আয়াত: ৩:
অর্থ: আমি তাকে পথের নির্দ্দেশ দেখিয়েছিলাম, হয় সে কৃতজ্ঞ হবে, না হয় অকৃতজ্ঞ হবে [ যা হবে তার ইচ্ছার উপরে নির্ভরশীল ]"।
ব্যাখ্যা:
আল্লাহ্ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন বিশেষ মানসিক দক্ষতা দ্বারা। সঠিক ব্যবহারের ফলে এ সব মানসিক দক্ষতা সমূহ ঐশ্বরিক গুণাবলী আত্মার মাঝে ধারণ করতে সক্ষম হয়। শুধু তাই-ই নয়, এ সব দক্ষতাকে সঠিক পথে প্রয়োগের জন্য পথ নির্দ্দেশ দান করেছেন প্রত্যাদেশের মাধ্যমে এবং পথের দিশারী হিসেবে নবী রসুলদের প্রেরণ করেছেfন। যদি মানুষ কৃতজ্ঞ হয়, তবে সে আল্লাহ্র নির্দ্দেশিত পথকে গ্রহণ করে নিজেকে মোমেন বান্দারূপে প্রতিষ্ঠিত করবে এবং পূণ্যাত্মাদের অন্তর্ভূক্ত হবে।
যদি সে কৃতজ্ঞ না হয় তবে সে আল্লাহ্র নির্দ্দেশিত পথকে পরিত্যাগ করবে। যার ফলে তার সীমিত স্বাধীন ইচ্ছাশক্তির অপব্যবহারের ফলে সে ন্যায়কে ত্যাগ করে অন্যায়কে গ্রহণ করবে, সত্য ও ভালো তার নিকট হবে অবহেলিত এবং সে মিথ্যা ও মন্দকে জীবনে ওতপ্রেতভাবে গ্রহণ করবে। এ ভাবেই সে মিথ্যা, অন্যায় ও অসত্যের বেড়াজালে বন্দী হয়ে পড়বে। পাপের ভারে তার স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি হয়ে পড়বে নুব্জ, কুব্জ - সে হারাবে আত্মার ভালোকে গ্রহণ করার আত্মিক স্বাধীনতা। তার বিবেক হবে তমসাচ্ছন্ন যা তাকে ন্যায় ও সত্যের পথে চালিত করতে পারতো।
ফলে সে দোযখের শাস্তির আগুনে নিক্ষিপ্ত হবে।
দেখুন পরবর্তী আয়াত। [ সুরা দাহর: আয়াত: ৪: "প্রত্যাখানকারীদের জন্য আমি প্রস্তুত রেখেছি শৃঙ্খল,বেড়ি,ও লেলিহান অগ্নি"। ]
ভালো ও মন্দ কে গ্রহণ করার স্বাধীনতা নির্ভর করবে সম্পূর্ণ ভাবে স্বাধীন ইচ্ছাশক্তির উপরে।
আল্লাহ মানুষকে শুধু জ্ঞান ও বিবেক -বুদ্ধি দিয়েই ছেড়ে দেননি।
বরং এগুলো দেয়ার সাথে সাথে তাকে পথও দেখিয়েছে যাতে সে জানতে পারে শোকরিয়ার পথ কোনটি এবং কুফরীর পথ কোনটি। এরপর যে পথই সে অবলম্বন করুক না কেন তার জন্য সে নিজেরই দায়ী। এ বিষয়টিই সূরা বালাদে এভাবে বর্ননা করা হয়েছে --সুরা: বালাদ: আয়াত:১০:" ১০) আমি কি তাকে দু’টি সুস্পষ্ট পথ দেখাইনি"?"
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।