আয়াত: ২। "আমি তো মানুষকে সৃষ্টি করেছি একবিন্দু মিলিত শুক্রবিন্দু থেকে, যেনো তাকে আমি পরীক্ষা করতে পারি। সুতারাং আমি তাকে দান করেছিলাম শোনার ও দেখার ক্ষমতা"।
ব্যাখ্যা:
' মিলিত শুক্র বিন্দু ' - নূতন প্রাণ সৃষ্টির পূর্বে ডিম্ব কোষকে শুক্রনুদ্বারা নিষিক্ত হওয়া প্রয়োজন। এ কথা বিশ্বের সকল প্রাণীর জন্য যেরূপ প্রযোজ্য, মানুষের জন্যও সমভাবে প্রযোজ্য।
তবে মানুষের বেলায় পার্থক্য হচ্ছে, মানুষের এই নশ্বর দেহ ধারণ করে অতীন্দ্রিয় আত্মা, যার ফলে তাঁকে দান করা হয়েছে কতকগুলি মানসিক দক্ষতা যা ঐশ্বরিক গুণাবলী ধারণ করতে সক্ষম। যে কোন নির্দ্দেশ সে গ্রহণ করার ক্ষমতা রাখে [ যা প্রকাশ করা হয়েছে শ্রবণশক্তি দ্বারা ]। মানুষের আছে বুদ্ধিমত্তা এবং আধ্যাত্মিক অর্ন্তদৃষ্টি ও বিবেক [যা প্রকাশ করা হয়েছে দৃষ্টি শক্তি দ্বারা ]। এ ভাবেই মানুষকে সৃষ্টির অন্যান্য প্রাণী থেকে আলাদা করা হয়েছে।
মানুষকে দান করা হয়েছে " সীমিত স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি "।
এসব মানসিক দক্ষতার কারণেই সে পৃথিবীতে আল্লাহ্র প্রতিনিধি [ ২ : ৩০ ]। আল্লাহ্র দেয়া এই সব মানসিক ক্ষমতার সে সঠিক সদ্ব্যবহার করেছে কি না সেই জবাবদিহিতাই হবে মানুষের মনুষ্য জন্মের প্রধান সমস্যা। সুতারাং তাঁকে আল্লাহ্ যেমন পথের দিক্নির্দ্দেশনা দান করবেন, ঠিক সেরূপ ভাবে পরীক্ষাও করে নেবেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।