লোডশেডিং এখন আর কোন সময় মানছেনা। সকাল দুপুর বিকাল এমন কি গভীর রাতেও না। এমন কি ছুটির দিনেও না।
রাত গভীর না চলছে কোন অফিস না কলকারখানা বা মিল তাহলে কেন এই লোডশেডিং তার মানে কি বিদ্যুৎ অন্য কোন কাজে ব্যবহার হচ্ছে? ব্যবসায়িক ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, এমনকি ছোটখাটো দোকানপাটও বন্ধ থাকে। বিদ্যুৎ ব্যবহারের একমাত্র ক্ষেত্র তখন গৃহস্থালি চাহিদা।
সর্বোপরি শুক্র-শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও সারা দিন এবং গভীর রাতেও লোডশেডিং হবে?’ এসব প্রশ্ন অসংখ্য গ্রাহকের।
আমার বাসা মোহাম্মদপুর হাউজিং সোসাইটি গত রাতেও ১০:৩০ এক বার ১:৩০ একবার ৩:৩০ একবার এবং সর্বশেষ ৫:৩০ একবার তাহলে বলতে পারেন ভাই একজন লোক কিভাবে রাতে ঘুমাবে?
কর্তৃপক্ষ কী বলে: গ্রাহকদের এসব অভিযোগ-উৎকণ্ঠার কারণ গভীর রাতেও অব্যাহত লোডশেডিং। এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে বিদ্যুৎ উৎপাদনের দায়িত্বে নিয়োজিত একমাত্র সরকারি সংস্থা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) চেয়ারম্যান এ এস এম আলমগীর কবির প্রথম আলোকে বলেন, কারণ তো অবশ্যই ঘাটতি। চাহিদার তুলনায় উৎপাদন অনেক কম। তাই লোডশেডিং করা ছাড়া তো উপায় নেই।
তাই বলে গভীর রাতেও এবং সারা রাত ধরে? তখন কি এত বেশি চাহিদা থাকে? এই প্রশ্নের জবাবে পিডিবির চেয়ারম্যান বলেন, এখন দিন-রাতের চাহিদা প্রায় সমান হয়ে গেছে। আগে যেমন সর্বোচ্চ চাহিদার সময় (সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত ১১টা) চাহিদা অনেক বেড়ে যেত। তার আগে-পরে থাকত কম, এখন আর তেমন হচ্ছে না। সব সময়ই চাহিদা মোটামুটি একই থাকছে। তাই ঘাটতিও থাকছে সর্বক্ষণই।
মন্ত্রণালয় ও পিডিবির সূত্রগুলোর আশা, এই বছরের শেষ নাগাদ পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। তাহলে আগামী গ্রীষ্মে আর এমন দুরবস্থার মধ্যে পড়তে হবে না। জানিনা কতটা আশা পুরন করতে পারবে???
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।