টেস্টের অপ্রত্যাশিত ‘বোলিং-নায়ক’ নর্থকে নিজের প্রথম টেস্ট উইকেটে পরিণত করেছেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামা উমর আমিন। মধ্যাহ্ন বিরতির সময় অস্ট্রেলিয়া ৬ উইকেটে ৭৩। খারাপ অবস্থা, তবে ৮৮ রানে অলআউট হয়ে যাওয়ার মতো অবশ্যই নয়।

বিরতির পর প্রথম দুটি বলেই স্মিথ ও জনসনকে বোল্ড করে মোহাম্মদ আমির বুঝিয়ে দিলেন, এটি পাকিস্তানের সেই জেগে ওঠার দিন, যখন ওরা যা ইচ্ছে তা-ই করতে পারে। হিলফেনহস আমিরকে হ্যাটট্রিক করতে দেননি। তবে অস্ট্রেলিয়ার লজ্জা নিবারণের ক্ষমতা তাঁর ছিল না। হঠাৎ পাওয়া অধিনায়কত্বের অভিষেকেই অস্ট্রেলিয়াকে এমন ধ্বংসস্তূপ বানিয়ে দেওয়াটা নিশ্চয়ই কল্পনাতেও ছিল না সালমান বাটের। এটিকে কাজে লাগানোর দায়িত্বটাও ছিল তাঁর ওপর।

৪৫ রানে আউট হয়ে গেছেন, তবে এর আগে ইমরান ফারহাতের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতেই (৮০) প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছেন অস্ট্রেলিয়ার পুরো ইনিংসের রান। আজহার আলীর সঙ্গে ইমরান ফারহাতের ৫৩ রানের জুটিতে ৯ উইকেট হাতে রেখেই ৪৫ রানে এগিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। দিনের শেষান্তে এসে অবশ্য ৭ রানের মধ্যে দুজনকে ফিরিয়ে দিয়ে ওয়াটসন অস্ট্রেলিয়ার বিষণ্ন দিনে এক চিলতে আলো ছড়িয়েছেন। তবে টেস্টের প্রথম দিনে আলো-টালোর কথা বললে সেটি জ্বলেছে পাকিস্তানের ড্রেসিংরুমেই। বাংলাদেশ যখন একটার পর একটা দুর্বল প্রতিপক্ষের কাছে হেরে ক্রিকেটিও লজ্জার শিকার হচ্ছে বারবার, তখনই যেন সহানুভুতির হাত বাড়িয়ে দিল বাংলাদেশের সনামধন্য কোচের স্বদেশী ক্রিকেটারগন।

পাকিস্তানের বিপক্ষে হেডিংলি টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৩৩.১ ওভারে মাত্র ৮৮ রানে অলআউট অস্ট্রেলিয়া! কাদের বিপক্ষে? পাকিস্তান! অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এর আগের টানা ১৩টি টেস্টে হেরে যারা এক দলের বিপক্ষে টানা হারের রেকর্ড করে বসে আছে। আলোকস্বল্পতার কারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রথম দিনের খেলা শেষ হয়ে যাওয়ার সময় পাকিস্তানের স্কোর ৩ উইকেটে ১৪৮। সর্বশেষ তিন টেস্টে পাকিস্তানের তৃতীয় অধিনায়ক টস করতে নামলেন কাল। সালমান বাট সেটিতে হেরেই যেন জিতে গেলেন। আকাশ মেঘলা ছিল, আগের রাতে বৃষ্টি হয়েছে।

তার পরও রিকি পন্টিং প্রতিপক্ষকে খেলা শুরুর আগেই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার অস্ট্রেলীয় নীতি অনুসরণ করে ব্যাট করারই সিদ্ধান্ত নিলেন। অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানদের শুরু-শেষ, সবই পেসারদের হাতে। লেগ স্পিনার দানিশ কানেরিয়া করলেন মাত্র এক ওভার। মোহাম্মদ আসিফ ও মোহাম্মদ আমিরের ৩টি করে উইকেট। উমর গুল নিলেন ২টি উইকেট, ১টি উমর আমিন আর একটি রানআউট।

শুরু করেছিলেন আমির। ইনিংসের সপ্তম ওভারেই ক্যাটিচ এলবিডব্লু। তখন কে জানত, ওয়াটসনের সঙ্গে ক্যাটিচের ২০ রানই হয়ে থাকবে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে সর্বোচ্চ জুটি! পরের ওভারে একই রানে আসিফ একইভাবে ফেরত পাঠালেন শেন ওয়াটসনকে। ১৩.৫ ওভারের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া ৪ উইকেটে ২৯—ক্লার্ক ও পন্টিং দুজন মিলে করলেন ৯ রান! অস্ট্রেলিয়ার প্রথম পাঁচের চারজনই এলবিডব্লু। চতুর্থজন মাইক হাসি গুলের দ্বিতীয় শিকার।

টিম পেইনের সঙ্গে মার্কাস নর্থের ‘ভালো’ একটা জুটি হলো। ‘ভালো’—কারণ ষষ্ঠ উইকেটে এই দুজনের ১৯ রান যে ইনিংসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি! আগের টেস্টের অপ্রত্যাশিত ‘বোলিং-নায়ক’ নর্থকে নিজের প্রথম টেস্ট উইকেটে পরিণত করেছেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামা উমর আমিন। মধ্যাহ্ন বিরতির সময় অস্ট্রেলিয়া ৬ উইকেটে ৭৩। খারাপ অবস্থা, তবে ৮৮ রানে অলআউট হয়ে যাওয়ার মতো অবশ্যই নয়। বিরতির পর প্রথম দুটি বলেই স্মিথ ও জনসনকে বোল্ড করে মোহাম্মদ আমির বুঝিয়ে দিলেন, এটি পাকিস্তানের সেই জেগে ওঠার দিন, যখন ওরা যা ইচ্ছে তা-ই করতে পারে।

হিলফেনহস আমিরকে হ্যাটট্রিক করতে দেননি। তবে অস্ট্রেলিয়ার লজ্জা নিবারণের ক্ষমতা তাঁর ছিল না। হঠাৎ পাওয়া অধিনায়কত্বের অভিষেকেই অস্ট্রেলিয়াকে এমন ধ্বংসস্তূপ বানিয়ে দেওয়াটা নিশ্চয়ই কল্পনাতেও ছিল না সালমান বাটের। এটিকে কাজে লাগানোর দায়িত্বটাও ছিল তাঁর ওপর। ৪৫ রানে আউট হয়ে গেছেন, তবে এর আগে ইমরান ফারহাতের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতেই (৮০) প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছেন অস্ট্রেলিয়ার পুরো ইনিংসের রান।

আজহার আলীর সঙ্গে ইমরান ফারহাতের ৫৩ রানের জুটিতে ৯ উইকেট হাতে রেখেই ৪৫ রানে এগিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। দিনের শেষান্তে এসে অবশ্য ৭ রানের মধ্যে দুজনকে ফিরিয়ে দিয়ে ওয়াটসন অস্ট্রেলিয়ার বিষণ্ন দিনে এক চিলতে আলো ছড়িয়েছেন। তবে টেস্টের প্রথম দিনে আলো-টালোর কথা বললে সেটি জ্বলেছে পাকিস্তানের ড্রেসিংরুমেই।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।