জেলখানাতে যাওয়া প্রত্যেক বালেগ নর-নারীর জন্য অবশ্যই প্রয়োজনীয়।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
৮) ওই ঈমানদারদের সাথে তাদের শত্রুতার এ ছাড়া আর কোন কারণ ছিল না যে তারা সেই আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছিল
৯) যিনি মহাপরাক্রমশালী এবং নিজের সত্তায় নিজেই প্রশংসিত , যিনি আকাশ ও পৃথিবীর রাজত্বের অধিকারী ৷ আর সে আল্লাহ সবকিছু দেখছেন৷*৫
*৫. এ আয়াতগুলোতে মহান আল্লাহর এমন সব গুণাবলীর উল্লেখ করা হয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে তাঁর প্রতি ঈমান আনার অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে৷ আবার অন্যদিকে এগুলোর প্রতি ঈমান আনার কারণে যারা অসন্তুষ্ট ও বিক্ষুব্ধ হয় তারা জালেম৷
১০) যারা মু’মিন পুরুষ ও নারীদের ওপর জুলুম - নিপীড়ন চালিয়েছে , তারপর তা থেকে তওবা করেনি , নিশ্চিতভাবেই তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের আযাব এবং জ্বালা - পোড়ার শাস্তি৷*৬
*৬. জাহান্নামের আযাব থেকে আবার আলাদাভাবে জ্বালা পোড়ার শাস্তির উল্লেখ করার কারণ হচ্ছে এই যে , তারা মজলুমদেরকে আগুনে ভরা গর্তে নিক্ষেপ করে জীবন্ত পুড়িয়েছিল৷ সম্ভবত এটা জাহান্নামের সাধারণ আগুন থেকে ভিন্ন ধরনের এবং তার চেয়ে বেশী তীব্র কোন আগুন হবে এ বিশেষ আগুনে তাদেরকে জ্বালানো হবে৷
১১) যারা ঈমান এনেছে ও সৎকাজ করেছে নিশ্চিতভাবেই তাদের জন্য রয়েছে জান্নাতের বাগান যার নিম্নদেশে প্রবাহিত হতে থাকবে ঝরণাধারা৷ এটিই বড় সাফল্য৷
১২) আসলে তোমার রবের পাকড়াও বড় শক্ত৷
১৩) তিনিই প্রথমবার সৃষ্টি করেন আবার তিনিই দ্বিতীয় বার সৃষ্টি করবেন৷
১৪) তিনি ক্ষমাশীল , প্রেমময় ,
১৫) আরশের মালিক , শ্রেষ্ঠ সম্মানিত
১৬) এবং তিনি যা চান তাই করেন৷*৭
*৭. " তিনি ক্ষমাশীল " বলে এই মর্মে আশান্বিত করা হয়েছে যে , কোন ব্যক্তি গোনাহ করা থেকে বিরত হয়ে যদি তাওবা করে তাহলে সে আল্লাহর রহমত লাভ করতে পারে৷ " প্রেমময় " বলে একথা বলা হয়েছে যে , তিনি নিজের সৃষ্টির প্রতি কোন শত্রুতা পোষণ করেন না৷ অযথা তাদেরকে শাস্তি দেয়া তাঁর কাজ নয়৷ বরং নিজের সৃষ্টিকে তিনি ভালোবাসেন ৷ তাকে তিনি কেবল তখনই শাস্তি দেন যখন সে বিদ্রোহাত্মক আচরণ করা থেকে বিরত হয় না৷ " আরশের মালিক " বলে মানুষের মধ্যে এ অনুভূতি জাগানো হয়েছে যে সমগ্র বিশ্ব জাহানের রাজত্বের তিনিই একমাত্র অধিপতি ৷ কাজেই তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে কেউ তাঁর হাত থেকে নিস্তার পেতে পারে না৷ " শ্রেষ্ঠ সম্মানিত " বলে এ ধরনের বিপুল মর্যাদাসম্পন্ন সত্তার প্রতি অশোভন আচরণ করার হীন মনোবৃত্তির বিরুদ্ধে মানুষকে সতর্ক করা হয়েছে ৷ তাঁর শেষ গুণটি বর্ণনা করে বলা হয়েছে , " তিনি যা চান তাই করেন৷ " অর্থাৎ আল্লাহ যে কাজটি করতে চান তাতে বাধা দেবার ক্ষমতা এ সমগ্র বিশ্ব জাহানের কারোর নেই৷
১৭) তোমার কাছে কি পৌঁছেছে সেনাদলের খবর ?
১৮) ফেরাউন ও সামূদের সেনাদলের ?*৮
৮. যারা নিজেদের দল ও জনশক্তির জোরে আল্লাহর এ যমীনে বিদ্রোহের ঝাণ্ডা বুলন্দ করছে এখানে তাদেরকে সম্বোধন করা হয়েছে৷ বলা হচ্ছে , তোমাদের কি জানা আছে , ইতিপূর্বে যার নিজেদের দলীয় শক্তির জোরে এ ধরনের বিদ্রোহ করেছিল তাদের পরিণাম কি হয়েছিল ?
১৯) কিন্তু যারা কুফরী করেছে , তারা মিথ্যা আরোপ করার কাজে লেগে রয়েছে৷
২০) অথচ আল্লাহ তাদেরকে ঘেরাও করে রেখেছেন৷
২১) ( তোমার মিথ্যা আরোপ করায় এ কুরআনের কিছু আসে যায় না৷)
২২) বরং এ কুরআন উন্নত মর্যাদা সম্পন্ন , সংরক্ষিত ফলকে লিপিবদ্ধ৷*৯
৯. এর অর্থ হচ্ছে , এ কুরআনের লেখা অপরিবর্তনীয় ৷ এর বিলুপ্তি হবে না৷ আল্লাহর এমন সংরক্ষিত ফলকে এর লেখাগুলো খোদিত রয়েছে যেখানে এর মধ্যে কোন রদবদল করার ক্ষমতা কারোর নেই৷ এর মধ্যে যে কথা লেখা হয়েছে তা অবশ্যি পূর্ণ হবে ৷ সারা দুনিয়া একজোট হয়ে তাকে বাতিল করতে চাইলে ও তাতে সফল হবে না৷
সবাইকে নির্মোহভাবে পবিত্র কোরআনের পড়া এবং বুঝে আমল করার তাওফিক যেন আল্লাহ দেন সেই প্রত্যাশায় আজকের মত এখানে বিদায়।
আগের পর্ব- জুলুমের মোকাবেলায় অবিচল থাকলে 'সর্বোত্তম পুরস্কার' এবং আল্লাহ নিজেই 'জালেমদের থেকে বদলা নিবেন'. সুরা বুরুজ (শানেনুজুল+আয়াত:১-৭)
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।